• ঢাকা
  • শনিবার, ১১ মে ২০২৪, ১১:৪২ অপরাহ্ন

ফের পুতিনই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট


প্রকাশের সময় : মার্চ ১৯, ২০১৮, ১০:৩৬ AM / ৪৯
ফের পুতিনই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট

ঢাকারনিউজ২৪.কম, ডেস্ক : ভ্লাদিমির পুতিন আরও ছয় বছরের জন্য রাশিয়াকে নেতৃত্ব দিতে যাচ্ছেন। কারণ, রোববার দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তিনি বড় জয় পেয়েছেন। খবর: বিবিসি, রয়টার্স, আলজাজিরা। ভোট গণনা শেষে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, পুতিন ৭৬ শতাংশ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। অবশ্য এই নির্বাচনে পুতিনের সবচেয়ে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী বিরোধী দলীয় নেতা অ্যালেক্সি নাভানলিকে আগেই অযোগ্য ঘোষণা করা হয়।

মস্কোতে বিজয় র‍্যালি শেষে পুতিন তার এই বিজয়কে বিগত কয়েক বছরে সরকারের অর্জনের স্বীকৃতি বলে মন্তব্য করেন।

এ সময় এক সাংবাদিক মজা করে প্রশ্ন ছুড়ে দেন, ‘আপনি কি আগামী নির্বাচনেও প্রার্থী হবেন?’ জবাবে পুতিনও তার সঙ্গে মজা করেন, ‘আপনি কি বললেন? আপনি কি মনে করেন, আমার বয়স ১০০ না হওয়া পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট থাকি?’

ক্রেমলিনের নিকটবর্তী মেনেজায়া স্কয়ারে বিজয় উৎসবে আসা লাখো সমর্থকদের তাকে বিজয়ী করায় ধন্যবাদ জানান পুতিন।

তিনি বলেন, ‘বিগত বছরগুলোতে কঠিন সময়ে আমি যে পদক্ষেপ নিয়েছি, তারই স্বীকৃতি এই বিজয়। জনগণ আমার ওপর আস্থা রেখেছেন। আমি আশাবাদী, ভবিষ্যতেও তাদের জন্য আমি দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে পারব।’

পুতিন আরও বলেন, ‘আমাদের মধ্যকার ঐক্যকে ধরে রাখতে হবে। যারা আমার প্রতিদ্বন্দ্বীদের ভোট দিয়েছেন, তাদের জন্যও এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা একতা ধরে রেখেই সামনে এগিয়ে যাব।’

এবারের নির্বাচনের আগে প্রেসিডেন্ট পুতিনের স্লোগান ছিল ‘শক্তিমান প্রেসিডেন্ট, শক্তিশালী রাশিয়া’। নির্বাচন সামনে রেখে কোনো টিভি বিতর্কে তিনি অংশ নেননি। এমনকি টিভিতেও তার নির্বাচনী প্রচারাভিযানের নতুন কিছু দেখানো হয়নি।

কিন্তু, জনমত জরিপগুলো বলছিল, ৭০ শতাংশের বেশি ভোট পাবেন পুতিন। ভোটের পর বাস্তবেও সেটিই দেখা গেল।

পুতিনের এবারের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন সাতজন। তাদের মধ্যে অন্যতম বামপন্থী ধনকুবের পাভেল গ্রুডিনিন ও সাবেক টিভি উপস্থাপক কেসেনিয়া সোবচাক। কিন্তু, তাদের কেউই ৮ শতাংশের বেশি ভোট পাবেন না বলে জনমত জরিপগুলোতে উঠে আসে।

তবে ভোট গণনা শেষে দেখা যায়, পাভেল গ্রুদিনিন ১২ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। আর কেসেনিয়া সোবচাক পেয়েছেন মাত্র ৬ শতাংশ ভোট।

এর আগে ২০১২ সালের নির্বাচনে পুতিন ৬৪ শতাংশ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছিলেন। এবার জনপ্রিয়তায় সেটিকেও তিনি ছাড়িয়ে গেলেন।

১৯৯৯ সালে প্রথম প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়ে রাশিয়ার ক্ষমতার মসনদে আসীন হন ভ্লাদিমির পুতিন৷ তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বরিস ইয়েলিৎসিন তাকে এই পদে এনেছিলেন।

এর কয়েক মাস পর ইয়েলিৎসিন পদত্যাগ করলে অস্থায়ীভাবে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পান পুতিন। এরপর ২০০০ সালে নির্বাচনের মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট হন তিনি। রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের মেয়াদ সেই সময় ছিল চার বছর করে। ফলে দুই মেয়াদে ২০০৮ সাল পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট ছিলেন পুতিন।

এরপর তার রাজনৈতিক সঙ্গী দিমিত্রি মেদভেদেভ রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। পুতিন সেই মেয়াদে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। ওই সময়ই প্রেসিডেন্টের মেয়াদ বাড়িয়ে ছয় বছর করা হয়।

এরপর ২০১২ সালে পুতিন আবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। এবার নির্বাচিত হওয়ায় ২০২৪ সাল পর্যন্ত তিনি দেশটির প্রেসিডেন্টের দায়িত্বে থাকবেন।

এখন পর্যন্ত রাশিয়ার সংবিধানে যে নিয়ম আছে, তাতে ওই সময়ের পর আর প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করতে পারবেন না লৌহমানবখ্যাত পুতিন।

(ঢাকারনিউজ২৪.কম/আরএম/১০:৩৫এএম/১৯/৩/২০১৮ইং)