• ঢাকা
  • রবিবার, ১২ মে ২০২৪, ০৮:৩৭ পূর্বাহ্ন

ফতুল্লায় ৪ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার সহ ওসি আসলামের বিচার দাবী


প্রকাশের সময় : জুলাই ২৪, ২০১৯, ১০:০৮ PM / ৩১
ফতুল্লায় ৪ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার সহ ওসি আসলামের বিচার দাবী

বিশেষ প্রতিনিধি : পাগলা রসুলপুর এলাকায় সরকারী সম্পদ বিদুৎ এর খুটি ও তার চুরির বিষয়ে বিদুৎ এর কিছু অসাধু কর্মকর্তা কর্মচারী ও স্থানীয় চোর সিন্ডিকেটের হোতা গিয়াস উদ্দিন র্দীঘদিন থেকে বিদুৎ এর খুটি ও তার কেটে বিক্রি করে আসছে এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৯/০৬/১৯ ইং শনিবার এই সিন্ডিকেটের সদস্যরা ফতুল্লা থানাধীন পাগলা রসুলপুর এলাকায় আবারও খুটি কাটতে গিয়ে স্থানীয় জনতার হাতেধরা পড়ে এজাজ ও শফিকুল ইসলাম নামের ২ জন চোর। তাদের চুরির নেতৃত্বে ছিলেন, গিয়াস উদ্দিন ও বিদুৎ এর অসাধু কর্মকর্তা কর্মচারী গণ। আম জনতা কর্তৃক আটক হওয়া চোরদের বিষয়ে ফতুল্লা থানায় ফোন দিলে থানা থেকে এস আই শুভ টিম নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে বিদুৎ এর খুটি এবং বৈদ্বতীকতার ও চোরদের থানায় নিয়ে যান। ফতুল্লা থানায় নিয়ে আসলেও মামলা হয়েছে ৪ (চার) মাস আগের দাপা ইদ্রাকপুর – দোপা গার্ডেন সিটি সংলগ্ন পেন্ডিং মামলা, মামলার বাদী মোঃ রফিকুল আলম (৪০) ২২/০৩/২০১৯ ইং তারিখে ঘরের তালা ভেঙ্গে ২.৫০.০০০ টাকা ও ৭ ভরি গহনা চুরির বিষয়ে ১টি অভিযোগ দায়ের করেন। এই ৪ (চার) মাস আগের চুরির মামলা নং ৮৩ তাং.২৩-০৩-১৯ ধারা – ৪৫৭, ৩৮০ দঃবিধি মামলা দিয়েই রাষ্টীয় সম্পদ চুরি ও লুন্ঠন কারীদের কোর্টে প্রেরন করেন ফতুল্লা থানার ওসি আসলাম ও এস আই শুভ । ঘটনার মূল আসামী গিয়াসউদ্দিন ও মোহাম্মদ আলী । যিনি ৫ হাজার টাকা দিয়েছেন গিয়াসউদ্দিনকে যাহা আমাদের নিকট রেকর্ড সংরক্ষিত রয়েছে। অথচ পুলিশ মূল হুতা গিয়াসউদ্দিনের কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা এবং মোহাম্মদ আলীর কাছ থেকে ১৫ হাজার টাকা ঘুষ খেয়ে ১ নং আসামী ও ২ নং আসামী নাম বাদ দিয়ে রাষ্টীয় সম্পদের বিষয়টি ধামাচাপা দেন। তাদের পক্ষ হয়ে এস আই শুভ এর সাথে ঘুষ লেনদেন করেন রসুলপুর এলাকার কয়েকজন ব্যাক্তি। যাহার তথ্য আমাদের কাছে রয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যাক্তি বলেন আমরা যদি তথ্য দেই আপনাদের তাহলে পুলিশি হয়রাণী হতে হবে আমাদের । বিষয়টি আরও গভীর অনুসন্ধান করার জন্য ৩০-০৬-২০১৯ রোজ রবিবার দৈনিক গণজাগরণে প্রচারিত অপরাধের খোঁজে অনুসন্ধানী টিমের চীফ রিপোর্টার মোঃ সেলীম নিজামী, সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম শফিক ও ফটো সাংবাদিক ইউসুফ মিয়া ড্র্রাইভার মোঃ মাসুদ মিয়া রাত আনুমানিক ৯ ঘটিকার সময় ফতুল্লা থানার ওসি আসলামের কক্ষে উপস্থিত হয়ে সাক্ষাৎকার গ্রহন কালে তিনি প্রথমেই ভূল তথ্য এবং তথ্য গোপন করার চেষ্টা করেন তার পরও অনুসন্ধানী টিমের প্রশ্নের মুখে সত্যতা বের হয়ে আসলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন আমি আপনাদের কে তথ্য দিতে বাধ্য নয়। এবং কি কারনে ভিডিও করা হলো এই জন্য টিমের ক্যামেরা মোবাইল গাড়ী জব্দ করে কথিত সাংবাদিক বানানোর চেষ্টা করেন, তাই করেও ক্ষান্ত হননি ওসি আসলাম। তার অপরাধ ডাকার জন্য অনুসন্ধানী টিমের সাংবাদিকদের কে ৩৮৫/৫০৬/৪১৯-৩৪ দ:বি: আইনে অন্যায় ভাবে মামলা দিয়ে জেলে হাজথে পাঠিয়ে ১৫ দিন জেল খাটিয়েছেন। মুলত গণমাধ্যেমের সাহসী বীর কলম সৈনিকদের কন্ঠরোধ করার জন্য। গণমাধ্যেমের সম্মান ক্ষুন্ন করার জন্য গণমাধ্যমের ন্যায় নিষ্ঠা ও সৎ কর্মীদের বিতর্কিত করার জন্য একজন সাংবাদিক গ্রেপ্তার করতে হলে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের অনুমতি লাগে। ওসি আসলাম এতটাই ক্ষমতাবান যে কাউকে তিনি পরোয়া করতে রাজি নন। অনুসন্ধানী টিমের সদস্যদের আটকের পুর্বে পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ওমর ফারুক জালাল জানান ওসি আসলামকে। তারা আমার পত্রিকার সাংবাদিক বলেও সনাক্ত করেন যাহার কথোপকথন মোবাইলেও রেকর্ড সংরক্ষিত আছে । তার পরও ওসি আসলাম তার ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে দৈনিক গণজাগরণ পত্রিকার চীফ রিপোর্টার সহ ৪ জন সাংবাদিক কে ভূয়া ও চাঁদাবাজ বানিয়ে বে আইনী ভাবে মামলা দায়ের করেন । ওসি আসলাম অনুসন্ধানী টিমের সাংবাদিকদের গ্রেপ্তারের পূর্বে বারবার পুলিশ সুপার হারুন অর রশিদের সাথে কথা বলার চেষ্টা কালে সাংবাদিকদের জোর পুর্বক মোবাইল ছিনিয়ে নেওয়া হয় যাহা সম্পূর্ন অমানবিক ও গণমাধ্যমের জন্য অশনি সংকেত। যেখানে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী সাংবাদিকদের সব সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন সেইখানে কিভাবে একজন ওসি থানায় সাংবাদিকদের সাক্ষাৎকার নেওয়া অবস্থায় এত বড় ন্যাঙ্কার ঘৃন্য ইতিহাস গড়ার মত ঘটনা ঘটাতে পারেন। মোবাইল ক্যামেরা ছিনিয়ে নিয়ে যে অমানবিকতা করেছেন চিফ রিপোর্টার সেলিম নিজামীকে চোখঁ বেধে রাত ভর থানায় নির্যাতন করে গণমাধ্যমকে কলশিত করলেন ওসি আসলাম । পরের দিন
সোমবার সকাল ৯টা এবং বিকেল ২টা স্থানীয় প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রিক মিডিয়ার কর্মীদের ডেকে এনে মিথ্যা বানোয়াট ও ভূলতথ্য দিয়ে সংবাদ প্রচার করে, উক্ত অনুসন্ধানী টিমের সকল সাংবাদিকদের সম্মান ক্ষুন্ন করেছেন । আমন্ত্রিত সাংবাদিকদেরকে আটককৃতদের সাথে কথা বলার সুযোগ দেননি ওসি আসলাম। তাই গণমাধ্যমের কর্মীরা সঠিক তথ্য ও সংবাদ প্রকাশে ব্যর্থ হয়েছেন বলে নারায়ণগঞ্জের স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীরা জানান।
উল্লেখিত বিষয়ে জাতীয় সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ সহ সকল সংগঠনের সহযোগিতা নিয়ে মামলার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। এবং ওসি আসলামের বিচার ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে গণ স্বাক্ষর কার্য্যক্রম চলছে । গণমাধ্যমের সম্মান ক্ষুন্ন করা এবং একজন নির্ভীক সংবাদ কর্মীকে কথিত ও চাঁদাবাজ বানিয়ে মিথ্যা মামলায় জেল খাটানোর দায়ে ওসি আসলাম ও এস আই শুভর বিচার না হওয়া পর্যন্ত মানববন্ধন, সংবাদ সম্মেলন, ও প্রতিবাদ সমাবেশ অব্যাহত থাকবে । সকল সংবাদকর্মীদের সংঘঠনের দাবি অবিলম্বে তদন্ত কমিটি গঠন করে ওসি আসলাম সহ জড়িত সকলকে তদন্ত পূর্বক বিচারের আওতায় এনে গণমাধ্যমকে বির্তক মুক্ত করতে হবে। আমরা মাননীয় প্রধান মন্ত্রী , স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী, তথ্য মন্ত্রী ও পুলিশের মহাপরিদর্শক এর হস্তক্ষেপ কামনা করছি। বিস্তারিত অনুসন্ধানী চলছে চোখঁ রাখুন।

(ঢাকারনিউজ২৪.কম/এসডিপি/১০:০৮পিএম/২৪/৭/২০১৯ইং)