• ঢাকা
  • বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ০৩:৫১ অপরাহ্ন

ফতুল্লায় জঙ্গী আস্তানা : খবর নেই ওসির কাছে, অভিযান করল এন্টি টেরোরিজম ইউনিট


প্রকাশের সময় : সেপ্টেম্বর ২৭, ২০১৯, ৭:৫৯ AM / ৩৬
ফতুল্লায় জঙ্গী আস্তানা : খবর নেই ওসির কাছে, অভিযান করল এন্টি টেরোরিজম ইউনিট

নারায়ণগঞ্জ সংবাদদাতা : নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় জঙ্গী আস্তানার খবর পেয়ে অভিযান চালায় এন্টি টেরোরিজম ইউনিট। অথচ ফতুল্লা থানার ওসির কাছে কোন রকম খবর বা তথ্য নেই। কেন না তিনি সব সময় ব্যস্ত থাকেন বিচার ও জমির দরবার নিয়ে এমন অভিযোগ উঠেছে ওসির বিরুদ্ধে।

জানা গেছে, গত সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) গভীর রাত থেকে মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ফতুল্লা থানাধীন তক্কারমাঠ এলাকায় জয়নাল আবেদিনের বাসায় অভিযান চালায় এন্টি টেরোরিজম ইউনিট। একের পর এক বিষ্ফোরেন বিকল করা হয় উদ্ধারকৃত বোমা। এসময় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেন তারা। অথচ ফতুল্লা মডেল থানার ওসি আসলাম হোসেনের যোগদানের পর থেকে এ থানা এলাকায় চরম অবনতি ঘটেছে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি। হত্যা, ধর্ষণ, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ড’র ঘটনা ঘটেই চলেছে প্রতিনিয়ত। উক্ত থানা এলাকায় চিহ্নিত মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গী ও চাঁদাবাজদের দৌরাত্ম বেরেই চলেছে। মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসীর কাছ থেকে বিশাল অংকের মাসোয়ারা নেয় কিছু অসাধু কর্মকর্তা। আর এর পেছনে রয়েছে ওসি ফতুল্লা এমন কথাও এখন ওপেন সিক্রেট। শুধু তাই নয় ফতুল্লায় বিভিন্ন এলাকায় ঘটে যাওয়া ঘটনার কোন আসামীও ঠিক মত গ্রেপ্তার হয় না। এছাড়া দেওভোগ এলাকার শাকিল হত্যা মামলার আসামীদেরকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি ফতুল্লা থানা পুলিশ। এ হত্যা মামলায় র‌্যাব-১১’র অভিযানে প্রধান আসামী চাপাতি তুহিনকে গ্রেপ্তারের পর ক্রসফায়ারে নিহত হয়। এতেও ফতুল্লা থানার ওসির ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে। শুধু তাই নয় তক্কারমাঠ এলাকায় জঙ্গী আস্তানায় এন্টি টেরোরিজম ইউনিটের অভিযানের কয়েকদিন পূর্বে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা মো. আরিফ মাদক, জঙ্গী, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে লিফলেট বিতরণ করেন। ওই অনুষ্ঠানে ওসি আসলাম হোসেনকেও আমন্ত্রন করা হয়। শুধু তাই নয় তিনি না এসে এসআই রাকিবকে পাঠান ওই মাদক বিরোধী লিফলেট বিতরণ কার্যক্রমে। পাশপাশি জঙ্গী আস্তানার অপরদিকে কয়েকটি আড্ডাখানা রয়েছে। সেখানে প্রতিদিন ফতুল্লা থানার ওসির নির্দেশে দারোগারা সেখানে গিয়ে ধান্দাবাজি করে এমন তথ্যও উঠে এসছে। অথচ রাস্তার অপরদিকেই জঙ্গী আস্তানা ও বোমা ছিল। এখন প্রশ্ন উঠেছে ওই জঙ্গীদের সাথেও কি সম্পর্ক রয়েছে। একই সাথে তক্কারমাঠ এলাকায় গড়ে উঠেছে কিশোর গ্যাং। প্রতিনিয়ত চলছে চাঁদাবাজি, জমজমাট মাদক ব্যবসা ও ভূমিদস্যুদের দৌরাত্ম।

স্থানীয় বাসিন্দাদের সাথে কথা বলে জানা, মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গী ও চাঁদাবাজের দৌরাত্ম ঘটেই চলেছে। চরম অবনতি হয়েছে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির। বেরেই চলেছে হত্যা,গুম, ধর্ষণ, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি ও জঙ্গীবাদের মত ঘটনা। এসকল ঘটনা বন্ধে তার তেমন কোন ভুমিকা পাওয়া যাচ্ছে না। এতো কিছুর পরেও পুলিশ সুপার হারুন অর রশীদের মত এতো দক্ষ এসপি থাকার পরেও কিভাবে এরকম ওসি বহাল থাকে। এরম ত ওসিকে প্রত্যাহার করে একজন ভাল ওসিকে এখানে দায়ীত্ব দেয়ারও অনুরোধ জানান স্থানীয়রা।

এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আসলাম হোসেন ফতুল্লার তক্কারমাঠ এলাকায় জঙ্গী আস্তানার কোনো তথ্য তার কাছে ছিল না বলে স্বীকার করেন।

অপরদিকে আলোচিত শাকিল হত্যার ৪ জন আসামীকে গ্রেপ্তার করলেও কোন দু’জন আসামী স্বীকারোত্তিমূলক জবানবন্দী সে ব্যাপারে তিনি জানেন না।

তবে তিনি জানান, শাকিল হত্যা মামলার ৪ আসামীকে নারায়ণগঞ্জ সদর, দেওভোগ, মুন্সীগঞ্জ ও কুমিল্লা জেলা থেকে আটক করা হয়।

 
(ঢাকারনিউজ২৪.কম/আরএম/৭:৫২এএম/২৭/৯/২০১৯ইং)