• ঢাকা
  • সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ০২:০২ পূর্বাহ্ন

প্রার্থীদের সম্পদের পরিমাণ আলাদিনের চেরাগের মতো : রিজভী


প্রকাশের সময় : ডিসেম্বর ১৪, ২০২৩, ১২:৪৭ AM / ১৬৮
প্রার্থীদের সম্পদের পরিমাণ আলাদিনের চেরাগের মতো : রিজভী

ঢাকারনিউজ : প্রার্থীদের হলফনামায় সম্পদের যে হিসাব তা ‘আলাদিনের চেরাগের মতো’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

বুধবার(১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে এক ভার্চুয়াল সংবাদ ব্রিফিংয়ে মন্ত্রী, এমপি ও আওয়ামী লীগ নেতাদের হলফনামার চিত্র তুলে ধরে এ মন্তব্য করেন তিনি।

রিজভী বলেন, একদলীয় পাতানো নির্বাচন উপলক্ষে তাদের মন্ত্রী-এমপি-ডামি-উচ্ছিষ্টভোগী স্বতন্ত্রদের হলফনামা পড়লে মনে হয় যেন আরব্য উপন্যাসের সেই বিখ্যাত আলাদিনের চেরাগ। আবার কারোটা দেখলে মনে হয় সাদ্দামের বেহেস্ত। তাদের বাড়ি-গাড়ি, বিদেশে অভিজাত এলাকায় এপার্টমেন্ট, ডুপ্লেক্স সব কিছু মিলেই মনে হয় যে, তারা সাদ্দামের বেহেস্তে বসবাস করছেন।

তিনি আরও বলেন, ৫ বছর থেকে ১৫ বছরের মন্ত্রী-এমপি ও তাদের নেতারা অর্থ সম্পদের পাহাড় গড়েছেন। অনেকে প্রায় কপট থেকে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ ও বট গাছ হয়েছেন। তাদের স্ত্রী, সন্তান ও শাশুড়িরাও টাকার কুমিরে পরিণত হয়েছেন।

আওয়ামী রাজনীতি এমন একটি ব্যবসা যেখানে কোনো ঝুঁকি নেই লোকসান নেই বলে উল্লেখ করেন রিজভী।

তিনি বলেন, ‘সাধারণ ব্যবসায়ীদের লোকসান হলেও আওয়ামী রাজনৈতিকদের কোনো লোকসান নেই। তারা যে ব্যবসাই করছেন তাতেই লাভ আর লাভ। শেয়ার ব্যবসায় তারা কেউ ক্ষতির মুখোমুখি হননি। কৃষিখামার এবং মাছের ব্যবসাতেও বহু গুণ লাভ করেছেন। স্বামীদের ব্যবসা দেখাশোনা করতে গিয়ে স্ত্রীরাও কোটি কোটি টাকার অর্থ-সম্পদের মালিক হয়েছেন।

বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব বলেন, হলফনামা ধরে প্রতিদিন সংবাদপত্রে যে বিবরণ প্রকাশিত হচ্ছে তা দেখে জনগণের চক্ষু চড়কগাছের অবস্থা। তারা ভাবতে থাকে আমরা কি একটা বাস্তব জগতে বাস করছি? না কি সেই রূপকল্পের জগতে, না কি স্বর্গরাজ্যে বাস করছি। এটাও সম্ভব! একেকজন মানুষের সম্পদ ২০০ গুণ, ৩০০ গুণ, ৪০০ গুণ ৫০০ গুন। কেউ আবার পাঁচ বছরে ৭০০ গুণ সম্পদেরও মালিক হয়েছেন।

তিনি বলেন, অবস্থা এমন হয়েছে যে, টাকার পাহাড়ে ঘুমান মন্ত্রী-এমপি-নেতারা। যে মন্ত্রী-এসপি নিজেকে কৃচ্ছ্র সাধনের বরপুত্র বলে জাহির করতেন, কিংবা যিনি জনসম্মুখে সততার পরাকাষ্ঠা প্রদর্শনের নাটক করতেন, তাদের শঠতার বীভৎস বিগ্রহ জনগণের সামনে উন্মোচিত হয়েছে। যারা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন তাদের প্রায় সবারই নগদ অর্থকড়ি-বিত্ত সম্পদ দ্বিগুণ থেকে প্রায় হাজার গুন হয়েছে।

রুহুল কবির রিজভী আরও বলেন, তাদের হলফনামায় সম্পদের সামান্যই প্রদর্শন করা হয়েছে। অবৈধ অর্থ, বিদেশে পাচার করা অর্থ, সেকেন্ড হোম, বিদেশি গচ্ছিত সম্পদের হিসাব নেই। যারা আওয়ামী লীগ করেন তাদের ব্রতই যেন লুটপাট করে অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়া। তাদের সম্পদের ছিটেফোঁটা মাত্র হলফনামায় উঠে এসেছে। এমপি-মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীরাও অনেক তথ্য গোপন করছেন।

রিজভী বলেন, হলফনামায় তারা যেসব সম্পদের কথা বলেছেন এটা তো নগণ্য। আসলে বাস্তবে এর চাইতে আরও কত গুন তাদের সম্পদ যা তারা আড়াল করেছেন।