• ঢাকা
  • রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০৯:৫৬ পূর্বাহ্ন

প্রধানমন্ত্রী মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান রক্ষা করেছেন : আবীর আহাদ


প্রকাশের সময় : এপ্রিল ১৩, ২০১৮, ৮:০৫ PM / ৯৩
প্রধানমন্ত্রী মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান রক্ষা করেছেন : আবীর আহাদ

ঢাকারনিউজ২৪.কম, প্রেস বিজ্ঞপ্তি : একাত্তরের মুক্তিযোদ্ধা’র আহ্বায়ক লেখক গবেষক আবীর আহাদ বলেছেন সম্প্রতি কোটাবিরোধিতার অজুহাতে একটি বিভ্রান্ত অকৃতজ্ঞ মেধাবী (!) প্রজাতি ধ্বংসাত্মক ও বিকৃত আন্দোলনের নামে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি যে জঘন্য আচরণ করেছেন তার পরিপ্রেক্ষিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু-কন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল করে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান রক্ষা করেছেন।

শুক্রবার(১৩ এপ্রিল) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন।

আবীর আহাদ বলেন, আমরা মুক্তিযোদ্ধারা কোনোদিন কোনোকালে চাকরির কোটা ও সম্মানী ভাতার জন্য দাবি তুলে আন্দোলন করিনি। মহান মুক্তিযুদ্ধে আমাদের ত্যাগ ও বীরত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ তৎকালীন ‘অশিক্ষিত অর্দ্ধশিক্ষিত গন্ডমূর্খ’ কৃতজ্ঞ বাঙালি জাতির পক্ষ থেকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু প্রজাতন্ত্রের চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য একটি কোটার প্রচলন করেছিলেন। কিন্তু বঙ্গবন্ধু নিহত হওয়ার পর প্রায় দুই যুগ কোটাসহ সর্বক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধারা চরম অবহেলার পাত্রে পরিণত হন। ছিয়ানব্বই সালে বঙ্গবন্ধু-কন্যা ক্ষমতায় এসে মুক্তিযোদ্ধাদের চরম দুরাবস্থার কথা বিবেচনা করে নিজ অনুভূতি থেকে কোটা পুনর্বহালসহ সম্মানী ভাতা প্রদান করেন । কিন্তু পরিতাপের বিষয় এই যে, মুক্তিযোদ্ধাদের সৃষ্ট দেশের আলো-বাতাসে জন্ম-নেয়া একটি বিরাটসংখ্যক অকৃতজ্ঞ স্বঘোষিত মেধাবী প্রজাতি 2018 সালে এসে কোটা সংস্কারের নামে যেভাবে বিকৃত ও ধ্বংসাত্মক আন্দোলনের নামে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি অসৌজন্যমূলক আচরণ করেছেন তাতে মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে গোটা ধরণী কেঁপে উঠেছে । মুক্তিযোদ্ধাদের এ মর্মবেদনা অনুভব করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল করে আমাদের সম্মান রক্ষা করেছেন । সুতরাং যে বাস্তবতায় মুক্তিযোদ্ধাদের কোটা বাতিল করা হয়েছে সেটিকে বহাল করার দাবি জানানো হলে তা হবে চরম নির্লজ্জতা ও বেহায়াপনা । তবে কোটা সংস্কার ও বাতিলের বিষয়ে আমরা এ-কথাটা বলতে পারি যে, যে কোটা মুক্তিযোদ্ধাদের উপহার দিয়েছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, সেটিকে সংস্কার ও বাতিল করে বঙ্গবন্ধুকেই প্রকারান্তরে অসম্মান করা হয়েছে । তবে আমরা আমাদের ঐতিহাসিক মর্যাদা রক্ষার জন্য আরো যেকোনো ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত । আমরা কারো কাছে, কোনাকিছুর কাছে ভিক্ষে চেয়ে আত্মমর্যাদা বিসর্জন দিতে পারি না ।

আজ একাত্তরের মুক্তিযোদ্ধার কার্যালয়ে স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠকে সভাপতির বক্তব্যে আবীর আহাদ উপরোক্ত মন্তব্য করেন । স্টিয়ারিং কমিটির সভায় আলোচনায় অংশ নেন সদস্য সচিব আবুল বাশার, আজিজউদ্দিন আহমেদ, কামাল আহমেদ, তৌসিফুল বারি খান, মতিউর রহমান, মতিউর রহমান (সেনা)সহ আমির আলী, ক্যাপ্টেন শামসুল হক (অব:), নজরুল ইসলাম, এডভোকেট সাইফুল আলম প্রমুখ ।

সভায় ‘বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি প্রদান ও মুক্তিযোদ্ধা তালিকা থেকে ভুয়াদের অপসারণে’র দাবিতে আগামী 30 এপ্রিল জাতীয় প্রেসক্লাবে একটি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে পরবর্তী কর্মসূচি প্রণয়নের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় । উক্ত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত হওয়ার জন্য যথাসময়ে একাত্তরের মুক্তিযোদ্ধার জেলা ও উপজেলার নেতৃবৃন্দকে আমন্ত্রণ জানানো হবে ।

সভায় বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধারা যে উৎসাহ ও উদ্দীপনা নিয়ে একাত্তরের মুক্তিযোদ্ধা সংগঠনে ঐক্যবদ্ধ হচ্ছেন, সে-জন্য তাদের প্রতি ধন্যবাদ জানানোসহ অন্যান্য জেলা ও উপজেলায় কমিটি গঠনের জন্য বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি আহ্বান জানানো হয় ।

সভায় একাত্তরের মুক্তিযোদ্ধার কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় অংশগ্রহণের লক্ষ্যে সকল সদস্যের সহযোগিতা অব্যাহত রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয় । প্রেসবিজ্ঞপ্তি

(ঢাকারনিউজ২৪.কম/আরএম/৮:০৫পিএম/১৩/৪/২০১৮ইং)