• ঢাকা
  • সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ০৯:২৫ পূর্বাহ্ন

নীলফামারীতে তৃণমূল পর্যায়ে সংগঠিত হচ্ছে ছাত্রদল


প্রকাশের সময় : জুন ১৪, ২০১৭, ৩:৩৬ AM / ৮২
নীলফামারীতে তৃণমূল পর্যায়ে সংগঠিত হচ্ছে ছাত্রদল

 

ঢাকারনিউজ২৪.কম, নীলফামারী : নীলফামারীতে তৃণমুল পর্যায়ে সংগঠিত হওয়ার প্রস্তুতি শুরু করেছে ছাত্রদল। ঝিমিয়ে থাকা নেতাকর্মীদের চাঙ্গা করাসহ সাংগঠনিক গতিশীলতা ফেরাতে নতুন উদ্যমে কাজ করার প্রক্রিয়া হাতে নিয়েছে সদ্য গঠিত জেলা কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্তরা। ইতোমধ্যে দায়িত্ব পেয়ে জেলা পর্যায়ে বর্ধিত সভা করে দলকে শক্তিশালী করতে সাংগঠনিক কার্যক্রম শুরু করেছে নেতারা। উদ্যোগ নেয়া হয়েছে মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি বিলুপ্ত করে নতুন কমিটি গঠনেরও। তৃণমূল নেতাকর্মীদের মতামতের ভিত্তিতে এবং যোগ্য নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন করা হবে। যাতে করে প্রকৃত নেতারা জায়গা পান নতুন কমিটিতে।

দীর্ঘদিন ক্ষমতার বাহিরে থাকায় অনেকটা নিশ্চুপ হয়ে পড়েছে ছাত্রদলের অনেক নেতাই। তাদেরও সাংগঠনিক কাজে সম্পৃক্ত করার প্রক্রিয়া করছেন নতুন নেতারা। নেতারা বলছেন, গণতান্ত্রিক পরিবেশ বিরাজ না করলেও সাধ্যমত দলীয় সকল কর্মকান্ড পালন, সাংগঠনিক কর্মসূচীর বিস্তার ঘটানো হবে তৃণমূল পর্যায়ে।

জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মারুফ পারভেজ প্রিন্স বলেন, দেশে অতীতের আন্দোলন সংগ্রামে প্রমাণ করে ছাত্রদল কতটা শক্তিশালী এবং কতটা জনপ্রিয় সংগঠন। সকল অপশক্তিকে ধ্বংস করার পেছনে ভূমিকা রেখেছে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরাই। তিনি বলেন, নীলফামারীতে ছাত্রদলের শক্ত অবস্থান রয়েছে। যেটা সরকারের দমন পীড়নের কারণে অনেকটা ঝিমিয়ে গেছে। ঝিমিয়ে থাকা অঙ্গণকে আবারও চাঙ্গা ভাবে ফেরাতে কাজ শুরু করেছি আমরা।

দলীয় সূত্র জানায়, ছাত্রদলের নীলফামারী জেলা কমিটির আওতায় ১৫টি ইউনিট রয়েছে। যেগুলোকে নতুন ভাবে গোছানো হবে। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে কমিটি গঠনের চিন্তা রয়েছে জেলা নেতাদের। যাতে করে যোগ্য এবং মেধাবীরা কমিটিতে জায়গা পান।

জেলা ছাত্রদল সূত্র জানায়, ২০১০ সালে মোর্শেদ আযমকে আহ্বায়ক করে ১৭সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয় জেলা ছাত্রদলের। ওই কমিটি দায়িত্ব পালন করে চলতি বছরের ২৩ এপ্রিল পর্যন্ত। আর ২৪এপ্রিল সালেহিন আহমেদ সজিবকে সভাপতি ও মারুফ পারভেজ প্রিন্সকে সাধারণ সম্পাদক এবং সুহৃদ হোসেনকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে দশ সদস্যের নতুন জেলা কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় কমিটি। নতুন কমিটি দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে সাংগঠনিক তৎপরতা শুরু করে নীলফামারী জেলায়। যার বহিঃপ্রকাশ ঘটে জেলা কমিটির সভা ও বর্ধিত সভার মাধ্যমে।
জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সুহৃদ হোসেন বলেন, আমরা ছাত্রদলকে গোছাতে চাই। ব্যাপক সংখ্যক শিক্ষার্থীদের ছাত্রদলের পতাকাতলে নিয়ে আসতে চাই। যাতে করে ছাত্ররা সরকারের নেতিবাচক কর্মকান্ডকে প্রত্যাখ্যান করতে পারে।

তিনি বলেন, সারাদেশে ছাত্রসংসদ গুলোয় ছাত্রদলের আধিপত্য ছিলো। কিন্তু নির্বাচন না হওয়ার কারণে শিক্ষার্থীরা সেখানে ছাত্রদলের নেতাদের বসাতে পারছেন না। এছাড়াও জেলা বিএনপির প্রাক্তন সভাপতি প্রকৌশলী শাহরিন ইসলাম তুহিনের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মিথ্যে মামলা প্রত্যাহারে সরকারের প্রতি আহবান জানান সুহৃদ হোসেন। নির্বাচন না হলেও শিক্ষার্থীদের কাছে পছন্দের সংগঠন হলো জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। এ জন্য দলকে আমরা শক্তিশালী করে গতিশীলতায় নিয়ে যেতে চাই।

নতুন নেতাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ছাত্রদলের কাঁধে অনেক দায়িত্ব পড়েছে। বিএনপি চেয়ারপার্সন ও ছাত্রদলের সাংগঠিনক নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া যখন যেভাবে ডাক দেবেন সেভাবে নামতে চান তারা। বাস্তবায়ন করতে চান নেত্রী ঘোষিত ভিশন ২০৩০। তারা বলছেন আন্দোলন এবং নির্বাচন দুটো নিয়ে সাংগঠনিক কাজ করতে চায় নেতা কর্মীরা।

জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সালেহিন আহমেদ সজিব বলেন, গ্রামে-গঞ্জে ছাত্রদলের কর্মী রয়েছে। তারা বিভিন্ন কারণে সংগঠনিক হতে পারেননি এতদিন। তাদের আমরা সংগঠিত করতে চাই। প্রতিটি ইউনিটকে মজবুত করে সাংগঠনিক ভাবে শক্তিশালী হিসেবে দেখতে চাই। সেজন্য প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে শুধু অপেক্ষার পালা। প্রতিটি নেতা কর্মীকেই আমরা মুল্যায়ন করতে চাই। যাতে করে তারা দেশনেত্রীর আহবানে সাড়া দিতে পারেন। দায়িত্ব পাওয়া নতুন জেলা কমিটিতে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক এবং সাংগঠনিক সম্পাদক ছাড়াও অন্যরা হলেন- রশিদুল ইসলাম(সিনিয়র সহ-সভাপতি), সাইদ হোসেন বাবু, সানাউল হক তনি, মীর সাইদ আল মেহেদী, মামুনুর রশিদ বসুনিয়া সজীব (সহ-সভাপতি), আরমান আলী খান ও আদনান হোসেন বিপ্লব (যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক)।
(ঢাকারনিউজ২৪.কম/এসডিপি/৩:৩৫পিএম/১৪/৬/২০১৭ইং)