• ঢাকা
  • রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ১১:২৭ অপরাহ্ন

নারায়ণগঞ্জ কলেজ ও ডাচ্ বাংলা ব্যাংকের অনিয়ম, ছাত্রদের ভোগান্তি


প্রকাশের সময় : এপ্রিল ২৮, ২০১৮, ৩:৪২ PM / ৬৫
নারায়ণগঞ্জ কলেজ ও ডাচ্ বাংলা ব্যাংকের অনিয়ম, ছাত্রদের ভোগান্তি

 

ঢাকারনিউজ২৪.কম, নারায়ণগঞ্জ : নারায়ণগঞ্জ শহরের ২নং রেল গেটে (বি.বি. রোডে) অবস্থিত ডাচ্ বাংলা ব্যাংকের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও হয়রানীর অভিযোগ করেছেন নারায়ণগঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের ইন্টারমিডিয়েট দ্বিতীয় বর্ষের বেশক’জন ছাত্র। তাদের অভিযোগ, কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ভর্তির শেষ দিন ছিল ২৮ এ্রপ্রিল(শনিবার)। তাই প্রচন্ড গরমে ডাচ্ বাংলা ব্যাংকের এই শাখায় যেয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকে তারা। শেষ পর্যন্ত টাকা জমা না নিয়ে সেচ্ছাচারিতা করে পরবর্তী তারিখ ঘোষণা দিয়ে ছাত্রদেরকে দ্রুত সেখান থেকে বের করে দেয় ব্যাংক কতৃপক্ষ।

এ প্রসঙ্গে দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ভুক্তভোগি শাকিব উল্লাহ পুলক অভিযোগ করে বলেন, ২য় বর্ষের ছাত্রদের ভর্তির টাকা জমা দেয়ার আজকে ছিলো শেষ দিন। তাই কলেজের বেতন বইয়ে স্বাক্ষর করে আর সবার মতো আমিও চলে যাই ২নং রেল গেটস্থ ডাচ্ বাংলা ব্যাংকের শাখায়। সেখানে গিয়ে প্রচন্ড গরমে নাস্তানাবুদ হয়েও দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকি ঘন্টার পর ঘন্টা। লাইনটি ততক্ষণে নিচতলা পর্যন্ত বড় হয়ে গেছে। প্রত্যেকেরই লক্ষ্য ভর্তির শেষ সুযোগটি নেয়া। কিন্তু ঘন্টার পর ঘন্টা গরমে ঘর্মাক্ত অবস্থায় অপেক্ষার পর হঠাৎই ব্যাংক কতৃপক্ষ কলেজ কতৃপক্ষের বরাত দিয়ে আগামী ৩০ এ্রপ্রিল ভর্তির টাকা নেয়া হবে জানিয়ে আমাদেরকে সেখান থেকে দ্রুত বের করে দেন। অথচ, ৩০ তারিখ একই বর্ষের মেয়েদের(ছাত্রীদের) ভর্তির টাকা জমা দেয়ার তারিখ পূর্ব নির্ধারিত।

একই বর্ষের লিমন, পিয়াস, শাহরিয়ার, রাসিব সহ আরো অনেকেই প্রশ্ন করে বলেন, যেখানে ব্যাংক কতৃপক্ষ ছাত্রদের চাপ সহ্য করতে পারেন না, সেখানে মেয়েদের ভর্তির দিনে কিভাবে একইসাথে ছেলে-মেয়েদের চাপ গ্রহন করবে? নাকি মেয়েদেরকেও এই ধরনের হেনস্তার শিকার করবে তারা?

অভি ইনজামুল হাসান বলেন, এটি কলেজ কর্তৃপক্ষের দোষ। কারণ, এই কলেজে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের সামান্য ২০ টাকাও ব্যাংকে গিয়ে জমা দিতে যেতে হয়। এতে করে অনেক সময় নষ্ট হয়ে যায়।

পারভেজ রহমান বলেন, কলেজে টাকা জমা দিতে গেলে স্যাররা বলে- ‘এই টাকার দায়ভার আমরা নিতে পারব না’।

পারভেজ আরো বলেন, সামান্য একটা প্রত্যয়নপত্রের জন্য ১০০ টাকাও ব্যাংকে গিয়ে জমা দিতে বলে কলেজ কতৃপক্ষ। অথচ ভর্তির ৫০০০ টাকার সাথে আরো ১০০ টাকা বাড়িয়ে নিতে তাদের কোনো দায়ভার থাকে না। লেনদেনের ক্ষেত্রে নারায়ণগঞ্জ কলেজ এর মতো প্যারা আর কোনো কলেজে নেই।

অনিক মালেক বলেন, সব কাজ এর জন্য যদি ব্যাংকে টাকা জমা দিতে হয় তাহলে কলেজের মধ্যেই ব্যাংক এর একটা শাখা খোলা হোক।

এ ব্যাপারে বক্তব্যের জন্য কলেজের টিএন্ডটি নাম্বারে বারবার কল করেও কেউ ফোন রিসিভ করেনি। একইভাবে ব্যাংক কর্তপক্ষও ফোনটি রিসিভ করেন নি।

ছাত্রদের দাবি, ব্যাংকের মাধ্যমেই যদি কলেজের শিক্ষার্থীদের সকল লেনদেন করতে হয়, তাহলে কর্তৃপক্ষ যেনো অতিসত্তর কলেজের ভেতরেই ব্যাংকের একটি শাখা খোলা দেয়।
(ঢাকারনিউজ২৪.কম/এসডিপি/৩:৪০পিএম/২৮/৪/২০১৮ইং)