• ঢাকা
  • শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ১০:১৮ অপরাহ্ন

‘নামায না পড়লে কী হয়েছে, ঈমান ঠিক আছে’


প্রকাশের সময় : জানুয়ারী ১৫, ২০১৯, ৪:৪৭ PM / ২৪
‘নামায না পড়লে কী হয়েছে, ঈমান ঠিক আছে’

ঢাকারনিউজ২৪.কম, ডেস্ক : নামায না পড়া বড় গুনাহগুলোর অন্যতম একটি। কোন বিশ্বাসী বান্দা নামায ছেড়ে দিতে পারে না। কিন্তু কিছু মানুষ অজ্ঞতাবশত নিজের এ অন্যায় ঢাকতে একটি কথার আশ্রয় নেয়- “নামায না পড়লে কী হয়েছে, ঈমান ঠিক আছে!”

অথচ যার ঈমান ঠিক আছে সে কীভাবে নামায ছেড়ে দিতে পারে? কেননা নামাযই তো ঈমানের প্রধান আলামত। আর নামাযই হল ঈমান ও কুফরের মধ্যকার পার্থক্যরেখা। হাদীস শরীফে ইরশাদ হয়েছে-

بَيْنَ الرّجُلِ وَبَيْنَ الشِّرْكِ وَالْكُفْرِ تَرْكُ الصّلَاةِ

ব্যক্তি ও শিরক-কুফরের মাঝের পার্থক্যরেখা হল, নামায। -সহীহ মুসলিম, হাদীস: ৮২

এমনিভাবে জাবের ইবনে আবদুল্লাহ রা.-কে জিজ্ঞাসা করা হল-

مَا كَانَ يُفَرِّقُ بَيْنَ الْكُفْرِ وَالْإِيمَانِ عِنْدَكُمْ مِنَ الْأَعْمَالِ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللهِ صَلّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلّمَ؟ قَالَ: الصّلَاةُ.

“রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের যুগে আপনাদের কাছে কোন্ জিনিস ঈমান ও কুফরের মাঝে পার্থক্য বিধানকারী ছিল? তিনি বললেন, নামায।” -শারহু উসূলি ই‘তিকাদি আহলিস সুন্নাতি ওয়াল জামাআহ, বর্ণনা ১৫৩৮

হাদিস শরীফে আরও এসেছে, নবীজি (সা.) বলেন,

اَلْعَهْدُ الَّذِيْ بَيْنَنَا وَبَيْنَهُمُ الصَّلاَةُ فَمَنْ تَرَكَهَا فَقَدْ كَفَرَ

“আমাদের এবং তাদের (কাফেরদের) মধ্যে যে প্রতিশ্রুতি, তা হলো নামায। অতএব যে (পুরোপুরিভাবে) নামায ছেড়ে দিল সে কুফরী করল।” (হাদীসটি ইমাম আহমাদ এবং আহলে সুনান সহীহ সূত্রে বর্ণনা করেছেন)

সুতরাং আমরা নামাযের প্রতি যত্নবান হব; কখনো নামায পরিত্যাগ করব না এবং এজাতীয় শয়তানী ধোঁকার বাক্য মুখে আনব না।

(ঢাকারনিউজ২৪.কম/আরএম/৪:৪৮পিএম/১৫/১/২০১৯ইং)