• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ০৯:২২ অপরাহ্ন

ধর্মগুরুর শাস্তি ঘোষণা আজ হরিয়ানায় টান টান উত্তেজনা


প্রকাশের সময় : অগাস্ট ২৮, ২০১৭, ৪:১৫ PM / ৫০
ধর্মগুরুর শাস্তি ঘোষণা আজ হরিয়ানায় টান টান উত্তেজনা

ঢাকারনিউজ২৪.কম, হরিয়ানা : টান টান উত্তেজনা ভারতের হরিয়ানা। ৭ স্তরের নিরাপত্তা বেষ্টনিতে ঢেকে ফেলা হয়েছে রোহটাকের জেলখানা। সেখানেই আর অল্প সময়ের মধ্যে ধর্ষক, নারীলোভী, স্বঘোষিত ধর্মগুরু গুরমিত রাম রহিম সিংয়ের বিরুদ্ধে শাস্তি ঘোষণা করা হবে। এ জন্য সারা ভারত অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে।

নিরাপত্তার স্বার্থে আজ আদালত বসবে জেলখানার ভিতরেই। এ জন্য রোহটাক কার্যত অচল হয়ে পড়েছে নিরাপত্তা বেষ্টনির কারণে। রোহটাকের পুলিশ জনগণকে সতর্ক করেছে। বলেছে, কোনো বিশৃংখল অবস্থা দেখা গেলেই গুলি করা হবে। তিন দিন আগে রাম রহিমকে ধর্ষণে অভিযুক্ত করাকে কেন্দ্র করে সহিংসতায় নিহত হয়েছেন কমপক্ষে ৩৮ জন। অনলাইন এনডিটিভি এ খবর দিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, আজ রাম রহিমকে ধর্ষণের অভিযোগে সাত বছর জেল দেয়া হতে পারে। এ জন্য তাকে অভিযুক্ত করা সিবিআইয়ের স্পেশাল কোর্টের বিচারক জগদিপ সিংকে আকাশপথে উড়িয়ে নেয়া হবে রোহটাকের ওই আদালতে।

তিনিই শুক্রবার রাম রহিমকে অভিযুক্ত করার পর তাকে আটকে রাখা হয়েছে জেলে। সেই জেলের আশপাশের সব সড়ক বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। মোতায়েন করা হয়েছে আধাসামরিক বাহিনীর কমপক্ষে তিন হাজার সদস্যকে। রোহটাকের ডেপুটি কমিশনার (ডিসি) অতুল কুমার সাংবাদিকদের বলেছেন, কাউকে বিশৃংখলা বা বিঘœ ঘটানোর মতো অবস্থায় দেখা গেলে তাকে সতর্ক করা হবে প্রথমে। যদি তাতে নিবৃত না হয় সে, তাহলে গুলি করা হবে। শুক্রবার রাম রহিমকে ধর্ষণে অভিযুক্ত করার পর তার হাজার হাজার সমর্থক, ভক্ত রাজপথে দাঙ্গা সৃষ্টি করে। তারা বাসে, গাড়িতে আগুন দিয়ে উল্লাস করে। সম্পত্তি ভাঙচুর করে। মিডিয়া, সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালায়। এতে কয়েক কোটি রুপির ক্ষতি হয়েছে।

এ পরিস্থিতিতে হরিয়ানায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৯ শতাধিক মানুষকে। পাঞ্জাব ও হরিয়ানার হাই কোর্ট আগেই নির্দেশ দিয়েছে, সহিংসতার কারণে আজ বিচারক জগদিপকে আকাশপথে নিয়ে যেতে হবে জেলের ভিতরে স্থাপিত অস্থায়ী আদালতে। ওদিকে রাম রহিমের ডেরা’য় অবস্থান নেয় প্রায় ৩০ হাজার ভক্ত। তাদেরকে সিরসা শহরের ওই ডেরা থেকে রোববার বের করে দেয়া হয়েছে। এক হাজার একরের বেশি জায়গায় প্রতিষ্ঠিত এই ডেরা। এতে প্রবেশপথগুলোতে শত শত সেনা ও দাঙ্গা পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। হরিয়ানার সব স্কুল কলেজ বন্ধ রাখা হয়েছে। পাঞ্জাবেও কিছু স্কুল কলেজ বন্ধ রয়েছে। ওদিকে গাজিয়াবাদ ও নয়ডাতে বন্ধ রয়েছে সব স্কুল। ওদিকে হরিয়ানা ও পাঞ্জাবে ১৩০ টিরও বেশি ডেরা ক্যাম্পাসে তল্লাশি চালিয়েছে পুলিশ। সেখান থেকে উদ্ধার করা হয়েছে বেশ কিছু অস্ত্র। রয়েছে লাঠি, লোহার রড, বোমা তৈরির সরঞ্জাম। সিরসা ক্যাম্পাসের কাছেই একটি গাড়িতে পাওয়া গেছে দুটি একে-৪৭ রাইফেল ও একটি পিস্তল। দাঙ্গাকারীদের সতর্ক করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেছেন, যারাই আইন নিজের হাতে তুলে নেবে, সহিংসতা ছড়িয়ে দেবে তাদের ছেড়ে দেয়া হবে না। তা তিনি যে-ই হোন না কেন।
(ঢাকারনিউজ২৪.কম/এসডিপি/৪:১২পিএম/২৮/৮/২০১৭ইং)