• ঢাকা
  • শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ০৭:২১ পূর্বাহ্ন

দিনে দিনে অপরাধের জালে জড়িয়ে যাচ্ছে কিশোর সমাজ, সচেতনতা জরুরি


প্রকাশের সময় : সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৩, ২:৩১ PM / ৫০২
দিনে দিনে অপরাধের জালে জড়িয়ে যাচ্ছে কিশোর সমাজ, সচেতনতা জরুরি

মো. শফিকুল ইসলাম আরজু : ১৮ বছরের উর্ধে যদি কেউ কোন অপরাধ মূলক কাজ করে তাকে বলা হয় অপরাধী এবং ১৮ বছরের নিচে কেউ কোন অপরাধ করে থাকলে তাকে শিশু বা কিশোর অপরাধী হিসেবে ধরে নেয়া হয়। প্রাপ্ত বয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত একজন পুরুষ বা নরীকে আমরা শিশু বা কিশোর হিসেবে গন্য করে থাকি। প্রাপ্ত বয়স্ক না হওয়াতে কিশোরের পূর্ণ অধিকার ও স্বাধীনতা যেমন থাকে না ঠিক তেমনি তার ইচ্ছে শক্তির মতপ্রকাশের পূর্ণতা পায়না। এ জন্য সন্তানের পিতা মাতা ভাই বোনের সিদ্ধান্তই নাবালক সন্তানের সিদ্ধান্ত বলে বিবেচিত হয়ে থাকে । এ জন্য কিশোর কোন অপরাধ করলে আমরা তাদের অভিভাবকেই দোষারোপ করে থাকি। অথচ কিশোর তাদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন না হয়ে যৌবনের শক্তিকে নিজ ইচ্ছে শক্তি ভেবে জীবন পরিচালনা করতে গিয়ে রঙ্গীন স্বপ্নে বিভোর হয়ে যায়। সহজ ও অবৈধভাবে অর্থ উপার্জনের মাধ্যমে উচ্চ বিলাসী জীবন গড়তে সামাজিক ও আইনী বাঁধা নিষেধ না মেনে, ন্যায় অন্যায় না বুজে অপরাধের পথে দিনে দিনে পা বাড়িয়ে দিচ্ছে । সমাজ ও আইনের চোখে হচ্ছে কিশোর অপরাধী।

কিশোর অপরাধ সম্পর্কে আইনে শাস্তি ধার্য করা আছে এবং এদের সংশোধনের জন্য শাস্তি শিথিল করতে কিশোর অপরাধ কারাগার ও প্রশিক্ষণ সেন্টার গড়ে তোলা হয়েছে। তবে বিভিন্ন দেশে কিশোর বয়স গণনায় তারতম্য রয়েছে। কোনো কোনো দেশে ১৩ থেকে ২২ বছর আবার কোনো দেশে ১৬ থেকে ২১ বছর বয়সী কেউ অপরাধ করলে কিশোর অপরাধী হিসেবে বিবেচিত হয়। জাপানে ১৪ বছরের, ফিলিপাইনে ৯ বছরের এবং ভারত, শ্রীলঙ্কা ও মিয়ানমারে ৭ বছরের কম বয়সী শিশুদের অপরাধ শাস্তিযোগ্য নয়। বাংলাদেশে ১৮ বছরের কেউ অপরাধ করলে কিশোর অপরাধী হিসেবে বিবেচিত হয় ।

আসলে এ কিশোর অপরাধী বা কিশোর গ্যাং কারা। এরা কোন জাতী বা গোত্রের নয়। এরা আমাদের সমাজের উশৃংখল, ডানপিটে, অবাধ্য বখাটে সন্তান । কেহ উচ্চ বিলাসী পিতা মাতার আদারের দুলালী। কেহ দারিদ্রতার আঘাতে অবহেলিত সন্তান। কেহ পিতা মাতার আদর স্নেহ থেকে বঞ্চিত। এরা বিচ্ছিন্ন ভাবে গড়ে উঠা একটি ছন্নছাড়া সংঘবদ্ধ দল। আমাদের চোখে অপরাধী চক্র। এরা যে শ্রেনীর সন্তানই হোকনা কেনো আমার একবাক্যে সবাই আঙুল তুলে তাদেরকে কিশোর অপরাধী হিসেবেই সমাজে চিহ্নিত করে থাকি।

আমরা সবাই জানি প্রযুক্তি যেমন আশির্বাদ তেমনি আমাদের জন্য ও ভয়ংকর অভিশাপ।
সমাজের কিছু সার্থবাজ, চাঁদাবাজ, মাদক কারবারি কিশোরদের প্রযুক্তিগত সুবিধা দিয়ে গড়ে তুলছে চাচ্ছে অপরাধের স্বর্গ। তারা স্বর্গের চুড়ায় বসে কিশোরদের মৃত্যুর মুখে নামিয়ে দিয়ে নিজেরা বিলাসী জীবন কাটাচ্ছে।
অপরাধী চক্রটি কিশোরদের দ্রুত গন্তব্যে পৌঁছাতে যানবাহন হিসেবে দিচ্ছে কাগজপত্র ও রেজিষ্ট্রেশন বিহীন মোটরসাইকেল। অনেকে পরিবারকে চাপের মুখে ফেলে নিত্য নতুন মডেলের ব্যবহার করছে গাড়ি। হাতে তুলে দিচ্ছে এনড্রেএট মোবাইল ফোন। জনসাধারণের মাঝে আতঙ্ক সৃষ্টি করতে কার্যক্ষেত্রে দেশী ও বিদেশি নানা ধরনের অস্র এবং মারমুখী আচরণ।

প্রতিনিয়তই আমরা খবরের কাগজে, টেলিভিশনের পর্দায়, লোকমুখে কিশোর গ্যাং এর আক্রমণের খবর শুনে থাকি।কিন্তু এদের নিয়ন্ত্রণ করছে কে বা কারা সেটা লোক চক্ষুর অন্তরালেই রয়ে যায়। অনেকের মতে কিশোর সমাজকে অপরাধীরা বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করলেও তারা কখনোই তাদের দ্বায়িত্বে নেই। এর কারন হিসাবে ধরে নেয়া যায় কিশোরদের প্রতিটি কাজে মূল্য নির্ধারণ করে কাজের দ্বায়িত্ব প্রদান করা হয়। ফলে তাদের বাঁচা মরা গ্রেফতার হওয়া নিয়ে কোন মাথা ব্যাথা নেই অপরাধী চক্রের। ফলে সন্তানের দ্বায়িত্ব পরিবারের লোকজনকেই ঝামেলা পোহাতে হয়। অনেকে ঝামেলায় পড়ে কোন সহযোগিতা না পেয়ে সুস্থ জীবনে ফিরে আসে, আবার অনেকে আরো বেপরোয়া হয়ে উঠে।

কিশোর অপরাধকে কমিয়ে আনতে হলে আমাদের সন্তানদের প্রতি যত্নশীল হতে হবে। তারা কি করে, কাদের সাথে সঙ্গ দেয়,কখন বাসা থেকে বের হয়, কখন বাসায় ফিরে, তাদের পোশাক, আচার- আচরণ ও ব্যবহারের প্রতি নজর রাখতে হবে। সন্তানকে সময় দিতে হবে, বন্ধুর মতো মিশে যেতে হবে। খারাপ- ভালো সম্পর্কে বুজাতে হবে।একটি সুন্দর উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ তার জন্য অপেক্ষা করছে। এ লক্ষ্যে সন্তানকে গড়ে তুলতে হবে।চিন্তা চেতনার বিকাশ ঘটাতে হবে।

আমরা আমাদের চারপাশে দেখতে পাই কিশোরদের মাথার চুলের উগ্র ফ্যাশন,রাস্তার মোড়ে মোড়ে আড্ডা, স্কুল, কলেজ, মার্কেটর সামনে বসেথাকা আচরন ভঙ্গি। নির্জন স্থানে বসে মাদক সেবন,এনড্রোয়েট মোবাইল হাতে সারিবদ্ধ হয়ে বসে থেকে গেম খেলা বা মোবাইল জুয়া । দিনে রাতে বিকট হর্ণ বাজিয়ে মোটরসাইকেল ও গাড়ি নিয়ে ঘুরে বেড়ানোর দলবদ্ধ মোহরা। নিজের চাহিদা পূরন করতে চুরি, ছিনতাই,মাদকদ্রব্য বিক্রি সহ নানা ধরনের অপরাধ মূলক কাজ। অনেকে আবার জড়িয়ে আছে সাইবার ক্রাইমে। এ ছাড়াও অপহরন,ক্ষুন,ধর্ষণের মতো ঘৃণিত অপরাধ করে যাচ্ছে।

সূত্রে জানা যায়, ১৯৫০ সালে জাতিসংঘের দ্বিতীয় কংগ্রেসের অধিবেশনে কিশোর অপরাধের বিষয়ে বলা হয়– কিশোর অপরাধের সংজ্ঞার ওপর অতিশয় গুরুত্ব দেয়ার প্রয়োজন নেই। তবে অপ্রাপ্তবয়স্কদের দ্বারা সংঘটিত সব ধরনের অপরাধ আইন ভঙ্গমূলক এবং খাপছাড়া বা অসংগতিপূর্ণ এমন আচরণ যা সমাজস্বীকৃত নয়– এসবই কিশোর অপরাধ।

বাংলাদেশে দণ্ডবিধি ১৮৬০-এর ধারা ৮২ অনুযায়ী ৯ বছরের কম বয়স্ক কোনো ব্যক্তির অপরাধমূলক কাজকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয় না। ধারা ৮৩ অনুযায়ী ১২ বছর বয়স্ক কোনো কিশোরও যদি তার কাজের প্রকৃতি ও ফলাফল বুঝতে সক্ষম না হয় তাহলে তাকেও অপরাধী বলে গণ্য করা হবে না। শিশু আইন ২০১৩-এর ৪ ধারা বিদ্যমান ‘অন্য কোনো আইনে ভিন্নতর যাহা কিছুই থাকুক না কেন, অনূর্ধ্ব ১৮ বছর বয়স পর্যন্ত সব ব্যক্তি শিশু হিসেবে গণ্য হইবে।’ অর্থাৎ, দণ্ডবিধি ও শিশু আইন পর্যালোচনা করে বলা যায় ৯ বছর (ক্ষেত্রবিশেষে ১২ বছর) থেকে ১৮ বছর পূর্ণ হওয়ার আগে কেউ অপরাধ করলে শিশু বা কিশোর অপরাধী হিসেবে বিবেচিত হবে।

বিচারপ্রক্রিয়া এবং শাস্তির ক্ষেত্রে কিশোর অপরাধীদের অন্য অপরাধীদের থেকে ভিন্নভাবে বিবেচনা করা হয় কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থার পরিবর্তে সংশোধনমূলক ব্যবস্থাতেই জোর দেয়া হয়। বাংলাদেশে কিশোর অপরাধ সংশোধনের কার্যক্রম শুরু হয় ১৯৪৯ সালে ঢাকায় Brostal School প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে। স্বাধীনতার পর ১৯৭৪ সালে শিশু-কিশোরদের জন্য জাতীয় শিশু আইন প্রণীত হয়। টঙ্গীতে কিশোর সংশোধনী প্রতিষ্ঠান স্থাপিত হয়। বাংলাদেশ ১৯৯০ সালে জাতিসংঘ শিশু অধিকার সনদে সই করে। উক্ত সনদ এর বিধানাবলি বাস্তবায়নের নিমিত্ত ১৯৭৪ সালের শিশু আইন রহিত ২০১৩ সালে সরকার একটি নতুন শিশু আইন প্রণয়ন করেছে।

শিশুর মাধ্যমে সংঘটিত যেকোনো অপরাধের বিচার শিশু-আদালত করবে। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০-এর অধীন গঠিত প্রত্যেক নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল স্বীয় অধিক্ষেত্রে শিশু আদালত হিসেবে গণ্য হয়। শিশু আইন অনুযায়ী বিদ্যমান কোনো আইনের অধীন কোনো অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত অথবা বিচারে দোষী সাব্যস্ত কোনো শিশুকে সাধারণ জেলহাজতের পরিবর্তে নিরাপদ হেফাজতে (Safe Home) বা শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে বা প্রত্যায়িত প্রতিষ্ঠানে রাখার বিধান আছে।

এ ছাড়া কিশোর অপরাধীদের সংশোধনের জন্য বিচার চলাকালে শিশুবিষয়ক ডেস্ক, শিশুবিষয়ক পুলিশ কর্মকর্তা, প্রবেশন কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করে। শিশুর বিচার চলাকালে, আইনজীবী, পুলিশ বা আদালতের কোনো কর্মচারী আদালত কক্ষে তাদের পেশাগত বা দাপ্তরিক ইউনিফর্ম পরতে পারবেন না।

বিচার কার্যক্রমের যেকোনো পর্যায়ে আনুষ্ঠানিক বিচার কার্যক্রমের পরিবর্তে শিশুর পারিবারিক-সামাজিক, সাংস্কৃতিক-আর্থিক, মনস্তাত্ত্বিক পটভূমি বিবেচনাপূর্বক, বিরোধীয় বিষয় মীমাংসাসহ তার সর্বোত্তম স্বার্থ নিশ্চিতকল্পে বিকল্প পন্থা (diversion) গ্রহণ করার বিধান আছে।

গ্রেপ্তার করার পর কোনো শিশুকে হাতকড়া বা কোমরে দড়ি বা রশি লাগানো, কোনো শিশুকে নিবর্তনমূলক আটকাদেশ-সংক্রান্ত কোনো আইনের অধীন গ্রেপ্তার বা আটক করা নিষেধ। শিশু আইন, ২০১৩-তে শিশুর প্রতি নিষ্ঠুরতা, শোষণ, অসৎ পথে পরিচালনাকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে গণ্য করা হয়েছে।

কিন্তু কথা হচ্ছে আইন যতই সংশোধনের ব্যবস্থা করুক, বিচার ব্যবস্থা যতই শিশুবান্ধব হোক, কোনো শিশু একবার অপরাধের পথে চলে গেলে তাকে ফিরিয়ে আনা সহজ নয়। প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধ উত্তম। তাই কোনো শিশু-কিশোর যেন অপরাধের পথে বা বিপথে যেতে না পারে তার জন্য আমাদের সচেতন ও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ জরুরি। এর জন্য মূল হচ্ছে পরিবার। সব অপরাধীই কোনো না কোনো পরিবারের সন্তান। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষা দেয়া হয়। কিন্তু শিক্ষার সঙ্গে থাকা চাই দীক্ষা– এই দীক্ষা শিশুরা পায় পরিবার থেকে; সমাজ থেকে। তথ্য-প্রযুক্তির এই যুগে তরুণ প্রজন্মকে নানাবিধ অপসংস্কৃতি থেকে রক্ষা করতে হলে আমাদের নজর রাখতে হবে তারা কী শোনে-দেখে, কার সঙ্গে মিশে, মোবাইল-ইন্টারনেট, অনলাইন গেমস, পর্নোগ্রাফি-মাদকাসক্ত হচ্ছে কি না– এটা পরিবার ছাড়া কেউ আগে ধরতে পারবে না। একেবারে ছোট বয়স থেকেই শিশুকে বই পড়া, বিখ্যাত ব্যক্তিদের জীবনী পড়ার প্রতি আকৃষ্ট করে তোলা উচিত।

সূত্রে আরো জানা যায়, বর্তমানে বাংলাদেশে কিশোর অপরাধ সংশোধনের জন্য বিভিন্ন কার্যক্রম চলমান আছে। বাংলাদেশে কিশোর অপরাধ সংশোধনের কার্যক্রম শুরু হয় ১৯৪৯ সালে ঢাকায় Brostal School প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে। পরবর্তীতে ১৯৭৪ সালে কিশোর আদালত এবং টঙ্গীতে কিশোর সংশোধনী প্রতিষ্ঠান স্থাপিত হয়। এ ছাড়া কিশোর অপরাধীদের সংশোধনের জন্য কিশোর হাজত, প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, প্রবেশন, প্যারোলসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও বিশেষ ব্যবস্থা প্রচলিত আছে। এসব প্রতিষ্ঠান ও ব্যবস্থার মূল লক্ষ্য শাস্তির পরিবর্তে সংশোধনের ওপর গুরুত্বারোপ করে অপরাধী কিশোরদের সমাজের মূল ধারায় ফিরিয়ে আনা। আধুনিক ও বৈজ্ঞানিক উপায়ে কিশোরদের সংশোধনের ব্যবস্থা করাই এ সকল কার্যক্রমের মূল লক্ষ্য। বাংলাদেশে কিশোর ও কিশোরী উন্নয়ন কেন্দ্র রয়েছে ৩ টি । এর মধ্যে ২ টি কিশোর ও ১ টি কিশোরীদের জন্য। কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্র দুটি গাজীপুরের টঙ্গী ও যশোরের পুলেরহাটে অবস্থিত।

আমরা অভিভাবকরা যদি আমাদের সন্তানদের নিয়ন্ত্রণ করতে না পারি তা হলে আগামীতে আরো ভয়াবহ রুপ নিবে।দিনে দিনে তাদের অপরাধের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। পরিবার থেকে যদি সন্তানকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব না হয় তা হলে আমরা সরকারি ভাবে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সাথে যোগাযোগ করে ভয়ংকর এ পথ থেকে সন্তানদের ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করতে পারি। সন্তানকে সমাজ ও আইনের চোখে অপরাধী নয় বরং একজন আলোকিত মানুষ হিসেবে তাদের গড়ে তুলতে পারি। তাহলে পরিবারকে লোক লজ্জার ভয়ে মাথা নত না হয়ে গর্বিত ভাবে জনসম্মুখে বেঁচে থাকা সম্ভব।

লেখক –
মো. শফিকুল ইসলাম আরজু
কবি, সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী 
০১৬৭৭১১৬৪৬১