• ঢাকা
  • রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০৬:৩৩ অপরাহ্ন

তিতাসে পানি নেই, বিপাকে ৩ উপজেলার ২৭ গ্রামের কৃষক


প্রকাশের সময় : ফেব্রুয়ারী ১৪, ২০১৯, ১১:৩৩ PM / ৩৫
তিতাসে পানি নেই, বিপাকে ৩ উপজেলার ২৭ গ্রামের কৃষক

কুমিল্লার প্রতিনিধি : বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ। আর ‘তিতাস’ এর মধ্যে বেশ পরিচিত। এই নদীটি ঘিরে ১৯৫৬ সালে অদ্বৈত মল্লবর্মণ ‘তিতাস একটি নদীর নাম’ উপন্যাস রচনা করে বেশ ক্ষতিও অর্জন করেছিলেন।
পরবর্তী সময়ে ১৯৭৩ সালে ‘তিতাস একটি নদীর নাম’ অবলম্বনে ঋত্বিক ঘটক একটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন। যা ২০০৭ সালে ব্রিটিশ ফিল্ম ইন্সটিটিউটের এক জরিপে দর্শক, চলচ্চিত্র সমালোচকদের ভোটে এটি সবার সেরা ১০টি বাংলাদেশী চলচ্চিত্রের তালিকার মধ্যে শীর্ষস্থান লাভ করেন।

ভারতের আগরতলায় উৎপত্তি হয়ে বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলা দিয়ে প্রবেশ করেছে। সেখান থেকে শাহবাজপুর টাউন অঞ্চলের সীমানা ঘেঁষে আরো দক্ষিণ দিকে ভৈরব-আশুগঞ্জ হয়ে মুরাদনগর, হোমনা ও তিতাস উপজেলার উপর দিয়ে বৃহত্তম নদী মেঘনায় গিয়ে মিসেছে।

এক সময় বছরের অধিকাংশ সময় এই নদীর উপর চোখে পড়তো সারি সারি পালতোলা নৌকা। আর এই নদী থেকে পানি উত্তলন করে কৃষি জমিতে ফসল ফলাত তিন উপজেলার প্রায় ২৭টি গ্রামের কৃষক। অথচ এখন খননের অভাবে সেই নদীতে পানি নেই। নদী পৃষ্ঠে বপন করা হচ্ছে ইরি-বোরো ধান ক্ষেত। বছরের চার মাস নদীতে পানি থাকলেও বাকি আট মাস থাকে পানি শূন্য। যা থেকে উত্তলন চায় তিন উপজেলার কৃষকরা।

নাগেরকান্দি গ্রামের কৃষক খোকন মিয়া বলেন, এই নদীর পানি উত্তলন করে আমরা খুব সহজে ফসল ফলাতে পারতান। বর্তমানে নদীতে পানি না থাকায় আমাদের কৃষি কাজ করতে ভিশন কষ্ট হয়ে যায়। সরকার যদি নদীটি খনন করার ব্যবস্থা করতো তাহলে সারা বছর নদীতে পানি থাকতো। যা থেকে কৃষি কাজ করতে আমাদের প্রায় ২৭টি গ্রামের কৃষকদের খুব সহজ হতো এবং কৃষি কাজ করে কৃষকরা লাভবান হতে পারতো সহজে।

মুরাদনগর উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, সারা বছরে এ উপজেলায় তিন প্রকারের ধান চাষ হয়। এর মধ্যে বোরো ১৭ হাজার ৭৫০ হেক্টর, আউশ সাত হাজার ৫০০, রোপা আমন পাঁচ হাজার ৯৯০ হেক্টর। সর্বমোট ৩১ হাজার ২৪০ হেক্টর জমি চাষ করেন কৃষকরা। উপজেলার রামচন্দ্রপুর উত্তর ও শ্রীকাইল ইউনিয়নে দুই হাজার হেক্টর জমি অনাবাদি থেকে যায় সেচ ব্যবস্থার অভাবে। অথচ এক সময় তিতাস নদীর পানি এসব জমির পানির প্রয়োজন মেটাতো।
(ঢাকারনিউজ২৪.কম/এসডিপি/১১:৩৪পিএম/১৪/২/২০১৯ইং)