সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি : সুনামগঞ্জে পাচাঁরের সময় ১০লক্ষ টাকা মূল্যের ভারতীয় ২০টি গরু আটক করেছে বিজিবি। প্রতিদিনের মতো আজ সোমবার সকাল ৬টায় জেলার তাহিরপুর উপজেলার লাউড়গড় ও চাঁনপুর সীমান্তের রাজাই,কড়ইগড়া,বারেকটিলা ও যাদুকাটা নদীর তীর দিয়ে বিজিবির সোর্স পরিচয়ধারী মাদক ও চাঁদাবাজি মামলার জেলখাটা আসামী আবু বক্কর,তার সহযোগী রফিকুল,নুরু মিয়া,নবীকুল মিয়া,জজ মিয়া,এরশাদ মিয়া,নাজমুল মিয়া,শহিদ মিয়া,আক্তার মিয়া,দিলহাজ মিয়া, আনসারুল,আমিনুলগং সিন্ডিকেডের মাধ্যমে ১টি গরু থেকে চাঁনপুর বিজিবি ক্যাম্পের নামে ২হাজার টাকা,লাউড়গড় ক্যাম্পের নামে ২হাজার টাকা,থানার নামে ১৫শ টাকা,উত্তর বড়দল ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের নামে ১হাজার টাকা,সম্্রাট মেম্বারের নামে ৫শ টাকাসহ মোট ১০হাজার টাকা করে ৩০টি গরু থেকে সর্বমোট ৩লক্ষ টাকা,৫হাজার পিচ ইয়াবা থেকে ৫০হাজার টাকা ও ১২কার্টন মদ পাচাঁরের জন্য ৬হাজার টাকা চাঁদা নিয়ে ভারত থেকে এসব অবৈধ মালামাল পাচাঁর করার সময় খরব পেয়ে লাউড়গড় বিজিবি ক্যাম্প কমান্ডার হাবিব অভিযান চালিয়ে ২০টি গরু আটক করেন। কিন্তু বাকি মালামালসহ উপরের উল্লেখিত চোরাচালানীদেরকে গ্রেফতার করতে পারেননি। অথচ উপরের উল্লেখিত চোরাচালানীদের বিরুদ্ধে একাধিক চাঁদাবাজি,কয়লা ও মাদক চোরাচালান মামলা রয়েছে। চোরাচালানীরা সীমান্ত এলাকা দিয়ে এসব অবৈধ মালামাল পাচাঁর করার পর বাদাঘাট বাজার,কামড়াবন্দ,শিমুলতলা, লাউড়গড়,বিন্নাকুলি,চাঁনপুর,রজনীলাইন,দুধেরআউটা,লাকমা,লালঘাট ও তাহিরপুর সদরে নিয়ে ওপেন বিক্রি করেছে বলে জানাগেছে। এব্যাপারে চাঁনপুর ক্যাম্পের সোর্স পরিচয়ধারী চোরাচালানী আবু বক্কর বলেন,আমার বিরুদ্ধে মাদকের মামলা দিয়েই কিছু করতে পারেনি,পত্রিকায় লেখালেখি করলে আর কি হবে। লাউড়গড় ক্যাম্পের সোর্স পরিচয়ধারী নুরু মিয়া বলেন,দীর্ঘদিন জেলখেটে হাইকোর্ট থেকে ২বছরের স্থায়ী জামিন নিয়ে এসেছি,লেখালেখি করে আমাদের কি করতে পারেন দেখি। এই ক্যাম্পের সোর্স নবীকুল মিয়া বলেন,যত পারেন লেখালেখি করেন,আমাদের কিছুই হবেনা। সুনামগঞ্জ ২৮ব্যাটালিয়নের বিজিবি অধিনায়ক মাকসুদুল আলম বলেন,চোরাচালান ও চাঁদাবাজি সাথে জড়িত ব্যক্তিদের হাতেনাতে গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে।
(ঢাকারনিউজ২৪.কম/আরএম/৭:২৭পিএম/১৫/৪/২০১৯ইং)
আপনার মতামত লিখুন :