• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ০২:২৩ অপরাহ্ন

তাহিরপুরের ইউএনওর বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কারির অভিযোগের সাক্ষ্যগ্রহণ


প্রকাশের সময় : জুলাই ১, ২০১৯, ৬:৫২ PM / ৭৮
তাহিরপুরের ইউএনওর বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কারির অভিযোগের সাক্ষ্যগ্রহণ

 

নাইম তালুকদার, সুনামগঞ্জ : সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলা নির্বার্হী কর্মকর্তা মো: আসিফ ইমতিয়াজের বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কারীর বিষয়ে স্মাক্ষী দিতে আসেন ওই নারী।

সোমবার দুপুর সাড়ে ১২ টায় সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা মেজিষ্ট্র্যাট মো: হারুনূর রশিদের কার্যালয়ে অভিযুক্ত ইউএরনও অসিফ ইমতিয়াজ ও অভিযোগকারী ওই নারীর শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
শুনানীতে নারীর পক্ষে অংশগ্রহণ করেন, সুনামগঞ্জ সংরক্ষিত আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এড: শামছুন্নাহার বেগম শাহানা রব্বানী, এডিশনাল এপিপি এড: সামসুল অবেদীন ও এড: হিমেল। অভিযোগকারী নারী প্রকাশ্যে উপস্থিত সাংবাদিকদের কাছে ইউএনও আসিফ ইমতিয়াজের প্রেম পরবর্তী তাকে ফুসলিয়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তার সাথে সংসার করার কথা জানান। ওই নারী জানান, তাকে চাকুরী দিবেন বলে আসিফ ইমতিয়াজ তার কাছ থেকে ১১ লাখ ৭০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন। সম্পর্কের এক পর্যায়ে কাবিন নামা করে দীর্ঘদিন তারা স্মামী-স্ত্রীর মতো বাসা ভাড়া নিয়ে ঢাকার মীরপুরে একটি ফ্লাটে বসবাস করলেও হঠাৎ ওই নারীর গর্ভে সন্তান আসায় ইউএনও তাকে সন্তান নষ্ট করার কথা বলেন। ইউএনওর এমন প্রস্তাবে রাজী না হলে ওই নারীকে বিয়ে না করার জন্য জানিয়ে দেন। পরে ওই নারী জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয়ে ইউএনও বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। এ কারণে ইউএনও তার লোক দিয়ে ওই নারীর উপর হামলা চালালে অন্ত:স্বত্তা অবস্থায় তিনি একটি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গেলে তার প্রচণ্ড রক্তক্ষরণ হয়ে গর্ভের সন্তান নষ্ট হয় বলে জানান ওই নারী। জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয়ে ওই নারীর ইউ্এনও বিরোদ্ধে অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রথম দফা সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (স্থানীয় সরকার বিভাগ শাখা) মো: এমরান হোসেনকে দায়িত্ব দিলে ওই নারী এমরান হোসেনের সাথে কথা বল্লে তিনি প্রভাবিত হয়েছেন মর্মে আবারো তদন্ত কর্মকর্তা পরিবর্তন করার জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয়ে লিখিত আবেদন করেন। ওই ভিকটিম নারীর আবেদনের পর সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা মেজিষ্ট্র্যাট মো: হারুন উর রশিদ কে বিষয়টি তদন্ত করে রির্পোট দিতে বলা হয়েছে।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত তাহিরপুর উপজেলার ইউএনও আসিফ ইমতিয়াজের সাথে কথা বলতে চাইলে তিনি তার হাতে থাকা ফাইল দিয়ে মুখ ঢেকে বক্তব্য দেবেন না বলে জানিয়ে একটি কক্ষে দ্রুত প্রবেশ করেন।

এ ব্যাপারে তদন্তকারী কর্মকতার্ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ হারুনুর রশিদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান উভয়পক্ষের স্বাক্ষ্যগ্রহন চলছে। স্বাক্ষ্যগ্রহন শেষে তদন্ত সাপেক্ষে প্রমানিত হলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

(ঢাকারনিউজ২৪.কম/আরএম/৬:৫৪পিএম/১/৭/২০১৯ইং)