• ঢাকা
  • রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০৪:০২ অপরাহ্ন

টানা বৃষ্টিতে মুন্সীগঞ্জে আলুর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি


প্রকাশের সময় : ফেব্রুয়ারী ২৮, ২০১৯, ১১:১৫ PM / ১৪২
টানা বৃষ্টিতে মুন্সীগঞ্জে আলুর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

মো. লিটন মাহমুদ, মুন্সীগঞ্জ থেকে : তিন দিনের বৃষ্টিতে মুন্সীগঞ্জের সিরাজদীখান উপজেলাজুড়ে আলুতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। সপ্তাহ খানেক পরই আলু উত্তোলন শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। এরই মধ্যে তিন দিনের বৃষ্টিতে জমিতে পানি জমে আলু পচে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন কৃষকরা।
গতকাল বুধবার সরেজমিন উপজেলার ইছাপুরা, মধ্যপাড়া ও রশুনীয়া ইউনিয়ন ঘুরে কৃষকদের সঙ্গে কথা হলে তারা এ কথা জানিয়েছেন। কৃষকরা জানান, মার্চের শুরুতেই উপজেলার গ্রামগুলোতে আলু উত্তোলনের মহোৎসব শুরু হয়ে থাকে। মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে জমি থেকে আলু উত্তোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন কৃষকরা।

বিক্রমপুরের জনপ্রিয় ‘মাসিক বিক্রমপুর’ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুল হাসান মুকুট এ বছর ১২ হেক্টর জমিতে আলু চাষ করেছেন। তিনি জানান, গেল চার বছর লোকসান গুনতে হয়েছে। তবে এবার আলুতে ভালো দাম পাবেন- এমন আশা করছেন। কাজেই গেল চার বছরের লোকসান পুষিয়ে উঠতে এবার আলুতে লাভের আশায় বুক বেঁধেছেন। কিন্তু গতকালের বৃষ্টিতে আলুর ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা আছে।

এদিকে, সোমবার থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টির কারণে জমিতে পানি জমে আলুতে পচন ধরার আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। গতকাল বুধবার পর্যন্ত বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে আলু ক্ষেতে পানি জমে গেছে। এতে ক্ষেতে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। পানি জমে যাওয়ায় আলুতে পচন ধরতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন কৃষকরা।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সূত্রমতে, এ বছর সিরাজদীখান উপজেলায় ৯ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে আলু আবাদ করা হয়েছে। গত বছর ৯ হাজার ৪৫০ হেক্টর জমিতে আলু আবাদ করা হয়েছিল। প্রতি বছর আলুচাষিরা লোকসানের কবলে পড়ায় আলু চাষের প্রতি তাদের অনীহা দেখা দিয়েছে।

এদিকে, আলু উত্তোলনের উৎসব শুরুর আগে দেশের উত্তরাঞ্চল থেকে শ্রমিকরা ইতিমধ্যেই আসতে শুরু করেছেন সিরাজদীখানের বিভিন্ন অঞ্চলে। আলু উত্তোলনে উত্তরাঞ্চলের শ্রমিকদের বেশ চাহিদাও রয়েছে এখানে। জমিতে আলু উত্তোলন করে বস্তা করা থেকে বিভিন্ন কাজ করতে হয় তাদের।

সিরাজদীখান উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুবোধ চন্দ রায় বলেন, মাটি ও জলবায়ু অনুকূলে থাকায় এ বছর সিরাজদীখানে অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে লক্ষ্যমাত্রার বেশি আলুর ফলন হবে বলে ধারণা করছি। তবে টানা বৃষ্টি যদি আরও দু-একদিন অব্যাহত থাকে, তাহলে আলুর পচন ধরতে পারে এবং কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন।

(ঢাকারনিউজ২৪.কম/কেএস/১১:১২পিএম/২৮/২/২০১৯ইং)