• ঢাকা
  • শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ০৫:৪৯ অপরাহ্ন

ঝিনাইদহে গ্রাম্য প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর শিক্ষক সংকট চরমে


প্রকাশের সময় : মার্চ ১, ২০১৯, ৫:৫২ PM / ৩০
ঝিনাইদহে গ্রাম্য প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর শিক্ষক সংকট চরমে

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি : উন্নত নাগরিক সুযোগ সুবিধা পেতে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ শহরমুখী। বদলি জনিত কারনে ঝিনাইদহ সদরের গ্রাম্য এলাকার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো পড়েছে চরম শিক্ষক সংকটে। বিঘ্নিত হচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষা ব্যাবস্থা।জাতীয় শিক্ষা নীতির সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে গ্রাম্য জনপদের কমলমতি শিক্ষার্থীরা। গ্রাম এলাকায় জাতীয় শিক্ষানীতি বাস্তবায়ন ব্যহত হচ্ছে শুধু শিক্ষক সংকটের কারনে। গ্রাম অপেক্ষা শহরের নাগরিক সুযোগ সুবিধা বেশি থাকায় গ্রামের মানুষ শহরমুখী। তাই গ্রামে প্রতিষ্ঠিত সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকগন রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে বা কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে শহরের স্কুলগুলোতে বদলি হয়ে চলে আসছে। শহরের স্কুলগুলোতে পদ না থাকলেও পদ সৃষ্টি করে অথবা ডেপুটেশনের সুযোগ কাজে লাগিয়ে চলে আসছে শহরের স্কুলগুলোতে। এছাড়াও পিটি আই এর ট্রেনিং ও মাতৃত্বকালীন ছুটির কারনে গ্রামের সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো প্রায় শিক্ষক শুণ্য হয়ে পড়েছে। অধিকাংশ স্কুলগুলোতে প্রধান শিক্ষকের পদ দীর্ঘদিন ধরে শুণ্য পড়ে আছে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে চলছে কোনমতে। যা দুই একজন আছে তারাও বদলি হতে না পেরে হতাশায় নিজের দায়িত্বটুকু ঠিকমত পালন করছে না। ক্লাসে না পড়িয়ে ঐ একই ক্লাসের ছাত্র ছাত্রী দিয়ে অন্যান্য ছাত্র ছাত্রীদের ক্লাস গ্রহণ করাচ্ছে।২৭ ফেব্রুয়ারী বুধবার দুপুর ১২.৩০ ঘটিকায় ঝিনাইদহ সদরের ১২০ নং মিয়াকুন্ড সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যেয়ে দেখা যায় যে, শিক্ষকরা অফিসকক্ষে বসে আছে আর ক্লাসে পড়াচ্ছে একই ক্লাসের ছাত্র ছাত্রীরা। তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী আখি খাতুন তার সহপাঠিদের দুইটি ক্লাস নিয়েছে বাকি ক্লাসগুলোও সে নিবে বলে জানায়। সে প্রত্যেকদিনই এভাবে ক্লাস নেয় বলে জানায়।ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জানায় এই বিদ্যালয়ে মোট ছাত্র ছাত্রীর সংখ্যা ১৭৮জন। শিক্ষক আছে ৪জন তার মধ্যে দুই জন আছে পিটিআইতে অবশিষ্টি দুইজন শিক্ষক কিভাবে ৬টি ক্লাস পরিচালনা করবো। আমরা বারবার উর্ধতন কর্মকর্তাদের বিষয়টি জানাচ্ছি কিন্তু তারা কোন ব্যাবস্থা গ্রহন করে না।এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ মোস্তাক আহম্মেদ বলে বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত আছি ইতোমধ্যে ঐ স্কুলে দুইজন শিক্ষককে বদলির জন্য প্রস্তাব করেছি।
(ঢাকারনিউজ২৪.কম/এসডিপি/৫:৫৩পিএম/১/৩/২০১৯ইং)