• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ০৯:১৭ পূর্বাহ্ন

জিএম কাদের বাদ, রওশন বিরোধীদলীয় উপনেতা


প্রকাশের সময় : মার্চ ২৪, ২০১৯, ১০:২৬ AM / ১৩৩
জিএম কাদের বাদ, রওশন বিরোধীদলীয় উপনেতা

ঢাকারনিউজ২৪.কম, ডেস্ক : জাতীয় সংসদে বিরোধী দলের উপনেতা হিসেবে গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদেরকে অপসারণ করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। জিএম কাদেরকে অব্যাহতি দিয়ে রওশন এরশাদকে সংসদের বিরোধীদলীয় উপনেতার দায়িত্ব দিয়েছেন এরশাদ।

২৩ মার্চ, শনিবার হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি খন্দকার দেলোয়ার জালালী গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান। শুক্রবার (২২ মার্চ) এক সাংগঠনিক নির্দেশে জিএম কাদেরকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে বলে জানান জালালী। এর এক দিন পরই সংসদ উপনেতার পদ হারালেন জিএম কাদের।

গত ১ জানুয়ারি এরশাদ এক বিবৃতিতে দলে তার উত্তরসূরি হিসেবে জিএম কাদেরকে মনোনীত করার কথা জানান। এরপর এরশাদের অনুপস্থিতিতে কাদেরের দায়িত্ব গ্রহণের পর ‘রওশনপন্থি’ হিসেবে পরিচিত নেতারা নাখোশ মনোভাবও দেখিয়েছেন বিভিন্ন সভায়। বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে জিএম কাদেরও সেই শীতল সম্পর্কেরই আভাস দিয়েছিলেন।

এর আগে ২০১৬ সালেও ভাই কাদেরকে কো-চেয়ারম্যান করলে দলের একটি অংশ ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। পরে জ্যেষ্ঠ কো-চেয়ারম্যানে পদ সৃষ্টি করে তাতে স্ত্রী রওশনকে বসান এরশাদ।

তার আগে এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদারকে সরিয়ে জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলুকে মহাসচিব করেছিলেন এরশাদ। রওশন সমর্থক হিসেবে পরিচিত বাবলুকে কটাক্ষ করে এক মন্তব্যের জন্য তখন একবার ভাই কাদেরকে সতর্ক করে নোটিস পাঠিয়েছিলেন এরশাদ।

দলের সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান রওশন এরশাদের সঙ্গেও জিএম কাদেরের দ্বন্দ্ব পুরনো। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর দলের নীতি-নির্ধারণী পর্যায়ের নানা বৈঠকে দুজন দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েছিলেন বলে স্বীকার করেছিলেন খোদ জিএম কাদের।

একই সঙ্গে সাংগঠনিক দায়িত্ব থেকেও অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে জিএম কাদেরকে। সাংগঠনিক নির্দেশে বলা হয়েছে, ‘জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে আমি এই মর্মে আমার পার্টির সর্বস্তরের নেতা-কর্মী-সমর্থক-শুভানুধ্যায়ী এবং সংশ্লিষ্ট সব মহলের জ্ঞাতার্থে জানাতে চাই, আমি ইতোপূর্বে ঘোষণা দিয়েছিলাম যে, আমার অবর্তমানে পার্টির কো-চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের পার্টি পরিচালনার সার্বিক দায়িত্ব পালন করবেন এবং আমি এটাও আশা প্রকাশ করেছিলাম যে, পার্টির পরবর্তী জাতীয় কাউন্সিল তাকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করবে। কিন্তু পার্টির বর্তমান সার্বিক অবস্থার বিবেচনায় আমার ইতোপূর্বেকার সেই ঘোষণা প্রত্যাহার করে নিলাম।’

নির্দেশে আরও বলা হয়, ‘যেহেতু কাদের পার্টি পরিচালনা করতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছেন, পার্টির সাংগঠনিক কার্যক্রম ঝিমিয়ে পড়েছে এবং তিনি পার্টির মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করেছেন। পার্টির সিনিয়র নেতারাও তার নেতৃত্বে সংগঠন করতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন। এমতাবস্থায় সংগঠনের স্বার্থে পার্টির সাংগঠনিক দায়িত্ব এবং কো-চেয়ারম্যানের পদ থেকে গোলাম মোহাম্মদ কাদেরকে অব্যাহতি দেয়া হলো। তবে তিনি পার্টির প্রেসিডিয়াম পদে বহাল থাকবেন। পার্টির গঠনতন্ত্রের ২০/১/ক ধারা মোতাবেক এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে, যা অবিলম্বে কার্যকর হবে।’

এরশাদ তার সাংগঠনিক নির্দেশে বলেন, ‘সংসদীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদেরকে অপসারণ করে রওশন এরশাদকে মনোনীত করা হলো।’

এরশাদ গঠনতন্ত্রের ২০১ক ধারা মোতাবেক এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন এবং তার এই মনোনয়ন গ্রহণের জন্য স্পিকারের কাছে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
(ঢাকারনিউজ২৪.কম/আরএম/১০:২৭এএম/২৪/৩/২০১৯ইং)