• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ১০:৪২ অপরাহ্ন

জলাবদ্ধতায় রাস্তাঘাট ডুবে কৃত্রিম বন্যার সৃষ্টি, দেখার কেউ নেই!


প্রকাশের সময় : মে ২, ২০১৮, ৭:২৪ PM / ৬৬
জলাবদ্ধতায় রাস্তাঘাট ডুবে কৃত্রিম বন্যার সৃষ্টি, দেখার কেউ নেই!

 

এ.আর.কুতুবে আলম, নারায়ণগঞ্জ : ফতুল্লার ইসদাইর গাবতলী নতুন বাজার, তাগারপাড়, লালপুর, চৌধুরীবাড়ি, পৌষারপুকুরপাড় এলাকায় টানা বষর্নে বৃষ্টির পানি জমে রাস্তায় কৃত্রিম বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। দেখার কেউ নেই। নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি আলহাজ্ব এ.কে.এম.শামীম ওসমান জলাবদ্ধতা নিরসনের আশ্বাস দিলেও জনগণ আজও তা বাস্তবায়নের রূপ রেখা দেখেনি।

এলাকা সূত্রে জানাযায়, বসন্ত ঋতুর চৈত্র মাস শেষ হতে না হতেই গ্রীষ্ম ঋতুর বৈশাখ মাসের প্রথমেই ঝড়ছে কালবৈশাখী ঝড় ও মুষল ধারায় বৃষ্টি অব্যাহত আছে। এই বৃষ্টির পানিতে ইসদাইর গাবতলী, তাগার পাড়, লালপুর পৌষার পুকুর পাড় এলাকার রাস্তারঘাট ডুবে গেছে পানিতে। পানির সাথে মিশ্রিত হচ্ছে ড্রেনের ময়লা যুক্ত পঁচা পানি। এই পানি রাস্তার উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে। প্রতিনিয়ত স্কুল কলেজ মাদ্রাসা ছাত্রছাত্রী অভিভাবকরা এবং বিভিন্ন কলকারখানার শ্রমিকরা পায়ে হেঁটে তাদের গন্তব্য স্থানে যাচ্ছে। অনেকই এই পচাঁ পানিতে হেঁটে নানা প্রকার চর্ম রোগে আক্রান্ত হয়ে পরেছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সরকারী দলের পদ পদোবি প্রাপ্ত নেতারা ও তাদের পরিবারের সদস্যরা কখনই এই পানির মধ্যে হাঁটতেছে না। কারন হিসেবে জনগন দেখেন তারা তাদের এসি, গাড়ীতেই চলাফেরা করছেন। র্দূভোগ পোহাতে হচ্ছে সাধারন জনগনের। ইসদাইর তাগার পাড় ,গাবতলী, পৌষার পুকুর পাড়ের অনেক বাড়ি ঘরেও পানি বন্দি আছে মানুষ। ইসদাইর ,গাবতলী, তাগার পাড় এলাকায় পানি ঘরে পানিতে ডুবে থাকায় নিচতলার অনেক মানুষ ছাদে খোলা আকাশে বসবাস করছে। ঐ এলাকার মানুষ এখন মানবেতর জীবন যাপন করছে এমনটাই বলছেন প্রত্যক্ষ দর্শীরা। এই জলাবদ্ধতার মধ্যে কর্ম তাগিদে ঘর থেকে বের হতে হচ্ছে।
লালপুর ,পৌষার পুকুরপাড় এলাকায় রিক্সা ভাড়াও দ্বিগুন । ফলে খেটে খাওয়া মানুষ পায়ে হেঁটে চলাফেরা করছে। আক্রান্ত হচ্ছে নানান সংক্রামক রোগে। ফতুল্লার টৌধুরী বাড়ি সড়ক হতে লালপুর পৌষারপুকুর পাড় মানিক ডাক্তারের হক ফার্মেসী পর্যন্ত রাস্তায় তাগারের পানির সাথে মিশে আছে বৃষ্টির পানি। সফর আলীর বাড়ি পাকিস্তানী খাদের সড়ক, আলআমিন বাগ, পাইনিউয়র সড়ক,লালপুর খানকা থেকে বোল্ডার সেলিমদের বাড়ির সড়কেও পানি। ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক এম.শওকত আলী চেয়ারম্যানের বাড়ির সামনের সড়কটিতেও জলাবদ্ধতা আছে। এই সড়কটিতে সর্ব সময়ই পানি জমে থাকছে। এ যেন তাদের চোখে পড়ছে না এমনটাই বলছে সাধারন জনগন। চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন প্রধানের বাড়ি থেকে হালিমা চেীধুরী বাড়ি পর্যন্ত গলি সড়কে পানি ও ময়লা জমে আছে। জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে কিছুই পাচ্ছে না এলাকাবাসী। বৃষ্টি ছাড়াও চৌধুরী বাড়ি এলাকায় ড্রেনের পানি জমে রাস্তায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। নিয়মিত ভাবে লক্ষ না রাখায় ড্রেনেস ব্যবস্থা অকেজো হয়ে পড়েছে। গতকাল ৩০এপ্রিল দুপুরে আবুল মিয়া জানান, “আমার গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালী ৪ আসন কলাপাড়া আমার এলাকার রাস্তাঘাট কত উন্নত তা না দেখলে বুঝবেন না। আমাদের এলাকার এম.পির চেয়ে প্রভাবশালী এই হানের এম.পি কিন্তু উন্নয়ন দেখিনা। আমি আমার ভাইয়ের বাসায় পৌষার পুকুর পাড়ে বেড়াতে আসছি। পানিতে রাতে ঘুমাতে পারিনাই। আজ দেশে যাই।” তার মতো গামেন্টর্সকর্মী রাশিদা বেগম, রিক্সা চালক জাহাঙ্গির, জানান ইসদাইর তাগার পাড়ে তারা ভাড়া থাকে তাদের ঘরেও পানিতে ডুবে সবকিছু তলিয়ে গেছে। তারাও আগামী মাসে গ্রামে চলে যাবে। পৌষারপুকুর পাড় এলাকার এক বাড়িওয়ালা জানান, আমাদেও লালপুরে নেতা খাতায় ভরা কিন্তু কেহ নাই জনগনের কষ্ট বুঝার। আজীবন ভোট দিয়েছি ধানের শীষে কিন্তু টিভিতে শেখ হাসিনা বক্তব্য শুনে আমাদের মন ভরে গেছে তাই নৌকায় ভোট দিলাম। আমার মতো অনেকেই নৌকায় ভোট দিয়েছে । ফলে কানন স্কুলে ধানের শীষের চেয়ে নৌকায় কবরী ভোট বেশি পেয়েছেন। কিন্তু আমরা তার সু ফল পাইনি। বরং ছেচড়া নেতারাদের দাপট দেখি দিনদিন। আমরা পৌষার পুকুরপাড় এলাকার মানুষ সাড়া বছরেই পানিতে ডুবে থাকি। সবাই লোক দেখানো কাজ করে। শাহ আলম সাহেব পাম্প বসালেও অকেজো আছে। সত্যিকারের সমস্যা হলো দেশ স্বাধীন হবার পর থেকেই ফতুল্লায় বাহিরের মানুষ এম.পি হয়। যার ফলে ফতুল্লা মানুষ উন্নয়নের ছোঁয়া থেকে বি ত। উল্লেখ্য বিএন,পির আমলে সাবেক এম.পি সিরাজ শহরের, গিয়াস উদ্দিন সিদ্ধিরগঞ্জের, শামীম ওসমানও শহরের । তিনি সিটি মেয়র নিবার্চনও করেছেন, শেষে এলেন কবরী তিনি নায়িকা আবার ঢাকার মানুষ । বর্তমানে শামীম ওসমান সে ফতুল্লার চেয়ে সিটি নিয়ে ভাবেন। কিন্তু এম.পি ফতুল্লার এমন মন্তব্য এখন ফতুল্লার সচেতন মহলের। তাদের দাবী সাড়া দেশে শেখ হাসিনা উন্নয়ন মানুষ দেখেন কিন্তু ফতুল্লার মানুষ উন্নয়নের বাজেট শুনেন বাস্তবে কাজে দেখেন না। জলাবদ্ধতায় ফতুল্লার সিংহভাগ এলাকার মানুষ র্দূভোগ পোহাচ্ছে। কবে হবে এর সমধান তা কেহই জানে না ।

বাংলাদেশের উন্নয়নের রূপকার ডিজিট্যাল দেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে চলছেন গণপ্রজা তন্ত্রী সরকারের প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা । তার সফল কর্ম কান্ড কে প্রশ্ন বিদ্ধ হচ্ছে সামান্য কতিপয়ে কয়েকজন গোড়ামী নেতা ও জনপ্রতিনিধিরদের জন্য। সুতরাং দেশরতœ মানষ কন্যার সরকারী কর্মকর্তারা সরাসরি দৃষ্টি দিলে ফতুল্লা বাসীর উপকারে আসবেন বলে সচেতন মহল মনে করেন।

ইসদাইর,গাবতলী, তাগারপাড়,লালপুর পৌষার পুকুর পাড়ের মানুষরা যেন জলাবদ্ধতা থেকে বাঁচতে পারে সে দিকে নজর দাবী করছেন সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্র্তৃপক্ষের প্রতি।
(ঢাকারনিউজ২৪.কম/কেএস/৭:২০পিএম/২/৫/২০১৮ইং)