• ঢাকা
  • শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ১২:২৩ অপরাহ্ন

জনসন অ্যান্ড জনসন কোম্পানির সর্বোচ্চ দরপতন


প্রকাশের সময় : ডিসেম্বর ১৫, ২০১৮, ৩:৪৭ PM / ২৯
জনসন অ্যান্ড জনসন কোম্পানির সর্বোচ্চ দরপতন

ঢাকারনিউজ২৪.কম, ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান জনসন অ্যান্ড জনসন তাদের ট্যালকম পাউডারে ক্ষতিকর অ্যাসবেসটসের উপস্থিতির বিষয়টি কয়েক দশক ধরে জানত। সম্প্রতি রয়টার্সের একটি প্রতিবেদনে এমন তথ্য সামনে এসেছে।

এই খবর প্রকাশের পর কোম্পানিটির শেয়ারের দাম ১৬ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ দরপতন ঘটেছে। গত ১৫ ডিসেম্বর, শুক্রবার তা ১০ শতাংশ পড়ে গিয়েছে।

রয়টার্স দাবি করেছে, অ্যাসবেসটস হলো এমন একটি খনিজ আশযুক্ত পদার্থ, যা মানব শরীরের জন্য ক্ষতিকর। এটি ব্যবহারের কারণে ব্যবহারকারীদের ওভারিয়ান ক্যানসারও হতে পারে।

এর আগে জনসনের বেবি পাউডার ও ট্যালকম পণ্যসামগ্রী ব্যবহারের কারণে ২২ নারী ওভারিয়ান ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার প্রমাণ মেলে। গত ১৩ জুলাই মিসৌরি অঙ্গরাজ্যের একটি আদালত ওই ২২ নারীকে ৪৭০ কোটি ডলার (বাংলাদেশি প্রায় ৩৯ হাজার ৪০০ কোটি টাকা) ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দেয়।

সব কাগজপত্রে দেখা যায়, ১৯৭১ সাল থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত জনসনের অভ্যন্তরীণ পরীক্ষায় কখনো কখনো এটির ট্যালক কাঁচামাল এবং তৈরি পণ্যে অ্যাসবেসটসের সামান্য উপস্থিতি পাওয়া গেছে।

প্রতিবেদনে রয়টার্স উল্লেখ করেছে, ১৯৫৭ সাল ও ১৯৫৮ সালের মধ্যে বেশ কয়েকবার পরীক্ষার মাধ্যমে যাচাই করা হয়েছে অ্যাসবেসটসের উপস্থিতি। একাধিক ক্ষেত্রে অ্যাসবেসটসের উপস্থিতির ফলাফল আসার পরেও সে তথ্য গোপন করেছে কোম্পানিটি।

রয়টার্সের বর্ণনা অনুসারে, কোম্পানির ও বাইরের ল্যাবেও বিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকে একই ধরনের ফলাফল দেখা যায়।

এদিকে শুক্রবার রয়টার্সের প্রকাশিত প্রতিবেদনের পর এক বিবৃতিতে জনসন অ্যান্ড জনসন বলে, ‘নিয়ন্ত্রকদের দ্বারা হাজার হাজার স্বাধীন পরীক্ষা এবং বিশ্বব্যাপী নেতৃস্থানীয় ল্যাবগুলো প্রমাণ করে জনসন অ্যান্ড জনসনের বেবি পাউডার নিরাপদ এবং অ্যাসবেস্টসমুক্ত।’

‘রয়টার্সের প্রতিবেদনটি একপাক্ষিক, মিথ্যা আর উসকানিমূলক। রয়টার্সের প্রতিবেদনটি অযৌক্তিক ষড়যন্ত্র থেকে তৈরি করা হয়েছে বলেও মনে করে জনসন অ্যান্ড জনসন।’
(ঢাকারনিউজ২৪.কম/আরএম/৩:৪৮পিএম/১৫/১২/২০১৮ইং)