• ঢাকা
  • বুধবার, ২২ মে ২০২৪, ০৭:৫৭ অপরাহ্ন

চাঁপাইনবাবগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ও কিছু হিসাব


প্রকাশের সময় : জুন ২৩, ২০২০, ১১:৫২ PM / ৪২
চাঁপাইনবাবগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ও কিছু হিসাব

অসীম আকাশ : লেখাপড়া ছেড়েছেন বহুদিন? চর্চা করার সময় পাচ্ছেন না? আসুন আজ একটু গণিত চর্চা করাবো আপনাদের, তাই লেখাটা পড়ার আগে ক্যালকুলেটর নিয়ে বসুন। এবার ক্যালকুলেটর চেপে কমেন্টে হিসাবটা জানান- ২৮০ জন লাইনম্যানের দিনের বেতন কত? ২৪ জন জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ারের দিনের বেতন কত? একজন জিএম (ওএন্ডএম) এর দিনের বেতন কত? করেছেন সমাধান? এবার পুরোটা যোগ করে জানান সর্বমোট কত টাকা এসেছে।

কথা বলছি চাঁপাইনবাবগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিকে নিয়ে।

গত ৬মাস আগে আমনোড়া গ্রিড থেকে গোবরাতলা অভিযোগকেন্দ্র পর্যন্ত পূরাতন ৩৩ কেভি লাইনের সাথে প্রায় ২৫ কিঃমিঃ নতুন আরও একটি ৩৩ কেভি ডবল সার্কিট লাইন নির্মান কাজ শেষ হয়েছে। ঠিকাদার নির্মিত লাইনটি হস্তান্তর করার পরেও গত ০৬ মাস ধরে পুরাতন সার্কিটের মাধ্যমেই ১০ এমভিএ ক্ষমতাসম্পন্ন চারটি উপকেন্দ্র চলছে।

• কিন্তু কেন? চলুন জেনে নেয়া যাক।

২৫কিঃমিঃ লাইনটি চালু করার জন্য তিনবার দপ্তরাদেশ করা হয়। এছাড়াও ০৮ থেকে ১০ বার সার্ভিস অর্ডারের মাধ্যমে লাইনটি চালু করার চেষ্টা করেছে কতৃপক্ষ। যার প্রতিবার ৩৫ জন লাইনক্রু, তিনজন জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার ও একজন এজিএম (ওএন্ডএম) লাইনটি চালু করার চেষ্টা করেছেন। অর্থাৎ, লাইনটি চালু করতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ কতৃপক্ষও কালঘাম কম ছুটায়নি। কিন্তু এতোকিছুর পরেও উক্ত লাইনটি চালু করতে ব্যর্থ হয়েছে কতৃপক্ষ। ফলাফলঃ নবনির্মিত ৩৩ কেভি লাইনটি ৬ মাস যাবত পরিত্যাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে।

• কেন লাইনটি চালু করা যাচ্ছেনা? সমস্যা কোথায়?

লাইনটি চালু না করতে পারার মূল কারণ হিসেবে জানা যায়, উক্ত লাইন নির্মানে নিম্নমানের ইনসুলেটর ও অন্যান্য ত্রুটিযুক্ত বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম ব্যবহার করার ফলে এতো চেষ্টার পরেও লাইনটি চালু করা সম্ভব হয়নি।

• এতে কতটা লাভবান বা ক্ষতিগ্রস্ত হলাম আমরা?

লাইনটি চালু করতে সার্ভিস অর্ডার করা হয়েছে ০৮-১০বার। যার প্রতিটি সার্ভিস অর্ডারে ৩৫ জন লাইনম্যান, ০৩জন জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার, ০১জন এজিএম (ওএন্ডএম) কে যুক্ত করা হয়েছে। তাহলে ০৮ দিনের হিসাবে লাইনটি চালু করতে মোট লোকবল লেগেছে-

মোট লাইনম্যান লেগেছেঃ (৩৫ˣ৮)= ২৮০জন।
জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার লেগেছেঃ (৩ˣ৮)= ২৪জন।
এজিএম (ওএন্ডএম) লেগেছেঃ (১ˣ৮) = ০৮জন।
——————————————————————–

এই হিসাবের কথাই বলেছিলাম লেখার শুরুতে। এছাড়াও যানবাহন, তেল এবং গ্রাহক হয়রানির হিসাবটা মিলালে ক্ষতিটা কম না।

• ব্যয় সংকোচন আর নিয়মনীতির বুলি আওড়ানো আরইবি নিজেরা কি করছে সেটা আমার বোধগম্য নয়।

(ঢাকারনিউজ২৪.কম/আরএম/১১:৫৩পিএম/২৩/৬/২০২০ইং)