• ঢাকা
  • বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ০৫:০৫ পূর্বাহ্ন

চলে গেলেন বিশ্বখ্যাত পদার্থবিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং


প্রকাশের সময় : মার্চ ১৪, ২০১৮, ১১:২২ AM / ৫১
চলে গেলেন বিশ্বখ্যাত পদার্থবিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং

ঢাকারনিউজ২৪.কম, ঢাকা : বিশ্বখ্যাত পদার্থবিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং আর নেই। বুধবার ৭৬ বছর বয়সী এ বিজ্ঞানী মারা গেছেন। পরিবারের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ গণমাধ্যম স্কাই নিউজ এ খবর দিয়েছে। খবরে বলা হয়েছে, প্রফেসর হকিংয়ের ছেলে-মেয়ে লুচি, রবার্ট ও টিম এক বিবৃতিতে এ কথা জানিয়েছেন। তারা বলেছেন, ‘আমরা গভীরভাবে শোকাহত যে, আজ আমাদের প্রিয় বাবা মারা গেছেন। বুধবার ভোরে কেমব্রিজের নিজ বাসায় তিনি মারা গেছেন।’

তারা আরো বলেন, ‘তিনি ছিলেন বিখ্যাত বিজ্ঞানী ও অসাধারণ লোক। তিনি ও তার কর্ম যুগ যুগ ধরে মানুষ অনুসরণ করবে।’

বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ‘তার সাহস এবং প্রতিভার দৃঢ়তা গোটা বিশ্বের মানুষকে অনুপ্রাণিত করে। আমরা চিরদিন তার শূন্যতা অনুভব করব।’

অক্সফোর্ডে ১৯৪২ সালে জন্ম নেওয়া ব্রিটিশ এই বিজ্ঞানী কৃষ্ণ গহ্বর এবং আপেক্ষিকতা তত্ত্বের জন্য বিশ্বজুড়ে পরিচিত।

হকিংয়ের বাবা ড. ফ্রাঙ্ক হকিং একজন জীববিজ্ঞান গবেষক ও মা ইসোবেল হকিং একজন রাজনৈতিক কর্মী ছিলেন। হকিংয়ের বাবা-মা উত্তর লন্ডনে থাকতেন। লন্ডনে তখন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের দামামা বাজছে। হকিং গর্ভে আসার পর নিরাপত্তার খাতিরে তারা অক্সফোর্ডে চলে যান। হকিংয়ের জন্মের পর তারা আবার লল্ডনে ফিরে আসেন।

বিজ্ঞানে হকিংয়ের সহজাত আগ্রহ ছিল। হকিংয়ের বাবার ইচ্ছে ছিল হকিং যেন তার মতো ডাক্তার হয়। কিন্তু হকিং গণিত পড়ার জন্য অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউনিভার্সিটি কলেজে ভর্তি হন। কিন্তু যেহেতু সেখানে গণিতের কোর্স পড়ানো হতো না, সেজন্য হকিং পদার্থবিজ্ঞান বিষয় নিয়ে পড়া শুরু করেন। সে সময় তার আগ্রহের বিষয় ছিল তাপগতিবিদ্যা, আপেক্ষিকতা এবং কোয়ান্টাম বলবিদ্যা।

১৯৬০ এর দশকে কেমব্রিজের বন্ধু ও সহকর্মী রজার পেনরোজের সঙ্গে মিলে হকিং আইনস্টাইনের আপেক্ষিকতার তত্ত্ব থেকে একটি নতুন মডেল তৈরি করেন। সেই মডেলের ওপর ভিত্তি করে ১৯৭০ এর দশকে হকিং প্রথম তাদের (পেনরোজ-হকিং তত্ত্ব নামে পরিচিত) তত্ত্বের প্রথমটি প্রমাণ করেন। এই তত্ত্বগুলো প্রথমবারের মতো কোয়ান্টাম মহাকর্ষে এককত্বের পর্যাপ্ত শর্তসমূহ পূরণ করে। আগে যেমনটি ভাবা হতো এককত্ব কেবল একটি গাণিতিক বিষয়। এই তত্ত্বের পর প্রথম বোঝা গেল, এককত্বের বীজ লুকোনো ছিল আপেক্ষিকতার সাধারণ তত্ত্বে।

২০০৭ সালের ১৯ ডিসেম্বর কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের তত্ত্বীয় কসমোলজি কেন্দ্রে হকিংয়ের একটি মূর্তি স্থাপন করা হয়। প্রয়াত শিল্পী আয়ান ওয়াল্টার এটি তৈরি করেন। ২০০৮ সালের মে মাসে হকিংয়ের আর একটি আবক্ষ মূর্তি উন্মোচন করা হয় দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউনে অবস্থিত আফ্রিকান ইনস্টিটিউট অব ম্যাথমেটিক্যাল সায়েন্সের সামনে। মধ্য আমেরিকার দেশ এল সালভাদর তাদের রাজধানী সান সালভাদরে বিজ্ঞান জাদুঘরটির নাম হকিংয়ের নামে রেখেছে।

(ঢাকারনিউজ২৪.কম/আরএম/১১:২০এএম/১৪/৩/২০১৮ইং)