• ঢাকা
  • শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ০৩:০০ অপরাহ্ন

‘চলচ্চিত্র শিল্পকে বাঁচাতে চাইলে আগে সিনেমা হল বাঁচান’


প্রকাশের সময় : অক্টোবর ১৩, ২০১৮, ৯:০৫ AM / ৩১
‘চলচ্চিত্র শিল্পকে বাঁচাতে চাইলে আগে সিনেমা হল বাঁচান’

সোনিয়া দেওয়ান প্রীতি : বিভিন্ন সময় আপনারা বলে থাকেন যে- গোবরে পদ্মফুল। কিন্তু আদৌ কি নিজ চোখে গোবরের মাঝে কখনো পদ্মফুল ফুটতে দেখেছেন কেউ? আপনারা ফুলের চাষ করতে নেমেছেন, কিন্তু গোবর সরিয়ে উর্বর মাটি বের করবেন না, তা কি হয়? বাংলাদেশের চলচ্চিত্রাঙ্গনের ধ্বসের সবচেয়ে বড় কারণ হচ্ছে ‘সিনেমা হল’। প্রয়োজনের তুলনায় সিনেমা হল কম। যেগুলো আছে তা দেহ ব্যবসা আর মাদকসেবীদের আড্ডাখানাই বেশি। বাকিগুলো আধুনিকায়নের অভাবে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। অথচ সিনেমা হল না থাকলে এত এত সিনেমা বানিয়ে আপনারা দেখাবেন কাদের? যার যার বাড়ি গিয়ে, এলাকায় গিয়ে প্রজেক্টর লাগিয়ে কি ফ্রি’তে সিনেমা দেখাবেন? আপনারা বাজার থেকে অধিক দামে উন্নত মানের ভাল ভাল সবজি এনে রান্নাঘরে পাকিয়ে এরপর পরিবেশন করতে যাবেন গেস্টদের জন্য, কিন্তু এই পরিবেশনটার জন্যই নেই আপনাদের ভাল কোনো প্লেট/থালা, কি করবেন? কলাপাতায় খেতে দিবেন? সেরা হিরো সেরা হিরোইনকে নিয়ে কোটি কোটি টাকা ব্যায় করে সিনেমা বানান ঠিকই, অথচ একটা ভাল মানের সিনেমা হল উপহার দিতে পারেন না আপনারা। প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে দুস্থ শিল্পী হিসেবে চেক নিতে পারেন, অথচ এই শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে প্রধানমন্ত্রীর থেকে কিছুই আদায় করতে পারেন না। আপনারা কি করে খাবেন একটা সময়, যখন এ দেশে আর কোনো সিনেমা হল’ই থাকবে না? দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে আপনাদের, একটা ঝাকি দিয়ে উঠে দাঁড়ান, না হয় এভাবেই ধীরে ধীরে পিষে মরেন। আমাদের কি, আমরা স্যাটেলাইট/ইন্টারনেটে দেশী-বিদেশী নাটক/সিনেমা দেখব ঘরে বসেই। শুধু আফসোস রবে- জ্ঞান হবারও আগে থেকে পরিবারের সাথে সিনেমা হলে গিয়ে ছবি দেখে বড় হয়েছি। অথচ আজ এই বয়সে এসে সেই পরিবার থেকেই নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয় সিনেমা হলে না যাবার জন্য।

(ঢাকারনিউজ২৪.কম/এসডিপি/৯:০৫এএম/১৩/১০/২০১৮ইং)