• ঢাকা
  • রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০৭:২৮ পূর্বাহ্ন

চট্টগ্রামের আনোয়ারায় বাড়ছে লবণ চাষ


প্রকাশের সময় : জানুয়ারী ২৭, ২০১৮, ১০:০১ AM / ৪৩
চট্টগ্রামের আনোয়ারায় বাড়ছে লবণ চাষ

এম আনোয়ারুল হক, আনোয়ারা (চট্টগ্রাম): আনোয়ারায় লবণ চাষ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। চিংড়ি ঘের গুটিয়ে চাষিরা লবণ উৎপাদনে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। উপজেলার দক্ষিণ গহিরা ও বারশত এলাকায় ব্যাপকভাবে লবণ চাষ হচ্ছে। এ উপজেলায় দিন দিন লবণ চাষির সংখ্যা বাড়ছে।

আনোয়ারা হচ্ছে ঘূর্ণিঝড় প্রবণ এলাকা। প্রাকৃতিক দুর্যোগে লোকজন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বঙ্গোপসাগরের উপকূল বেষ্টিত আনোয়ারা উপজেলার রায়পুর ও বারশত ইউনিয়নে চলতি মৌসুমে অর্ধশতাধিক চাষি ২৫০ একর জমিতে লবণের মাঠ তৈরি করে লবণ উৎপাদন শুরু করেছেন। গত ২ বছর পরীক্ষামূলকভাবে চাষিরা এখানে লবণ চাষ শুরু করেন। সাফল্য পেয়ে এলাকার লোকজন লবণ চাষে ঝুঁকছেন। এ উপজেলায় লোকজনের মাঝে লবণ চাষে আগে আগ্রহ তেমন ছিল না। কম খরচে সাফল্য পাওয়ায় এখন চাষিরা লবণ চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। সকাল থেকে শুরু করে সন্ধ্যা পর্যন্ত চাষিরা লবণ উৎপাদনে কাজ করছেন।

উপজেলার দক্ষিণ গহিরা ও পারকির চর এলাকায় চলতি মৌসুমে বাঁশখালী, চকরিয়া, পেকুয়া ও কুতুবদিয়া উপজেলার অর্ধশতাধিক চাষি প্রায় ২৫০ একর জমি বর্গা নিয়ে লবণ উৎপাদন শুরু করেছেন। গত মৌসুমে লবণ চাষের জমির পরিমাণ ছিল ৪০-৫০ একর। গত বছরের তুলনায় এ বছর বেড়েছে আরও চার গুণ। চাষিরা জানান, লবণ চাষের জন্য প্রথমে জমিকে ছোট ছোট ভাগ করে নেওয়া হয়। এর পর ভেজা মাটিকে রোলার দিয়ে সমান করে বিছিয়ে দেওয়া হয় মোটা পলিথিন। জোয়ার এলেই মাঠের মাঝখানে তৈরি করা গর্তে জমানো হয় সাগরের লবণ পানি। বালতি ভরে বিছানো পলিথিনের ওপর রাখা হয় পানি। জলীয়বাষ্প হয়ে উড়ে যায় পানি আর মাঠে জমে যায় লবণের আস্তরণ। সেই লবণ তুলে স্তূপ করে রাখা হয়। এর পরই বস্তায় ভরে লবণ তুলে দেওয়া হয় বেপারীর হাতে। চাষিরা পলিথিন ও সনাতন পদ্ধতিতে মাঠে লবণ চাষ করছেন। চাষি জামাল উদ্দিন বলেন, প্রতি মৌসুমের জন্য কানিপ্রতি (৪০ শতক) জমি তিন হাজার টাকায় বর্গা নিই। প্রতি কানিতে চাষাবাদে খরচ পড়ে ১৮ থেকে ২০ হাজার টাকা। এতে লাভ হয় খরচের দ্বিগুণ। সাধারণ লবণ চাষিরা বলেন, সরকার যদি আনোয়ারা উপকূলীয় এলাকায় উৎপাদিত এসব লবণ রফতানিতে সহযোগিতা করে, তাহলে এখানকার লবণ চাষিরা আরও বেশি উপকৃত হবেন। তারা এই লবণ শিল্প রক্ষা এবং মানসম্মত লবণ উৎপাদনে সরকারের সহযোগিতা কামনা করেছেন। এ ব্যাপারে বারশত ইউপি চেয়ারম্যান এমএ কাইয়ুম শাহ জানান, পারকির চর এলাকায় বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে লবণ চাষ। কম খরচে লাভ বেশি বলে স্থানীয়রাও লবণ চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। (সমকাল)

(ঢাকারনিউজ২৪.কম/এসডিপি/১০:০০পিএম/২৭/১/২০১৮ইং)