• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ০৪:১৪ অপরাহ্ন

গোপালগঞ্জের পাইকেরডাঙ্গা ভূমি অফিস দূর্নীতি আখড়া


প্রকাশের সময় : জানুয়ারী ৫, ২০২০, ৩:০৪ PM / ৩৬
গোপালগঞ্জের পাইকেরডাঙ্গা ভূমি অফিস দূর্নীতি আখড়া

এম শিমুল খান, গোপালগঞ্জ : গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার পাইকেরডাঙ্গা ইউনিয়ন ভূমি অফিসের ভূমি উপ-সহকারি কর্মকর্তা প্রদীপ কুমার মৃধার বিরুদ্ধে ঘুষ, অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।
জমিজমা সংক্রান্ত বিভিন্ন কাজে আসা ব্যক্তিদের কাছ থেকে মূল টাকা ছাড়াও অতিরিক্ত টাকা আদায় করেন ওই অফিসের দুই কর্মকর্তাই। এ ভূমি অফিসের অধীনে থাকা গোপীনাথপুর, শুকতাইল, চন্দ্রদিঘলিয়া ও জালালাবাদ ইউনিয়নের সাধারণ মানুষ প্রতিনিয়তই ভোগান্তির স্বীকার হচ্ছে। আর এই ভোগান্তির ফলে সাধারণ মানুষের ভূমি অফিসে যেতে চরম অনিহা দেখা গেছে।
কেকানিয়া গ্রামের কৃষক মিজান খাঁ অভিযোগ করে বলেন, আমি খাজনা দেয়ার জন্য অফিসে যাই। আমার কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা নিয়ে আমাকে ১২শ ৫০টাকা করে দুটি রশিদ দিয়েছে। আমার গ্রামের অনেকের সাথেই তারা এরকম করেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানান, ওই ভূমি অফিসে খাজনা নেয়ার নামে মানুষকে হয়রানী করা হয়। খাজনা আদায়ের রশিদে যে টাকার অংক বসানো হচ্ছে বাস্তবে তার দ্বিগুণ আদায় করা হচ্ছে বলেও জানান অনেকে। সাধারণ মানুষকে নানা ভাবে জিম্মি করে ভূমি সংক্রান্ত বিষয়ে ব্যাপক ঘুষ বাণিজ্য চালানো হচ্ছে। তাই হয়রানীর ভয়ে অনেকেই যেতে চায় না খাজনা দিতে। এতে করে সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে।
সরেজমিনে গিয়ে অভিযোগের সত্যতাও মেলে। পাইকেরডাঙ্গা ভূমি অফিসের ওই কর্মকর্তা সম্পর্কে খাজনা দিতে আসা দূর্গাপুর গ্রামের মধু বিশ্বাস বলেন, আমার কাছে ২২ শতক জমির খাজনা বাবদ ১০ হাজার টাকা চেয়েছে প্রদীপ কুমার মৃধা। এতো টাকা আমার কাছে নেই বলে খাজনা না দিয়েই বাড়ি ফিরে যাচ্ছি। ২৭ বছরে ২২ শতক জমির খাজনা আসে ৫,৯৪০ টাকা। পরে এ বিষয়ে সাংবাদিক ও সহকারি ভূমি কর্মকর্তার সামনে অতিরিক্ত টাকা চেয়েছেন বলে স্বীকারও করেন ওই কর্মকর্তা।
পাইকেরডাঙ্গা ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা এস এম শাফিজুর রহমান ও ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা প্রদীপ কুমার মৃধা পাশাপাশি টেবিলে বসে খাজনা নিলেও অতিরিক্ত টাকা নেয়ার ব্যাপারে কিছুই জানেন না শাফিজুর। তিনি বলেন, অতিরিক্ত টাকা নেয়ার বিষয়ে আমার কাছে কেউ অভিযোগ করেনি। তবে ভূমি উপ সহকারি কর্মকর্তা প্রদীপ আমার সামনেই অতিরিক্ত টাকা নেয়ার কথা স্বীকার করেছেন। তার বিরুদ্ধে ঘুষ নেয়ার বিষয়ে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে লিখবো।
গোপালগঞ্জ সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো: মনোয়ার হোসেন মুঠোফোনে জানান, এ বিষয় আমি কিছুই জানিনা। তবে বিষয়টি নিয়ে কোন অভিযোগ বা সংবাদ প্রকাশ হলে তদন্ত পূর্বক তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।