• ঢাকা
  • শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ১১:২৪ অপরাহ্ন

খুবি’তে যথাযোগ্য মর্যাদায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত


প্রকাশের সময় : ফেব্রুয়ারী ২২, ২০১৯, ১০:৩৮ AM / ৩৯
খুবি’তে যথাযোগ্য মর্যাদায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত

 

মো.রমজান শেখ, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় : আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি…….. । ২১ শে ফেব্রুয়ারী, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও মহান শহীদ দিবস-বাঙালির ইতিহাসে গৌরবোজ্জ্বল একটি দিন।বিভিন্ন কর্মসূচি ও ভাবগাম্ভীর্যের মাধ্যমে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে(খুবি) দিনটি পালন করা হয়।

সকাল সাড়ে ছয়টায় তাজউদ্দীন আহমদ প্রশাসনিক ভবনের সামনে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ ও কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়।এরপর খুবি উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামানের নেতৃত্বে প্রভাতফেরী বের হয়।বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে তিনি শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।এ সময় ট্রেজারার প্রফেসর সাধন রঞ্জন ঘোষ,ছাত্র বিষয়ক পরিচালক প্রফেসর মোঃ শরীফ হাসান লিমন এবং অন্যান্য ডিসিপ্লিনের ডিন,রেজিস্ট্রার,প্রভোস্ট উপস্থিত ছিলেন।
এরপর একে একে বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল,ডিসিপ্লিন, আবাসিক হল,শিক্ষক সমিতি,স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদ,বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ও সামাজিক সংগঠন,অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠান পুষ্পস্তবক অর্পণ করে।
পুষ্পার্পণ শেষে মুক্তমঞ্চে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মাতৃভাষা দিবস ও শহীদ দিবস উদযাপন কমিটির আহবায়ক ব্যবস্হাপনা ও ব্যবসায় প্রশাসনের ডিন প্রফেসর ড. ফিরোজ আহমেদ। সভায় উপাচার্য এবং ট্রেজারার বক্তব্য রাখেন।বাংলা ভাষায় মনন তেরি এবং পরিচ্ছন্ন বাংলা চর্চায় তিনি সবাইকে আহ্বান জানান। তিনি ১৯৯২ সালে বঙ্গবন্ধুর দেওয়া এক ভাষণের অংশবিশেষ তুলে ধরেন,বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন “পৃথিবীর জ্ঞানরাজ্যে বাঙালিদের টিকে থাকতে হলে বাংলাকে ভালোভাবে আয়ত্ত করার পাশাপাশি অন্যসব ভাষায়ও আমাদের পন্ডিত হতে হবে।”এই প্রেক্ষিতে বাংলা একাডেমিতে ততৎকালিন সময়ে অনুবাদের উপর ব্যাপক জোর দিয়ে অনুবাদকেন্দ্র খোলা হলেও বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর পর তা বন্ধ হয়ে যায়।

আলোচনা সভা শেষে উপাচার্য আইন ডিসিপ্লিন কর্তৃক প্রকাশিত দেয়াল ভাঙার গানের তৃতীয় সংখ্যার মোড়ক উন্মোচন করেন।
অন্যান্য অনুষ্ঠানের সাথে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় জার্নালিজম ক্লাব এক ব্যাতিক্রমধর্মী অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।২১ টি বহুনির্বাচনির জন্য ২১ মিনিট বরাদ্দ রেখে শুদ্ধ বাংলা লিখন প্রতিযোগিতার আয়োজন করে ক্লাবটি। মুক্তমঞ্চে তিন শতাধিক প্রতিযোগির অংশগ্রহণ শেষে সাত জন বিজয়ীর মাঝে পুরস্কার ও ক্রেস্ট বিতরণ করা হয়। প্রতিযোগিতায় প্রথম স্হান অধিকার করে ইংরেজি ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থী জান্নাতারা কলি,দ্বিতীয় আইন ডিসিপ্লিনের আব্দুল্লাহ আল নোমান, তৃতীয় আইন ডিসিপ্লিনের মোঃ মাসুদ হাওলাদার। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ট্রেজারার প্রফেসর সাধন রঞ্জন ঘোষ।এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন খুবির গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা ডিসিপ্লিনের প্রধান প্রফেসর ড. মোসাম্মাৎ হোসনে আরা, ছাত্র বিষয়ক পরিচালক শরীফ হাসান লিমন, বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. দুলাল হোসেন, ক্লাবের উপদেষ্টা এবং গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা ডিসিপ্লিনের সহকারী অধ্যাপক ছোটন দেবনাথ।

বাদ যোহর ভাষা শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয় এবং সন্ধ্যায় প্রদীপ প্রজ্বলন করা হয়।
(ঢাকারনিউজ২৪.কম/আরএম/১০:৩৮এএম/২২/২/২০১৯ইং)