• ঢাকা
  • রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ০১:০৯ অপরাহ্ন

ক্যান্সার চিকিৎসায় নতুন সম্ভাবনা : মানবদেহে নতুন অঙ্গ আবিষ্কার


প্রকাশের সময় : মার্চ ২৮, ২০১৮, ৬:২১ PM / ৩৫
ক্যান্সার চিকিৎসায় নতুন সম্ভাবনা : মানবদেহে নতুন অঙ্গ আবিষ্কার

ডা. মোঃ সাইফুল ইসলাম ‍সোহেল : মানবদেহে তরল পদার্থে পূর্ণ জালের মতো অসংখ্য নালিকাযুক্ত নতুন একটি অঙ্গ আবিষ্কৃত হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, এই অঙ্গটি ক্যান্সার কোষ পুরো শরীরে ছড়িয়ে পড়ার জন্য দায়ী।

আবিষ্কারকদের এই দাবি যদি সত্য হয় তবে ক্যান্সার চিকিৎসায় আরেক ধাপ এগিয়ে যাবে চিকিৎসা বিজ্ঞান। ইন্ডিপেনডেন্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, সায়েন্টিফিক রিপোর্ট জার্নালে বিজ্ঞানীদের এ আবিষ্কার প্রকাশিত হয়েছে।

আবিষ্কারক ডাক্তাররা অঙ্গটি ভাগ্যক্রমে হঠাৎই পেয়ে বসেন। তারা একজন রোগীর পাকস্থলী ও অন্ত্রে এন্ডোস্কোপি করার জন্য পাতলা ক্যামেরা প্রবেশ করান।

এই পদ্ধতিতে ডাক্তাররা অন্ত্রের ভেতরের টিস্যু বা কলার আণুবীক্ষণিক গঠনও দেখতে সক্ষম হন। আবিষ্কারকরা প্রথমে অঙ্গটিকে কঠিন, ঘন কলা দ্বারা আবিষ্কৃত পিত্তনালি মনে করেছিলেন। কিন্তু এটির গঠন ভিন্ন মনে হওয়ায়, তারা ‘নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটি স্কুল অব মেডিসিন’ প্যাথলজিস্ট ‘নেইল থেইস’-এর কাছে নিয়ে যান।

থেইস অনুরূপ পদ্ধতিতে নিজের নাকে এন্ডোস্কোপির যন্ত্রটি প্রবেশ করান ও নাকের ত্বকের নিচে একই ফলাফল পান। আরও অনুসন্ধানে জানা যায়, অঙ্গটি নালি দ্বারা তরল পদার্থ প্রবাহিত হওয়ার সময় তৈরি হয় এবং তা শরীরের প্রায় সর্বত্রই পাওয়া যেতে পারে।

আবিষ্কৃত নতুন অঙ্গের টিস্যু; এখানে ত্বকের উপরের স্তরের নিচে অবস্থিত টিস্যু লেয়ারগুলো রয়েছে, যা গিঁট, ফুসফুস, রক্তবর্ণ এবং পেশিকে আচ্ছাদন করে

থেইস মনে করেন, শরীরের প্রত্যেকটি কলা এমন জালের মতো নালি দ্বারা আবদ্ধ থাকে ও প্রয়োজনবোধে তা অঙ্গ তৈরি করে। আবিষ্কারক দল ধারণা করেন অঙ্গটি মানব শরীরের প্রায় ৫ ভাগ তরল ধরে রাখে।

সাধারণত টিস্যু প্রক্রিয়াকরণের আদর্শ নিয়মানুযায়ী এই অঙ্গটি দেখা যাওয়ার কথা নয়। কারণ টিস্যু প্রক্রিয়াকরণের সময় নালি থেকে তরল বের হয়ে যায় ও সেখানে কোলাজেন তন্তু সেগুলোর উপর ভেঙে পড়ে। তাই হয়তো এতদিন কেউ বুঝতে পারেননি।

ঘন নালি দ্বারা আবদ্ধ অঙ্গটির বিষয়ে থেইসের সহকর্মীরা ক্যান্সার আক্রান্ত কলা থেকে নমুনা সংগ্রহ করেন। তারা দেখতে পান নতুন আবিষ্কৃত অঙ্গটির নালি দ্বারা ক্যান্সার কোষ লসিকাতন্ত্রে চলে যায়।

থেইস বলেন, ‘আমরা টিউমার তথা ক্যান্সার কোষ শরীরের এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যাওয়ার নতুন পদ্ধতি খুঁজে পেয়েছি।’

থেইস ও তার সহকর্মীরা বর্তমানে অঙ্গটি নিয়ে অধিক অনুসন্ধান ও বিশ্লেষণ করবেন বলে জানান, যাতে ক্যান্সারের অস্তিত্ব প্রাথমিক স্তরেই শনাক্ত করা যায়।(তথ্যসূত্র : ইন্ডিপেনডেন্ট)
(ঢাকারনিউজ২৪.কম/আরএম/৬:২০পিএম/২৮/৩/২০১৮ইং)