• ঢাকা
  • শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ০১:০০ অপরাহ্ন

কোচ রবি শাস্ত্রীর বিষয়ে কী বললেন কোহলি?


প্রকাশের সময় : নভেম্বর ১৬, ২০১৮, ৩:১৫ PM / ৪৩
কোচ রবি শাস্ত্রীর বিষয়ে কী বললেন কোহলি?

ঢাকারনিউজ২৪.কম, ডেস্ক : অনিল কুম্বলের পদত্যাগের পর বিশাল নাটকীয়তার মধ্যদিয়ে ভারত দলের কোচ হন রবি শাস্ত্রী। কোচ হওয়ার পর থেকেই নানা সময়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে তাকে নিয়ে। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় বিতর্ক হচ্ছে, ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহলি যা বলেন, তাতেই নাকি ‘ইয়েস’ বলেন শাস্ত্রী। এ জন্য ভারতীয় সমর্থকদের একাংশ বিভিন্ন সময়ে তাকে ‘ইয়েস ম্যান’ বলেও খোঁচা দিয়েছেন।

অস্ট্রেলিয়া সফরের আগে বিরাট কোহলির সংবাদ সম্মেলনেও উঠে আসে এই প্রসঙ্গ। ভারতীয় অধিনায়কের কাছে জানতে চাওয়া হয়, শাস্ত্রী একজন ‘ইয়েস ম্যান’ কি না। এমন প্রশ্ন শুনে রীতিমতো বিস্মিত হন কোহলি।কোচ রবি শাস্ত্রীর দিকে ধেয়ে আসা ‘বাউন্সার’ সপাটে হুক করে বাউন্ডারিতেই পাঠিয়ে দিয়েছেন কোহলি! তার মতে, এটা আজব প্রশ্ন।

কোহলি জানিয়েছেন, শাস্ত্রী সম্ভবত ভারতীয় ক্রিকেটের একমাত্র ব্যক্তি, যিনি তাকে সবচেয়ে বেশি বার না বলেছেন। শুধু তাই নয়, শাস্ত্রীর কথাতেই নিজের খেলায় পরিবর্তন এনেছেন বলে জানান কোহলি। পাশাপাশি কোহলির মতে, শাস্ত্রী জানেন, কীভাবে একজন ক্রিকেটারের কাছ থেকে সেরা খেলাটা বের করে আনা যায়।

এ নিয়ে ভারতীয় অধিনায়কের ভাষ্য, ‘এর চেয়ে আজব কথা আর কিছু শুনিনি। সত্যি বলছি, ভারতীয় ক্রিকেটে আমার মুখের ওপর ‘‘না’’ বোধ হয় সবচেয়ে বেশি বার রবি ভাই-ই বলেছেন। উনি হলেন এমন একজন ব্যক্তি, যার কাছ থেকে সত্যি কথাটাই সবসময় শুনতে পাই। রবি ভাইয়ের কথা শুনে আমি নিজের খেলায় যত পরিবর্তন এনেছি, তা আর কারো কথায় আনিনি।’

‘আমরা যখন এই দলটাকে তৈরি করা শুরু করেছিলাম, তখন রবি ভাই সবার মনে এই আত্মবিশ্বাসটা এনে দিয়েছিলেন যে, ওরা এই দলে খেলার যোগ্য। ২০১৪ সালের ইংল্যান্ড সফরে টেস্ট সিরিজের সেই ব্যর্থতার পরে আমরা সবাই খুব কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছিলাম। সেখান থেকে আমি বেরিয়ে আসতে পেরেছি। তারপর ২০১৫ সালে বিশ্বকাপে শিখর ধাওয়ানের ফর্ম ফিরে পাওয়া। আসলে রবি ভাই জানেন, কীভাবে একজন ক্রিকেটারের কাছ থেকে সেরা খেলাটা বের করে আনা যায়।’

ক্রিকেট ম্যান ম্যানেজমেন্টটা গুরুত্বপূর্ণ। আর সে কাজটা শাস্ত্রী দারুণভাবেই করেন বলে জানান কোহলি।

এ নিয়ে তার ভাষ্য, ‘এই পর্যায়ের ক্রিকেটে ম্যান ম্যানেজমেন্টই আসল। আর সেই কাজটা রবি ভাই দারুণ করে। একটা দলের মধ্যে অনেক ব্যক্তিগত ব্যাপার থাকে। যেসব ব্যাপার জানানোর দরকার, সেসব জানানো হবে। কিন্তু আমরা কোনো ব্যানার তুলে ধরে বলব না, ভারতীয় দলে এই কাজ হচ্ছে। যতদিন পর্যন্ত আমরা মানসিকভাবে স্বচ্ছ থাকব, আমাদের লক্ষ্য পরিষ্কার থাকবে, ততদিন আমরা ঠিক দিকেই এগিয়ে যাব।’

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে শুরুতেই তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে মুখোমুখি হবে ভারত। এরপর টেস্ট সিরিজ এবং সবশেষে ওয়ানডে সিরিজ খেলবে এই দুই দল।(প্রিয়.কম)

(ঢাকারনিউজ২৪.কম/কেএস/৩:১৫পিএম/১৬/১১/২০১৮ইং)