• ঢাকা
  • শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ০৭:৫০ অপরাহ্ন

কথা কম বলে লড়তে থাকুন, গড়তে থাকুন দেশ


প্রকাশের সময় : অক্টোবর ৯, ২০১৮, ৯:০৫ PM / ৪৩
কথা কম বলে লড়তে থাকুন, গড়তে থাকুন দেশ

মোমিন মেহেদী : নির্বাচনে নিজেদের অবস্থান সম্পর্কে কোন ধারণাই রাখেন না, এমন নেতারা রাজনৈতিক জোট- মোহাজোট, ঐক্য, মহাঐক্য নিয়ে আবারো রাজপথ কাঁপানোর কথা বলছেন। কিন্তু চরম বাস্তব^তা হলো- ওয়ার্ড, ইউনিটি, থানা বিএনপি অথবা আওয়ামী লীগের সমর্থকদের পাশাপাশি সহায়সম্বলহীন টোকাই শ্রেণির লোকদেরকে ভ্যানে, পিকআপে, বাসে, ট্রাকে করে চড়া ভাড়ায় আনার মধ্য দিয়ে এগিয়ে চলছে ছলচাতুরির রাজনৈতিক এই প্রক্রিয়াগুলো।
একজন কলাম লেখক ও নির্বাচন কমিশনে আবেদনকৃত ৭৬ টি দলের মধ্যে সকল শর্ত পূরণের পরও নিবন্ধন থেকে বঞ্চিত নতুনধারা বাংলাদেশ এনডিবির চেয়ারম্যান হিসেবে বরাবরই বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা ও সংবাদমাধ্যমে যুক্ত উচ্চ পর্যায়ের রাজনীতি বিশ্লেষক ও গবেষকদের সাথে আলোচনার সুযোগ হওয়ায় আমি জানতে পারি অনেক কিছুই। তাঁর মধ্যে আমজনতার জানানো খুব জরুরী যে বিষয়টি বলে আমি মনে করি, তা হলো- ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার বিএনএ, ড. কামাল-এর প্রক্রিয়া আর রব-বি চৌধুরীর যুক্তফ্রন্ট-এর একটি অনুষ্ঠানও প্রেসক্লাব এলাকার ‘ভাড়াটিয়া’ লোক ব্যতিত সম্পন্ন সম্ভব হয়নি। পাশাপাশি বিভিণœ ওয়ার্ড-ইউনিট ও থানা থেকেও লোক ভাড়া আনতে হয়েছে। তবু বি চৌধুরী বড় গলায় কথা বলবেনই, এটা যেন অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। যে কারণে বড় বুলি আউড়ানো থেকে না তাঁর আরামপ্রিয় সন্তান মাহী সরেছেন, না সরেছেন বড় বুলির পার্থ। বরং তারা এখন এসে সাজছেন গবেষক। এতই যদি গবেষণা বোঝেন, দেশেল মানুষের ক্ষুধা বোঝেন না কেন। আপনাদের সকল গবেষণা কেবল ক্ষমতায় আসা বা থাকার জন্য কেন? কেন আপনারা চালের দাম বাড়লে, দেশে সঙ্কট তৈরি হলে মালয়েশিয়া আর আরামদেশগুলোতে গিয়ে ভেকেশন উদযাপনে ব্যস্ত হয়ে পড়েন?
আমজনতা বোঝে, জানে, কিন্তু বলে না, যেভাবে বলেন বি চৌধুরী বা ওবায়দুল কাদের। একদিকে বি চৌধুরী বললেন, দেশে গণতন্ত্রের ‘গ’ও নেই। উন্নয়নের নামে সরকার জনগণকে ধোঁকা দিচ্ছে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে যে কটি স্থানীয় নির্বাচন হয়েছে তার একটাও সুষ্ঠু হয়নি। জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও যদি তারা এমন করার চেষ্টা করে তাহলে কোনো ছাড় দেয়া হবে না। জনগণ সঙ্গে থাকলে কারও স্বেচ্ছাচারী হওয়ার সুযোগ নেই।’ এই বড় বুলির আরেক মুখ হলেন নাগরিক ঐক্যের নামে এক নেতার এক দেশ-মান্না ভাইয়ের বাংলাদেশ’ স্বপ্ন নিয়ে এগিয়ে চলা লোভি-লম্পট-দালাল হিসেবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতাদের দ্বারা উপাধিপ্রাপ্ত নেতা মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, বৃহত্তম দল যারা তিনবার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় ছিল সেই বিএনপির সঙ্গে ঐক্য হয়েছে। সাধারণ মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতেই জাতীয় ঐক্য করা হয়েছে। মন্ত্রিত্বের জন্য নয়, ৫ জানুয়ারির মতো আরেকটি নির্বাচন যেন না হয়, সে জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’
এই ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে, থাকতে হবে বলে বলে তারা মূলত তাদেরকেই সুযোগটা করে দিচ্ছেন, যারা দেশ ও মানুষকে কোন গুরুত্ব না দিয়ে মেকাপ বক্স, রুপচর্চা, লন্ডনে প্রাসাদে বসে আরাম আয়েশ, বিদেশে দ্বৈত নাগরিকত্ব নিয়ে অন্ধকারের চর্চায় ব্যস্ত সবসময়। যে কারনে আজ যতই বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেছেন, ২০১৪ সালে দেশের মানুষ ভোটাধিকার বঞ্চিত হয়েছে। এ ধরনের নির্বাচন আবার যদি হয় তাহলে গণতন্ত্র চিরনির্বাসিত হবে। দেশবাসী আর ছিনিয়ে নেয়া নির্বাচন হতে দেবে না। তাই যুক্তফ্রন্ট দেশবাসীর কাছে আহ্বান রাখছে এ ধরনের নিয়ন্ত্রিত নির্বাচন রুখে দিতে হবে। আমরা গণতান্ত্রিক নির্বাচন চাই। সংসদ ও মন্ত্রিসভা ভেঙে দিতে হবে। নির্বাচনে সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে। নির্বাচনের আগে সব রাজবন্দিকে মুক্তি দিতে হবে। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। প্রয়োজনে সংবিধান সংশোধন করতে হবে। সংসদের অধিকাংশ আসনে বিনা ভোটে সরকারি দলের সদস্যরা নির্বাচিত হয়েছেন। ভোটে অনির্বাচিত সংসদ সদস্যরা মন্ত্রী হয়েছেন, সংবিধান সংশোধন করেছেন এবং অনেকে ব্যাপক দুর্নীতির অংশীদার হয়েছেন। বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশে উন্নয়ন এবং গণতন্ত্র উভয়ই থাকতে হবে। একটা গাছের জন্য যেমন আলো তেমনি পানিও প্রয়োজন। শুধু প্রচুর আলোর মধ্যে একটি গাছ থাকলে তাতে যদি যথেষ্ট পানি না দেয়া হয় অথবা বৃষ্টি না থাকে, তা হলে গাছ মরে যায়। অন্যদিকে প্রচুর পানি দিলেও গাছটি যদি অন্ধকারে রাখা হয় তাহলে গাছটি বাঁচবে না। রাষ্ট্র নামক বৃক্ষটিও তাই। উন্নয়ন যেমন প্রয়োজন, তাকে নিঃশ্বাস নেয়ার জন্য, কথা বলার জন্য, মতামত প্রকাশ করার জন্য ভোটের অধিকার প্রয়োজন, এর নামই গণতন্ত্র। কাজেই সুখী রাষ্ট্র গঠনের জন্য গণতন্ত্র এবং উন্নয়ন দুটিই দরকার। শুধু উন্নয়নে মন ভরবে না, শুধু গণতন্ত্রে পেট ভরবে না। দুটোই প্রয়োজন। দেশে উন্নয়ন হয়েছে, প্রবৃদ্ধি বেড়েছে সন্দেহ নেই, কিন্তু শুধু কয়েক হাজার রাতারাতি হওয়া কোটিপতি এই প্রবৃদ্ধির সিংহভাগ খেয়ে ফেলেছে। সরকারের হিসাবে দেশে এখনও দারিদ্র্যের হার ২২ ভাগের নিচে। তিনি প্রশ্ন করেন, কোথায় প্রবৃদ্ধির সুফল?’ ততই জনতা তৈরি হচ্ছে এই বেশিকথা বলা লোকগুলোর কাছ থেকে নিরাপদ দূরত্বে থাকতে। কেননা, আমজনতা জানে যে, যারা কাজের চেয়ে বেশি কথা বলে, এরা কখনোই দেশ ও মানুষের মঙ্গলে কোন পদক্ষেপ রাখতে পারবে না। বরং ব্যর্থতার রাস্তায় অগ্রসর হতে থাকবে ভয়াবহ অনিশ্চয়তায়।
অন্যদিকে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের-এর মত অবিরত চটাং চটাং কথা বলা মানুষদেরকেও কখনো পছন্দের তালিকায় রাখেনি এদেশের মানুষ। বরং যখন ওবায়দুল কাদের বলেন যে, পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিতে চাই, আমরা বিএনপির সঙ্গে পাল্টা-পাল্টি দখলে নেই। কিন্তু যারা দেশের শান্তি বিনষ্ট করবে, যারা দেশের মানুষের জানমালের নিরাপত্তাকে জিম্মি রেখে, মাঠ দখল ও ঢাকা অচল করার চিন্তা করবে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে তাদের অচল করে দেব। ২০০৬ সালের পর থেকে ক্ষমতার ক্ষুধার জ্বালা বিএনপিকে উন্মাদ করে ফেলেছে। ক্ষমতায় আসার জন্য তারা আজকে উন্মাদের মতো প্রলাপ বকছে। তারা অক্টোবরে নাকি মাঠ দখল করবে! স্বপ্ন দেখছে, রঙিন স্বপ্ন। ক্ষমতা ফিরে পেতে আবারও রঙিন স্বপ্ন দেখছে মাঠ দখল করবে। বাংলাদেশ অচল করবে, ঢাকা অচল করবে! এ দেশে এই মুহূর্তে মানুষ নির্বাচনমুখী। এই মুহূর্তে আন্দোলন করার মনমানসিকতা ভোটারদের মধ্যে নেই। তাই নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোটের প্রস্তুতি নিচ্ছে। আন্দোলন কখন হয় যখন আন্দোলনের বস্তুগত পরিচিতি বিরাজমান থাকে। কিন্তু এখন কারও মাঝে অসন্তোষ নেই। কোথাও জনমনে ক্ষোভ নেই, অশান্তি নেই। অশান্তি শুধু বিএনপির ক্ষমতাকে কেন্দ্র করে। তারা ক্ষমতা চায়। তারা ক্ষমতাকে কেন্দ্র করে লুটপাটের রাজত্ব কায়েম করতে চায়।’ তখন নিশ্চয়তাহীন নিদারুণ ভবিষ্যতের কথা ভেবে কেবলই দীর্ঘশ্বাস ফেলে আর উত্তরণে নিবেদিত থাকা কালোহীন আলোকিত আগামীর কোন নেতার প্রত্যাশায় আকুতি জানায় আল্লার কাছে।
দেশ সন্ত্রাস-চাঁদাবাজ-জঙ্গী-জামায়াত-শিবির আর দুর্নীতিবাজদের কারণে নেমে আসছে অন্ধকার। সেই অন্ধকারের ঘণঘটার মধ্যে আবার প্রতারণার নতুন ফর্মূলা নিয়ে এগিয়ে আসছে ছলাকলার খেলোয়াড়গণ। শুধু তা-ই নয়; ভাটের অধিকার আদায়ে দেশব্যাপী গণজাগরণ সৃষ্টির অঙ্গীকার করেছেন তথাকথিত ঐক্যপ্রক্রিয়া এবং যুক্তফ্রন্টের শীর্ষ নেতারা, একমঞ্চ থেকে তারা দুর্নীতিমুক্ত আগামী দিনের বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার শপথ নেন। একই সঙ্গে তারা খুন-গুম চিরতরে বন্ধ করে আইনের শাসন এবং বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করারও প্রতিশ্রুতি দেন। নেতারা এ সময় ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠায় জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে ১ অক্টোবর থেকে দেশব্যাপী ‘বৃহত্তর ঐক্যের’ ব্যানারে আন্দোলনের কর্মসূচি দেয়ারও ঘোষণা দেন। সম্প্রতি এক সমাবেশ থেকে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে সরকারের পদত্যাগসহ পাঁচ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে সারা দেশের জেলা-উপজেলা থেকে শুরু করে ইউনিয়ন-ওয়ার্ডে সব শ্রেণী-পেশার নাগরিককে নিয়ে কমিটি গঠনের সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত ঐক্যবদ্ধভাবে নিয়মতান্ত্রিক শান্তিপূর্ণ গণজাগরণের কর্মসূচি অব্যাহত রাখারও ঘোষণা দেয়া হয়। এছাড়াও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ সব রাজবন্দিকে নিঃশর্ত মুক্তি এবং বিরোধী নেতাকর্মীদের ওপর দমনপীড়ন বন্ধের দাবি জানানো হয়। কার্যকর গণতন্ত্র, আইনের শাসন ও জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলুন’ বলছেন একদিকে, অন্যদিকে বলা হচ্ছে- ‘আজ আমাদের গণতন্ত্রের সপক্ষ ও স্বাধীনতার সপক্ষ শক্তির সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। যারা স্বাধীনতার বিরুদ্ধে ছিল এবং আছে- তাদের সঙ্গে ঐক্য করব না। একটি স্বেচ্ছাচারী, গণতন্ত্রবিরোধী সরকার গত ১০ বছরে যে উদাহরণ সৃষ্টি করেছে, এমনি আবারও একটি অনুরূপ সরকারের ঝুঁকি আমরা নিতে পারি কি? সংসদে, মন্ত্রিসভায়, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য সৃষ্টি করতেই হবে। না হলে স্বেচ্ছাচারমুক্ত বাংলাদেশের নতুন অধ্যায় সৃষ্টি করা যাবে না। ইভিএম ছুড়ে ফেলতে হবে। ভোট কেন্দ্রে সিসিটিভি লাগাতে হবে। পুলিশ-র‌্যাব আমাদের সন্তান। তাদের বাড়াবাড়ি কাম্য নয়। যারা গুম-খুন হত্যা করেছেন, তাদের জবাবদিহি করতে হবে। আজ এমন কোনো মন্ত্রণালয় নেই যেখানে দুর্নীতি, ঘুষ হয় না। গত ছয় মাস ধরে প্রধানমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ দিয়ে আসছি, এসব কেন? তিনি জবাব দিতে পারেননি। স্বাধীন দেশে কেন সভা সমাবেশের অনুমতি নিতে হবে? আমরা জনগণের অনুমতি নিয়েই সভা-সমাবেশ করব, কারও তোয়াক্কা করব না। ১০ বছর ধরে দেশ শাসন করেছেন, দেশে গণতন্ত্র আইনের শাসন নেই। কেন? গণতন্ত্র হত্যা করেছেন কেন? বলছেন, ভারত বন্ধু রাষ্ট্র। আমরাও মনে করি। কিন্তু তিস্তা-গঙ্গার পানি পাইনি। কেন- এটা ভারত সরকারকে বলতে হবে।’
এমন অসংখ্য কথা এবং কাজের গড়মিল নিয়ে এগিয়ে চলছে বেশ কিঝু জোট-মহাজোট, প্রক্রিয়া আর ঐক্য প্রক্রিয়ার রাজনীতির নামে অপরাজনীতি চর্চা। যাদের সাথে সাধারণ মানুষের সম্পৃক্ততা নাই, তাদের নেতৃত্ব আমরা কিভাবে চাই? আর চাই নেতৃত্ব আসবে নতুন প্রজন্মের প্রতিনিধিদের মধ্য থেকে। প্রয়োজনে নতুন প্রজন্ম লড়বে, কিন্তু গড়বে বাংলাদেশ। সেই প্রত্যয়ে অনতিবিলম্বে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে লালনের পাশাপাশি সকল জাতীয় বীরের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এগিয়ে যাওয়া অনন্য নতুন পথচলা নতুনধারা বাংলাদেশ এনডিবির নিবন্ধন দেয়ার আহবান জানাচ্ছি, সমাধান চাইছি কাজের মাঝে, তা না হলে ক্ষতিগ্রস্থ হবে বাংলাদেশ, বাংলাদেশের মানুষ। যা আমাদের কারোই কাম্য নয়…
মোমিন মেহেদী : চেয়ারম্যান, নতুনধারা বাংলাদেশ-এনডিবি

(ঢাকারনিউজ২৪.কম/এসডিপি/৯:০৫পিএম/৯/১০/২০১৮ইং)