• ঢাকা
  • রবিবার, ১২ মে ২০২৪, ০৯:৩৭ পূর্বাহ্ন

ওসি আসলামের বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের মানববন্ধন


প্রকাশের সময় : জুলাই ২৭, ২০১৯, ১০:১৬ PM / ৫৩
ওসি আসলামের বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের মানববন্ধন

প্রেস বিজ্ঞপ্তি : নারায়ণগঞ্জের পাগলার রসুলপুর এলাকায় সরকারী সম্পদ বিদুৎ এর খুটি ও তার চুরির বিষয়ে বিদুৎ এর কিছু অসাধু কর্মকর্তা কর্মচারী ও স্থানীয় চোর সিন্ডিকেটের হোতা গিয়াস উদ্দিন র্দীঘদিন থেকে বিদুৎ এর খুটি ও তার কেটে বিক্রি করে আসছে এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৯ জুন শনিবার এই সিন্ডিকেটের সদস্যরা ফতুল্লা থানাধীন পাগলা রসুলপুর এলাকায় আবারও খুটি কাটতে গিয়ে স্থানীয় জনতার হাতে ধরা পড়ে এজাজ ও শফিকুল ইসলাম নামের ২ জন চোর। তাদের চুরির নেতৃত্বে ছিলেন, গিয়াস উদ্দিন ও বিদুৎ এর অসাধু কর্মকর্তা কর্মচারীগণ। স্থানীয় বাসিন্দারা চোরদেরকে আটক করে ফতুল্লা থানায় ফোন দিলে থানা থেকে এসআই শুভ টিম নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে বিদুৎ এর খুটি ও তার এবং চোরদের থানায় নিয়ে যান। ফতুল্লা থানায় নিয়ে আসলেও মামলা হয়েছে ৪ (চার) মাস আগের দাপা ইদ্রাকপুর – দোপা গার্ডেন সিটি সংলগ্ন পেন্ডিং মামলা, মামলার বাদী মোঃ রফিকুল আলম (৪০) ২২/০৩/২০১৯ ইং তারিখে ঘরের তালা ভেঙ্গে ২.৫০.০০০ টাকা ও ৭ ভরি গহনা চুরির বিষয়ে ১টি অভিযোগ দায়ের করেন। এই ৪ (চার) মাস আগের চুরির মামলা নং ৮৩ তাং.২৩-০৩-১৯ ধারা ৪৫৭, ৩৮০ দঃবিধি মামলা দিয়েই রাষ্টীয় সম্পদ চুরি ও লুন্ঠন কারীদের কোর্টে প্রেরন করেন ফতুল্লা থানার ওসি আসলাম ও এস আই শুভ। ঘটনার মূল আসামী গিয়াসউদ্দিন ও মোহাম্মদ আলী। যিনি ৫ হাজার টাকা দিয়েছেন গিয়াসউদ্দিনকে যা আমাদের নিকট রেকর্ড সংরক্ষিত রয়েছে। অথচ পুলিশ মূলহুতা গিয়াসউদ্দিনের কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা এবং মোহাম্মদ আলীর কাছ থেকে ১৫ হাজার টাকা ঘুষ খেয়ে ১ নং আসামী ও ২ নং আসামীর নাম বাদ দিয়ে রাষ্টীয় সম্পদের বিষয়টি ধামাচাপা দেন। তাদের পক্ষ হয়ে এস আই শুভ এর সাথে ঘুষ লেনদেন করেন রসুলপুর এলাকার কয়েকজন ব্যক্তি। যার তথ্য আমাদের কাছে সংরক্ষিত আছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি বলেন আমরা যদি তথ্য দেই আপনাদের তাহলে পুলিশি হয়রাণী হতে হবে আমাদের। বিষয়টি আরও গভীর অনুসন্ধান করার জন্য ৩০ জুন রোববার দৈনিক গণজাগরণে প্রচারিত অপরাধের খোঁজে অনুসন্ধানী টিমের চীফ রিপোর্টার মোঃ সেলীম নিজামী, সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম শফিক ও ফটো সাংবাদিক ইউসুফ মিয়া ড্রাইভার মোঃ মাসুদ মিয়া রাত আনুমানিক সাড়ে ৭টার দিকে ফতুল্লা থানার ওসি আসলামের কক্ষে উপস্থিত হয়ে সাক্ষাৎকার গ্রহন কালে তিনি প্রথমেই ভূল তথ্য এবং তথ্য গোপন করার চেষ্টা করেন তারপরও অনুসন্ধানী টিমের প্রশ্নের মুখে সত্যতা বের হয়ে আসলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন আমি আপনাদেরকে তথ্য দিতে বাধ্য নই এবং কি কারনে ভিডিও করা হলো এই জন্য টিমের ক্যামেরা, মোবাইল, গাড়ী জব্দ করে কথিত সাংবাদিক বানানোর চেষ্টা করেন, তা করেও ক্ষান্ত হননি ওসি আসলাম। তার অপরাধ ঢাকার জন্য অনুসন্ধানী টিমের সাংবাদিকদেরকে ৩৮৫/৫০৬/৪১৯-৩৪ দ:বি: আইনে অন্যায় ভাবে মামলা দিয়ে জেল হাজতে পাঠিয়ে ১৫ দিন জেল খাটিয়েছেন। মূলত গণমাধ্যমের সাহসী বীর কলম সৈনিকদের কন্ঠরোধ করার জন্য। গণমাধ্যমের সম্মান ক্ষুন্ন করার জন্য গণমাধ্যমের ন্যায় নিষ্ঠা ও সৎ কর্মীদের বিতর্কিত করার জন্য অনুসন্ধানী টিমের সদস্যদের আটকের পূর্বে পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ওমর ফারুক জালাল জানান, ওসি আসলামকে তারা আমার পত্রিকার সাংবাদিক পরিচয় দিয়েছি, যার কথোপকথন মোবাইলে রেকর্ড সংরক্ষিত আছে। তার পরও ওসি আসলাম তার ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে দৈনিক গণজাগরণ পত্রিকার চীফ রিপোর্টার সহ ৪ জন সাংবাদিককে ভূয়া ও চাঁদাবাজ বানিয়ে বেআইনী ভাবে মামলা দায়ের করেন। ওসি আসলাম অনুসন্ধানী টিমের সাংবাদিকদের গ্রেপ্তারের পূর্বে বারবার পুলিশ সুপার হারুন অর রশিদের সাথে কথা বলার চেষ্টা কালে সাংবাদিকদের জোর পুর্বক মোবাইল ছিনিয়ে নেওয়া হয় যা সম্পূর্ন অমানবিক ও গণমাধ্যমের জন্য অশনি সংকেত। যেখানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সাংবাদিকদের সব সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন সেখানে কিভাবে একজন ওসি থানায় সাংবাদিকদের সাক্ষাৎকার নেওয়া অবস্থায় এত বড় ন্যাক্কারজনক ঘৃন্য ইতিহাস গড়ার মত ঘটনা ঘটাতে পারেন। মোবাইল ক্যামেরা ছিনিয়ে নিয়ে যে অমানবিকতা করেছেন চিফ রিপোর্টার সেলিম নিজামীকে চোখঁ বেধে রাত ভর থানায় নির্যাতন করে গণমাধ্যমকে কলুষিত করলেন ওসি আসলাম। পরের দিন সোমবার সকাল ৯টা এবং বিকেল ২টা স্থানীয় প্রিন্ট ও ইলেকক্ট্রিক মিডিয়ার কর্মীদের ডেকে এনে মিথ্যা বানোয়াট ও ভূল তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রচার করেন, উক্ত অনুসন্ধানী টিমের সকল সাংবাদিকদের সম্মান ক্ষুন্ন করেছেন। আমন্ত্রিত সাংবাদিকদেরকে আটককৃতদের সাথে কথা বলার সুযোগ দেননি ওসি আসলাম। তাই গণমাধ্যমের কর্মীরা সঠিক তথ্য ও সংবাদ প্রকাশে ব্যর্থ হয়েছেন তাই বিভিন্ন মিডিয়াতে কারসাজী করে ওসি আসলাম মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করেন। এরই প্রতিবাদে ২৭ জুলাই শনিবার মানববন্ধন পালিত হয় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে। প্রতিবাদে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন এর সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ দিদারুল আলম দিদার, বাংলাদেশ টেলিভিশনের সিনিয়র প্রোগ্রাম উপস্থাপক (অন্তরালে) সম্পাদক প্রকাশক দৈনিক তথ্যানুসন্ধান ইংরেজি এ্যাসাইনম্যান্ট- সভাপতি বাংলাদেশ প্রেস ইউনিয়ন জয় মাহমুদ, দৈনিক গণজাগরণ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ওমর ফারুক জালাল, বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম এর সাধারণ সম্পাদক আহমেদ আবু জাফর, বাংলাদেশ ইকোনমিক মিডিয়া এসোসিয়েশন সিনিয়র সহ সভাপতি খন্দকার জিল্লুর রহমান, ৭১ বাংলা টিভির চেয়ারম্যান এইচ. এম. তারেক চৌধুরী, ঢাকা পূর্বাঞ্চল সাংবাদিক ইউনিটির সভাপতি নজির আহম্মদ, রুপান্তর টিভির চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রনি, সংবাদ বাংলাদেশ এর সম্পাদক হাফিজুর রহমান, দৈনিক গণজাগরণ পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক নুরুল ইসলাম রকি, সহ শতাধিক নেতৃবৃন্দ বক্তব্যে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন অবিলম্বে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটির মাধ্যমে বিচারের আওতায় আনা হউক ওসি আসলামকে এবং যে ভিডিওর জন্য সাংবাদিক সেলিম নিজামী সহ ৪ (চার) জন সাংবাদিককে মিথ্যা মামলায় জেলে পাঠানো হলো সে ভিডিওটি গণমাধ্যমে প্রচার ও প্রকাশ করার অনুরোধ জানান মানববন্ধনে উপস্থিত নেতৃবৃন্দ।
(ঢাকারনিউজ২৪.কম/আরএম/১০:১৬পিএম/২৭/৭/২০১৯ইং)