• ঢাকা
  • রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ০৩:১৫ অপরাহ্ন

এরশাদের হাতকে শক্তিশালি করতেই জাপা’তে যোগ দিয়েছি : জয়নাল আবেদীন


প্রকাশের সময় : অগাস্ট ১৬, ২০১৮, ১:২৩ PM / ৮৭
এরশাদের হাতকে শক্তিশালি করতেই জাপা’তে যোগ দিয়েছি : জয়নাল আবেদীন

সোনিয়া দেওয়ান প্রীতি : জাতীয় পার্টি কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও নারায়ণগঞ্জ-৫ আসন থেকে আগামী নির্বাচনে সংসদ সদস্য পদে মনোনয়ন প্রত্যাশী বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগি ও সফল ব্যবসায়ী নেতা আলহাজ্ব মো. জয়নাল আবেদীন বলেছেন, ‘সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের হাতকে আরো শক্তিশালি করতেই আমি জাতীয় পার্টিতে যোগ দিয়েছি’।

১৫ আগস্ট বুধবার ঢাকারনিউজ২৪.কম কে দেয়া বিশেষ সাক্ষাৎকারে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।

নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য প্রয়াত জননেতা নাসিম ওসমানের মৃত্যুর পর এই আসনে বিগত ৪ বছরে জাতীয় পার্টির কার্য্যক্রম প্রায় নেই বললেই চলে। একই দল থেকে পূনরায় সাবেক সাংসদের সহোদর ভাই সেলিম ওসমান এমপি নির্বাচিত হলেও তিনি মূলত ব্যবসায়ী নেতা। একের পর এক জনসেবামূলক কাজ করে গেলেও জাতীয় পার্টিকে সুসংহিত করার লক্ষ্যে নেতাকর্মীদের একত্রিত করতে নেন নি কোনো উদ্যোগ, বরং বিভিন্ন সময় মঞ্চে দাঁড়িয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর পক্ষ নিয়ে সরাসরি বক্তব্য দিয়ে ক্ষোভের স্বীকার হয়েছেন দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকদের। ফলে জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের মাঝে আগের মতো প্রাণচাঞ্চল্য ছিলনা, ছিলনা একতা। নেতার মৃত্যুর পর থেকে ৪ বছরে পার্টির অফিসটি প্রায় সময়ই বন্ধ থাকতে দেখা গেছে। সব মিলিয়ে জাতীয় পার্টি এই এলাকায় প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল। এমন অবস্থায় মাত্র কয়েকমাস পূর্বে নারায়ণগঞ্জের পরিচিত মুখ, বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগি ও শ্রমিকবান্ধব আল-জয়নাল গ্রুব অব ইন্ড্রাস্ট্রিজ এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর আলহাজ্ব মো. জয়নাল আবেদীন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হয়ে এই এলাকার জাতীয় পার্টির হাল ধরেন। শুরুতেই তিনি প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া নেতাকর্মীদেরকে একত্রিত করার লক্ষ্যে সদর থানার পার্শ্বস্থ তার নিজস্ব ভবন আল-জয়নাল প্লাজার ৩য় তলায় বিশাল ফ্লোরজুড়ে একটি পার্টি অফিস তৈরি করেন। সেই থেকে প্রতিদিনই নেতাকর্মীরা এখানে একত্রিত হয়ে জয়নাল আবেদীনের নেতৃত্বে আগের মতো জাতীয় পার্টির কল্যাণে নিয়মিত মত বিনিময়, আলোচনা সহ নানা কর্মসূচি পালন করে দলকে পূনরায় সুসংগঠিত করতে কাজ করে চলেছেন। আমাদের আজকের বিশেষ সাক্ষাৎকার বিভাগে অতিথি হয়েছেন জাতীয় পার্টি থেকে আগামী নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাশী এই নেতা।

‘একজন সফল ব্যবসায়ী নেতা হিসেবে প্রথমবারের মতো রাজনীতিতে যোগ দেয়ার ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ কিংবা বিএনপি’র মতো বড় দলে যোগ না দিয়ে কেনো জাতীয় পার্টিকেই বেছে নিলেন’- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রথমত ধর্মভীরু হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ আমার পীর ভাই। এছাড়া তিনি দীর্ঘ ৯ বছরের শাসনামলে সফল রাষ্ট্রনায়ক। দেশ পরিচালনায় তার লক্ষ্যই ছিল- ৬৮ হাজার গ্রাম বাঁচলে বাংলাদেশ বাঁচবে। তার শাসনামলেই কোনো সন্ত্রাসী, মাদক ব্যবসায়ী ছিলনা। সুতরাং তার মতো রাজনীতিক পূনরায় এ দেশের হাল ধরলে বাংলাদেশ আবার সন্ত্রাস ও মাদকমুক্ত উন্নত রাষ্ট্রে পরিনত হবে বলে আমি বিশ্বাস করি। এরই লক্ষ্যে তার হাতকে আরো শক্তিশালি করতে আমি জাতীয় পার্টিতে যোগ দিয়েছি।

নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে জাতীয় পার্টি থেকে নির্বাচিত বর্তমান সংসদ সদস্য সেলিম ওসমানকে বিভিন্ন সময় আওয়ামী লীগের পক্ষে বক্তব্য দিতে দেখা যাচ্ছে। অনেকেই বলছেন তিনি আগামী নির্বাচনে নৌকার মাঝি হতে চাইছেন। এক্ষেত্রে আপনার বক্তব্য কি? এমন প্রশ্নের জবাবে শ্রমিকবান্ধব ব্যবসায়ী নেতা অালহাজ্ব মো. জয়নাল আবেদীন ঢাকারনিউজ২৪.কম কে বলেন, সেলিম ওসমান সাহেব জাতীয় পার্টির নির্বাচিত এমপি হয়েও আওয়ামী লীগের পক্ষ নিয়ে কিছু বলে থাকলে কিংবা নৌকা মার্কায় নির্বাচন করতে চাইলে সেটা তার ব্যক্তিগত বিষয়। আমি এসব বিষয়ে কিছু বলতে চাইনা। তবে এটুকু বলব যে- তিনি দলের জন্য কাজ না করলেও আমি মানুষের সেবা করি দলের হয়ে এবং দলের জন্যই কাজ করে যাচ্ছি।
একই দলের নেতা হিসেবে সেলিম ওসমান আপনাকে কোনো সহযোগিতা করেন কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তিনি আমাকে কোনো সহযোগিতা করেন না। আমি যতটুকু এগিয়ে চলেছি তা হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ স্যার, এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার স্যার সহ কেন্দ্রীয় নেতাদের সহযোগিতা ও দিক-নির্দেশনা নিয়ে।

দল যদি আপনাকে আগামী নির্বাচনে মনোনয়ন না দেয় সেক্ষেত্রে আপনি একই ভাবে দলের স্বার্থে নারায়ণগঞ্জবাসীর জন্য কাজ করবেন কি? এমন প্রশ্নের জবাবে আল-জয়নাল গ্রুপ এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর হিসেবে দায়িত্বরত গণমানুষের এ নেতা বলেন, দলের নীতি নির্ধারকরা দলের জন্য যা ভাল মনে করবেন তাই হবে। মনোনয়ন না পেলে যে দলের হয়ে কাজ করব না, এমন কোনো কথা নেই। তখন কাজ করার স্পিড আরো বেড়ে যাবে আমার। তাছাড়া আমার মূল উদ্দেশ্য মানবসেবা করার। তাই মানুষের সেবা করার জন্য যে আমাকে এমপি নির্বাচিত হতেই হবে এমন কোনো কথা নেই।

দল মনোনয়ন দিলে নির্বাচিত হয়ে নারায়ণগঞ্জবাসীর জন্য আপনি কি করবেন? এমন প্রশ্নের জবাবে এই নেতা বলেন, প্রথমত নারায়ণগঞ্জকে মাদকমুক্ত ও সন্ত্রাসমুক্ত করে হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের স্বপ্ন পূরন করব। এছাড়া এখানে একটি মেডিকেল কলেজ ও আরো বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করার ইচ্ছে রয়েছে। সবকিছু আল্লাহর ইচ্ছে। তিনি যদি চান তাহলে সবকিছুই সম্ভব।

 

 

(ঢাকারনিউজ২৪.কম/এসডিপি/১:২০পিএম/১৬/৮/২০১৮ইং)