• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ০৭:৪৫ পূর্বাহ্ন

‘একলা চলো নীতিতে এগোলে ক্ষমতায় আসা যাবে না’


প্রকাশের সময় : জানুয়ারী ৪, ২০১৮, ১১:৩২ PM / ৪৩
‘একলা চলো নীতিতে এগোলে ক্ষমতায় আসা যাবে না’

ঢাকারনিউজ২৪.কম, ঢাকা : ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও সমাজকল্যাণমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেছেন, আওয়ামী লীগ ‘একলা চলো’ নীতিতে চললে আগামী সংসদ নির্বাচনে ১৪-দল ক্ষমতায় আসতে পারবে না।

৪ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার রাজধানীর তোপখানা রোডে ১৪-দলের শরিক ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মেনন এই মন্তব্য করেন।

ওয়ার্কার্স পার্টি ঘোষিত ২১ দফার কর্মসূচিকে এগিয়ে নিতে ও আগামী ৩ মার্চ শনিবার দুপুর ২টায় রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশ আয়োজন উপলক্ষ্যে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে মেনন বলেন, ‘আমাদের বিশ্বাস ১৪-দল ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে। তবে আওয়ামী লীগ যেন একলা চলো নীতিতে না চলে, সে আহ্বান জানাই। একলা চলো নীতিতে চললে আগামী নির্বাচনে বিজয় আনা সম্ভব নয়।’

বক্তব্যে ব্যাংক খাতে লুটপাট, শিক্ষা বাণিজ্য, প্রশ্ন ফাঁস, গুম, হত্যা, ধর্ষণ, চাঁদাবাজি, দখলদারিত্বসহ নানা বিষয়ে সরকারের সমালোচনা করেন ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি। এ সময় এক সাংবাদিকের করা প্রশ্নের জবাবে মেনন বলেন, ‘আন্দোলন ও নির্বাচন দলগতভাবে একসাথে করতে চাই। আমি মনে করি, ১৪ দলের ঐক্য অব্যাহত থাকবে এবং ১৪ দলের ঐক্যকে সঠিকভাবে কার্যকর করতে হবে। একলা চলো নীতিতে নির্বাচনে বিজয় আনা সম্ভব হবে না।’

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা । তিনি বলেন, ‘দেশের অর্থনীতির ক্ষেত্রে ব্যক্তি মালিকানায় বিশালসংখ্যক ব্যাংক প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। কিন্তু অব্যবস্থাপনা, দুর্নীতি, জালিয়াতি প্রভৃতি দুর্বৃত্তপনা এই ক্ষেত্রকে লুটেরার রাজত্বে পরিণত করেছে। ঋণ খেলাপির সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে। বিদেশে টাকা পাচার অব্যাহত গতিতে চলছে।’

ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক বলেন, ’শিক্ষা বাণিজ্য, প্রশ্নপত্র ফাঁস, বৃহৎ বইয়ের বোঝা, পাঠ্যপুস্তকের সাম্প্রদায়িকরণ-এসব ক্ষেত্রে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে শিক্ষা ক্ষেত্রে সাফল্যগুলিকে ম্লান করে দিচ্ছে। নারীর ক্ষমতায়নের অগ্রগতিও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে নারী নির্যাতন, নারীর প্রতি সহিংসতা, ধর্ষণ, খুন, বাল্যবিবাহের ব্যাপক যে বিস্তৃতি রয়েছে সে কারণে। এ ক্ষেত্রে নারী সমাজের লক্ষ্যণীয় প্রতিরোধ গড়ে উঠলেও তাদের এসব ক্ষেত্রে নিরাপত্তা বিধানের দায়িত্ব রাষ্ট্রের।’

নির্বাচন ও নির্বাচনী ব্যবস্থা নিয়ে সংকট দূর হয়নি উল্লেখ করে বাদশা বলেন, ’গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকলেও নির্বাচন ও নির্বাচনী ব্যবস্থা নিয়ে সংকট দূর হয় নাই। বিএনপি জোট ২০১৪ এর মতো আবার নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করা, নির্বাচন প্রতিরোধ করার কথা বলছে। একটি অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করার জন্য তৎপর রয়েছে। সকল দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন অনুষ্ঠিত ও নির্বাচনের নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করা যেমন জরুরি কর্তব্য, তেমনি জরুরি কর্তব্য বহু কষ্টের বিনিময়ে অর্জিত গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক ধারাকে অক্ষুণ্ণ রাখা।’

‘রাষ্ট্র রাজনীতি ও সমাজের এই বাস্তবতা উন্নয়নের কথা বলে আড়াল করা যাবে না। বরং ঐ উন্নয়নকে টেকসই ও অন্তর্ভূক্তিমূলক করতে এ সকল অসংগতি অন্যায্য ব্যবস্থার প্রতিবিধান করতে হবে’, যোগ করে ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ওয়ার্কার্স পার্টির পলিট ব্যুরোর সদস্য বিমল বিশ্বাস, আনিসুর রহমান মল্লিক, নুরুল হাসান, মাহমুদুল হাসান মানিক, সুশান্ত দাস, নুর আহমদ বকুল, হাজেরা সুলতানা, কামরূল আহসান প্রমুখ।

(ঢাকারনিউজ২৪.কম/এসডিপি/১১:২০পিএম/৪/১/২০১৮ইং)