• ঢাকা
  • সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ১০:৪০ পূর্বাহ্ন

স্বৈরাচারী রাষ্ট্রের তালিকায় বাংলাদেশ : লজ্জিত বিএনপি


প্রকাশের সময় : মার্চ ২৪, ২০১৮, ২:৪৯ PM / ৯২
স্বৈরাচারী রাষ্ট্রের তালিকায় বাংলাদেশ : লজ্জিত বিএনপি

ঢাকারনিউজ২৪.কম, ঢাকা : স্বৈরাচারী রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বের প্রথম পাঁচটি দেশের তালিকায় বাংলাদেশ থাকায় লজ্জিত বিএনপি। দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আজ শনিবার(২৪ মার্চ) সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানিয়েছেন। জার্মান গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘বেরটেলসম্যান স্টিফটুং’ শুক্রবার এক প্রতিবেদনে বলেছে, বাংলাদেশ এখন স্বৈরশাসনের অধীন এবং এখানে গণতন্ত্রের ন্যূনতম মানদণ্ড পর্যন্ত মানা হচ্ছে না। এই ক্যাটাগরির পাঁচটি দেশের মধ্যে একটি বাংলাদেশ।

তবে জার্মান গবেষণা প্রতিষ্ঠানের এই প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা এইচটি ইমাম।

এই প্রতিবেদন উল্লেখ করে নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘পৃথিবীতে স্বৈরাচারী রাষ্ট্র হিসেবে প্রথম পাঁচটির মধ্যে বাংলাদেশ থাকায় বিএনপি লজ্জাবোধ করছে। এতদিন ধরে যে কথাগুলো আমরা বলে আসছিলাম, প্রতিবেদনে তারই প্রতিফলন হয়েছে। সেটিকেই বিশ্ব স্বীকৃতি দিয়েছে। এটাই সত্য বাংলাদেশে স্বৈরাতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘জার্মান প্রতিষ্ঠানের গবেষণার ভিত্তিতেই বাংলাদেশ থেকে গণতন্ত্র বিদায় নিয়েছে এবং স্বৈরতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। নাগরিক হিসেবে আমরা যারা যুদ্ধ করে দেশকে স্বাধীন করেছিলাম, সবাই লজ্জাবোধ করছি এবং তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।’

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘সরকার স্বৈরতান্ত্রিক হয়েছে বলেই আজকে বাংলাদেশ এই অবস্থায় গেছে।’

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এরশাদের সমাবেশের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘চতুরদিকে ঢাক-ঢোল পিটিয়ে এরশাদ ২৪ মার্চ গণতন্ত্র হত্যা দিবসে জনসভা করছেন। এদিন তিনি একটি নির্বাচিত সরকারকে সরিয়ে জোর করে ক্ষমতা দখল করেছিলেন। এজন্য আদালত তাকে সাজাও দিয়েছেন এবং সাংবিধানিকভাবে তাকে দোষারোপ করা হয়েছে। সে সময়ে গোটা জাতি এরশাদকে বিশ্ব বেহায়া অভিহিত করেছিল।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সেই এরশাদ ও তার দলকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভা করার অনুমতি দেয়া হয়েছে। অথচ দুর্ভাগ্যক্রমে আমরা যারা স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছিলাম, আমাদের সভা করার অনুমতি দেয়া হয়নি। কয়েকবার চাওয়ার পরও দেয়া হয়নি।’

এ সময় তিনি আগামী ২৯ মার্চ বিএনপিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সভা করার অনুমতি দেয়া হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘সভা করার জন্য যত নিয়ম রয়েছে, সবকিছু মেনে অনুমতি চেয়েছি। আজকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে সিনিয়র তিন নেতার সমন্বয়ে একটি ডেলিগেশন টিম পাঠানো হবে। আশা করছি, সরকার গণতান্ত্রিক অধিকার ও সভা করার বিরুদ্ধে কালাকানুন তুলে নিয়ে অনুমতি দেবে।’

এ সময় তিনি জানান, আগামী ২০ এপ্রিল পর্যন্ত সারা দেশের বিএনপির সাংগঠনিক ৭৮টি জেলায় রাজনৈতিক সফর করা হবে। এজন্য ৩৭টি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

মির্জা ফখরুল মহান স্বাধীনতা দিবস পালনেও কয়েক দিনব্যাপী বিএনপির বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ড. আব্দুল মঈন খান, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ-আল নোমান প্রমুখ।

(ঢাকারনিউজ২৪.কম/কেএস/২:৪৫পিএম/২৪/৩/২০১৮ইং)