• ঢাকা
  • রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ১১:৪১ পূর্বাহ্ন

উপাচার্য প্যানেল নির্বাচনের দাবি প্রগতিশীল জাবি শিক্ষক সমাজের


প্রকাশের সময় : ফেব্রুয়ারী ১০, ২০১৮, ১২:০৩ AM / ২৬
উপাচার্য প্যানেল নির্বাচনের দাবি প্রগতিশীল জাবি শিক্ষক সমাজের

ঢাকারনিউজ২৪.কম, ঢাকা : জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ফারজানা ইসলাম ‘উপাচার্য প্যানেল নির্বাচন’ দিতে চাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেছেন বঙ্গবন্ধু আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী প্রগতিশীল জাবি শিক্ষক সমাজ।

শুক্রবার বেলা ১২টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে এক সংবাদ সম্মেলনে তারা সিনেটের মাধ্যমে উপাচার্য প্যানেলের নির্বাচন দাবি করেন।

লিখিত বক্তব্যে জাবির সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. শরীফ এনামুল বলেন, ‘সিনেট হলো বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিনির্ধারণী সর্বোচ্চ কমিটি। সিনেট বিশ্ববিদ্যালয়ের কল্যাণে আইনের সংশোধন, পরিবর্তন ও উন্নতি সাধন করে এবং বার্ষিক প্রতিবেদন ও বাজেট অনুমোদন করে থাকে।’

‘এছাড়া অ্যাক্ট কর্তৃক নির্ধারিত ক্ষমতা প্রদান করে থাকে। তেমনি উপাচার্য প্যানেল নির্বাচন সিনেট সদস্যদের একটি গুরুত্বপূর্ণ ও প্রত্যাশিত দায়িত্ব। কিন্তু বর্তমান উপাচার্য প্যানেল নির্বাচনকে উপেক্ষা করতে চাইছেন’- যোগ করেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি জাবির ৩৯ জন সিনেটর অবিলম্বে উপাচার্য প্যানেলের নির্বাচন অনুষ্ঠান, জাকসু নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি, সেশনজট, র‍্যাগিং, মাদক ও শিক্ষার্থীদের আবাসন সমস্যা, বিশৃঙ্খলা, বহিরাগত, অযাচিত ও অনিরাপদ যানবহন, পরিবেশ দূষণকারী দোকান এবং নির্যাতনমুক্ত ক্যাম্পাস গড়ার লক্ষ্যে ১২ দফা দাবি উপাচার্য বরাবর পেশ করেন।’

শরীফ এনামুল বলেন, ‘উপাচার্য সকল দাবি উপেক্ষা করেছেন এবং আমাদের সাথে আলোচনায় বসা বা দাবির ব্যাপারে উত্তর প্রদানে সৌজন্যতাবোধটুকু পর্যন্ত প্রদর্শন করেননি। শুধু তাই-ই নয়, তিনি বিভিন্ন সভা-সমাবেশে এই দাবি নিয়ে ব্যঙ্গাত্মক, বিভ্রান্তিমূলক ও অপমানজনক বক্তব্য প্রদান করেছেন। এছাড়াও তিনি ১৯৭৩-এর অ্যাক্টের মাধ্যমে ১১ (১) ও ১১ (২) ধারার ভুল ব্যাখ্যা দিচ্ছেন।’

তিনি বলেন, ‘অথচ উপাচার্য প্যানেল নির্বাচন বিষয়ক ১.২ ধারায় বলা আছে, “স্বাভাবিক নিয়মে উপাচার্য পদ শূন্য হওয়ার পূর্ববর্তী ৪৫ দিনের মধ্যে উক্ত মনোনয়ন অনুষ্ঠিত হতে হবে। তবে উপাচার্য পদ কোনো আকস্মিক কারণে শূন্য হলে উক্ত মনোনয়ন পদ শূন্য হওয়ার পরবর্তী ৪৫ দিনের মধ্যে দিতে হবে।’

তিনি জানান, ‘বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলামের মেয়াদ শেষ হবে ২০১৮ সালের ২ মার্চ। তার ৪৫ দিনের কম মেয়াদ আছে তারপরেও তিনি উপাচার্য প্যানেলের মনোনয়ন দিচ্ছেন না।’

জাবি বর্তমানে গভীর সংকটে নিমজ্জিত উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সেশনজট ও র‍্যাগিং নামক অপসংস্কৃতির নিষ্ঠুরতায় দিশেহারা শিক্ষার্থীরা। শুধু তাই নয়, মাদকের অভয়ারণ্য এখন জাবি।  মাদকসেবন জ্যামিতিক হারে বেড়ে ভয়ঙ্কর রূপ নিয়েছে। ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে শিক্ষার্থীদের জীবন। এর থেকে জাবি ক্যাম্পাসকে রক্ষা করতে হলে অতিসত্তর বহিরাগত গাড়ি পার্কিং, অবৈধ দোকান বন্ধ এবং উপাচার্য প্যানেল নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে।

এ সময় তারা উপাচার্য নির্বাচন প্যানেল ঘোষণাসহ কিছু দাবি পেশ করেন। দাবিগুলো হলো- পরবর্তী উপাচার্য না আসা পর্যন্ত নতুন নিয়োগ বন্ধ রাখতে হবে। বিশেষ বিবেচনায় বাসা বরাদ্দ বন্ধ করতে হবে। ক্যাম্পাসে বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে বহিরাগত ও অনিরাপদ যানবাহন প্রবেশ নিষিদ্ধ করতে হবে। সেশনজট থেকে শিক্ষার্থীদের মুক্তি দিতে হবে। শিক্ষার্থীদের আবাসন সমস্যার সমাধানে গণরুম বন্ধ করতে হবে। ক্যাম্পাসকে মাদকমুক্ত করতে হবে। জাকসু নির্বাচন দিতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন মো. কায়কোবাদ হোসেন, ওবায়দুল্লাহ তালুকদারসহ জাবি সিনেট কমিটির সদস্যরা।

(ঢাকারনিউজ২৪.কম/আরএম/১২:০০এএম/৯/২/২০১৮ইং)