• ঢাকা
  • রবিবার, ১২ মে ২০২৪, ০৩:৩৫ অপরাহ্ন

‘উপযুক্ত সরঞ্জাম থাকলে আরো প্রাণ বাঁচানো যেত’


প্রকাশের সময় : মার্চ ১৭, ২০১৮, ১:২৯ PM / ৩৮
‘উপযুক্ত সরঞ্জাম থাকলে আরো প্রাণ বাঁচানো যেত’

 

ঢাকারনিউজ২৪.কম, ডেস্ক : নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় যে ব্যাপক ঘাটতি রয়েছে, সম্প্রতি ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বোম্বাডিয়ার ড্যাশ-৮ উড়োজাহাজ বিধ্বস্তের ঘটনা তার বাস্তব প্রমাণ। কারণ বিমানবন্দরে যথাযথ অগ্নিনির্বাপক সরঞ্জাম না থাকায় নিহতের সংখ্যা বেড়েছে বলে জানিয়েছেন উদ্ধারকর্মীরা।

ওইদিন উদ্ধার কর্মের সঙ্গে জড়িতদের বরাত দিয়ে নেপালি গণমাধ্যম দ্য হিমালয়ান টাইমস বলেছে, উদ্ধারকর্মীদের যদি যথাযথ সরঞ্জাম সরবরাহ করা হতো তাহলে আরো অনেকের জীবন বাঁচানো যেত।

উদ্ধার অভিযানের সঙ্গে জড়িত থাকা এক অগ্নিনির্বাপক কর্মী বলেছেন, তারা উড়োজাহাজটি ও তার আশপাশে, যেখানে আগুন জ্বলছিল, যেতেই পারেননি। কারণ আগুনের কাছে যাওয়ার মতো তাদের উপযুক্ত সরঞ্জাম ছিল না। অথচ এই ধরনের পরিস্থিতিতে ওইসব সরঞ্জাম থাকা বাধ্যতামূলক। ইন্টারন্যাশনাল সিভিল এভিয়েশন অর্গানাইজেশনের নিয়মনুযায়ী ঘটনার তিন মিনিটের মধ্যে ওইসব সরঞ্জাম সরবরাহ করা বাধ্যতামূলক।

ওই উদ্ধারকর্মী (নাম উল্লেখ নেই) বলেন, ‘অ্যালুমিনিয়ামের তৈরি অগ্নিনির্বাপক স্যুট না থাকায় আমাদের আধা ঘণ্টার বেশি সময় সক্রিয় আগুনের কাছে যেতে অপেক্ষা করতে হয়েছে।’

তিনি আরো বলেন, যে ২২ জনকে সেদিন জীবিত উদ্ধার করা হয়, তাদের বেশির ভাগকেই উদ্ধার করা হয় এমন জায়গা থেকে যেখানে আগুনই ধরেনি।

ত্রিভুবন ইউনির্ভাসিটি টিচিং হাসপাতালের চিকিৎসক, যারা ময়নাতদন্ত করেছেন, বলেছেন, উড়োজাহাজ বিধ্বস্তের ঘটনায় যে ৪৯ জন নিহত হয়েছেন তাদের বেশিরভাগই বিষাক্ত ধোঁয়ায় শ্বাস বন্ধ হয়ে মারা গেছেন। কারণ বিধ্বস্তের পর বেশ চাপের মধ্যেও তারা অনেক সময় বেঁচে ছিলেন।

অন্য এক উদ্ধারকারী বলেন, ‘আমরা তাদেরকেই বাঁচাতে পেরেছি যারা ভাগ্যক্রমে আগুন থেকে পালিয়ে আসতে সক্ষম হয়।’

সিভিল এভিয়েশন অথরিটি অব নেপালের (সিএএএন) কর্মকর্তারা বিষয়টি স্বীকারও করেছেন যে, উদ্ধারকারীদের জন্য শুধু অগ্নিনির্বাপক স্যুট ইস্যু করা হয়েছে, যা ত্রিভুবন বিমানবন্দরের ওইদিনের ঘটনার জন্য যথেষ্ট ছিল না।

সংস্থাটির এক কর্মকর্তা বলেন, ‘মূলত যেখানে আগুন ছিল, সেখানে যাওয়ার মতো পোশাক ও সরঞ্জাম থাকলে তারা (উদ্ধারকারী) আরো মানুষকে জীবিত উদ্ধার করতে পারতো।’

বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে বলেছে, উড়োজাহাজটি সোমবার ২টা ১৮ মিনিটে পৌঁছে এবং তাৎক্ষণিকভাবে বিস্ফোরণ ঘটে। বেলা ৩টা নাগাদ আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে এবং ৫টা ৪৫ মিনিটি নাগাদ সব মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, দুর্ঘটনায় বেঁচে যাওয়া ২৯ বছর বয়সী বাংলাদেশি নাগরিক শাহরিন আহমেদ বলেছেন, তিনি দেখেছেন- অন্যান্য যাত্রীরা পুড়ছে, চিৎকার করছে এবং মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছে।

(ঢাকারনিউজ২৪.কম/আরএম/১:২০পিএম/১৭/৩/২০১৮ইং)