• ঢাকা
  • রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ১১:০৫ অপরাহ্ন

ইবি’র ৫ বছর মেয়াদী অর্গানোগ্রাম সরকার কর্তৃক অনুমোদন


প্রকাশের সময় : জুলাই ৭, ২০১৮, ১১:০০ PM / ৩৭
ইবি’র ৫ বছর মেয়াদী অর্গানোগ্রাম সরকার কর্তৃক অনুমোদন

সাব্বির আহমেদ, ইবি : বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন কর্তৃক সুপারিশকৃত ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বহুল প্রত্যাশিত অর্গানোগ্রাম শিক্ষামন্ত্রনালয় কর্তৃক অনুমোদন পেয়েছে। ২০১৬-১৭ হতে ২০২১ সাল পর্যন্ত ৫ বছর মেয়াদী ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের এই অর্গানোগ্রাম গত ২১ জুন অনুমোদন দিয়েছে শিক্ষামন্ত্রনালয়।

দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে একমাত্র ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় সরকার কর্তৃক অর্গানোগ্রামের অনুমোদন পেল। বিজ্ঞান সম্মত ও সময়োপযোগী এই অর্গানোগ্রাম অনুযায়ী আগামী ৫ বছর ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালিত হবে। এই অর্গানোগ্রামে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিশন, মিশনসহ বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার ক্ষেত্রে সার্বিক দিক নির্দেশনা দেয়া আছে। এই অর্গানোগ্রামটি পূর্ণাঙ্গভাবে বাস্তবায়ন হলে ২০২১ সালের মধ্যে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভাগ হবে ৫৯ টি, শিক্ষক সংখ্যা হবে ৯৯০ জন, কর্মকর্তা-কর্মচারী হবে ২০৮৩ জন, শিক্ষার্থী হবে ২৫,১১১ জন, অনুষদ হবে ৮টি এবং ইনস্টিটিউট হবে ৩টি।

আজ দুপুরে ভাইস চ্যান্সেলরের কার্যালয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনের মধ্যদিয়ে ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ হারুন-উর-রশিদ আসকারী সরকার কর্তৃক অনুমোদিত অর্গানোগ্রাম উপস্থাপনকালে বলেন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের কাঙ্খিত অর্গানোগ্রাম অনুমোদ হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা জানাই মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় চ্যান্সেলর মোঃ আবদুল হামিদ এর প্রতি। কৃতজ্ঞতা জানাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি। ধন্যবাদ জানাই মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এমপি সহ শিক্ষামন্ত্রনালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং ইউজিসি’র চেয়ারম্যান মোঃ আবদুল মান্নানসহ ইউজিসির সকল পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রতি। সেই সাথে আরো ধন্যবাদ জানাই এই অর্গানোগ্রাম প্রণয়ন কমিটির সকলের প্রতি। ভাইস চ্যান্সেলর বলেন, ভাইস চ্যান্সেলর হিসেবে যোগদানের পর ইউজিসি’র পক্ষ থেকে প্রথম প্রশ্নের সম্মুক্ষিন হয়েছিলাম যে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্গানোগ্রাম আছে কি না। তখন বুঝতে পেরেছিলাম যে, অর্গানোগ্রাম ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নসহ সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালনা করা সম্ভব নয়। তাই অসংখ্য ঘাম-শ্রমের বিনিময়ে এই অর্গানোগ্রাম অনুমোদন পাওয়া সম্ভব হয়েছে। তিনি বলেন, আমি মনেকরি এই অর্গানোগ্রামটি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সংবিধান, রোড ম্যাপ। তিনি বলেন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ধ্বংসের দিকে ধাবিত হয়েছিল, সেখান থেকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে। এই অর্গানোগ্রামটি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় পরিবর্তনের ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা রাখবে। তিনি বলেন, দেশের মধ্যে আমাদের এই অর্গানোগ্রামটি রোল মডেল হবে। আশারাখি অচিরেই এই বিশ্ববিদ্যালয়টি দক্ষিণ এশিয়ার একটি গ্রহণযোগ্য বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব হবে।
অনুষ্ঠানে অর্গানোগ্রাম প্রণয়ন কমিটির আহবায়ক ও প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ শাহিনুর রহমান বলেন, অর্গানোগ্রাম নামটি ছোট কিন্তু এর ব্যপ্তি অনেক। আমাদের এই অর্গানোগ্রামটি আজ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়কে অনুসরণ করার জন্য ইউজিসি কর্তৃক নির্দেশ দেয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, আমরা হয়তো এক সময় থাকবো না, কিন্তু এই অর্গানোগ্রাম থাকবে। এই অর্গানোগ্রাম আমাদের জন্য অনেক বড় পাওয়া।

ট্রেজারার প্রফেসর ড. মোঃ সেলিম তোহা বলেন, আজ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের জন্য এক অনন্যদিন। আমাদের বহুল প্রত্যাশিত অর্গানোগ্রাম আমরা পেয়েছি। দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে আমরাই প্রথম যাদের একটি পূর্ণাঙ্গ অর্গানোগ্রাম আছে। আমরা একটি কাঠামোর মধ্যে দাঁড়ালাম। এটি সফলভাবে বাস্তবায়নে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।

অর্গানোগ্রাম প্রণয়ন কমিটি সদস্য-সচিব ও উপ-রেজিস্ট্রার (প্রশাসন) নওয়াব আলী খানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন রেজিস্ট্রার ভারপ্রাপ্ত এস এম আব্দুল লতিফ, প্রক্টর প্রফেসর ড. মোঃ মাহবুবর রহমান, ইবি প্রেস ক্লাবের সভাপতি ইকবাল হোসেন রুদ্র, সাধারণ সম্পাদক আসিফ খান, ইবি সাংবাদিক সমিতির সহ-সভাপতি মাহফুজ মিশু ও সাধারণ সম্পাদক ইমরান শুভ্র প্রমুখ। বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন ভাইস চ্যান্সেলর ড. হারুন-উর-রশিদ আসকারী।

(ঢাকারনিউজ২৪.কম/এসডিপি/১০:৫৩পিএম/৭/৭/২০১৮ইং)