ঢাকারনিউজ২৪.কম, ডেস্ক : প্রযুক্তির চরম উৎকর্ষের এ সময়ে বিশ্ব এখন প্রযুক্তি নির্ভর। ফেসবুক-ইন্টারনেট এ নির্ভরতার অন্যতম অনুসঙ্গ। বহু মানুষের জীবন ও জীবিকার মাধ্যম এ প্রযুক্তি। কিন্তু মুমিনের তো ঈমান ও আল্লাহর হুকুম সবার আগে। তাই ফেসবুক-ইন্টারনেট ব্যবহারেও সতর্ক হতে হবে। এতে যথেচ্ছা বিচরণ ঈমান ও আমলের জন্য অনিরাপদ।
ফেসবুক ইন্টারনেটে কখনো কখনো অনিচ্ছা সত্ত্বেও অনাকাঙ্খিত চিত্র সামনে এসে হাজির হয়। এমতাবস্থায় ব্যক্তি যদি তার দৃষ্টিকে অবনত করে নেয়, তবে সে একদিকে আল্লাহকে সন্তুষ্ট করল অন্যদিকে নিজের হৃদয়কেও তৃপ্তি দিতে সক্ষম হল। চোখ হৃদয়ের আয়না। চোখের লাগাম ছেড়ে দেওয়া অনুশোচনার কারণ, পক্ষান্তরে দৃষ্টি অবনতকরণ, হৃদয়কে করে শান্ত-তৃপ্ত। যখন কেউ তার দৃষ্টিকে লাগাম লাগিয়ে রাখে তখন তার হৃদয়ও কামনা-বাসনার মুখে লাগাম লগিয়ে রাখে। চোখ উন্মুক্ত-স্বাধীন করে দিলে, হৃদয়ও উন্মুক্ত, স্বাধীন হয়ে যায়।
আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন:
قُلْ لِلْمُؤْمِنِينَ يَغُضُّوا مِنْ أَبْصَارِهِمْ وَيَحْفَظُوا فُرُوجَهُمْ ذَلِكَ أَزْكَى لَهُمْ
“মুমিন পুরুষদেরকে বল, তারা তাদের দৃষ্টিকে সংযত রাখবে এবং তাদের লজ্জাস্থানের হিফাযত করবে। এটাই তাদের জন্য অধিক পবিত্র।”
শাযইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়াহ (র.) এ-আয়াতের ব্যাখ্যায় বলেন, ‘এ-আয়াতে আল্লাহ তাআলা, দৃষ্টি অবনত করা ও লজ্জাস্থান হেফাযত করাকে আত্মার পরিশুদ্ধির সমধিক শক্তিশালী মাধ্যম হিসেবে ব্যক্ত করেছেন। আর আত্মার পরিশুদ্ধির অর্থ সকলপ্রকার দুষ্ট, অশালীন, জুলুম, শিরক, মিথ্যা ইত্যাদি থেকে মুক্ত হওয়া।(পরিবর্তন)
(ঢাকারনিউজ২৪.কম/কেএস/১১:৩০পিএম/২১/১২/২০১৮ইং)
আপনার মতামত লিখুন :