• ঢাকা
  • রবিবার, ১৬ Jun ২০২৪, ০২:০৩ পূর্বাহ্ন

আসন্ন নির্বাচনে ঢাকা ১৩ আসনে নৌকার মাঝিঃ সাদেক খান


প্রকাশের সময় : নভেম্বর ১, ২০১৮, ৩:১১ AM / ১২১
আসন্ন নির্বাচনে ঢাকা ১৩ আসনে নৌকার মাঝিঃ সাদেক খান

ইমন বালী (স্টাফ রিপোর্টার), ঢাকা :   আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে পথচলা, তৃণমূল থেকে আওয়ামী লীগের রাজনীতি সাথে জড়িত ক্লিন ইমেজের এমন কাউকে চাইবে সাধারণ মানুষ। ঠিক তেমন একজন রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্ব ঢাকা মহানগর উত্তর আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মো. সাদেক খান রাজনীতিতে অনন্য এক সম্ভাবনার অধ্যায় সংযোজন যার হাত ধরেই। প্রায় সাড়ে ৩ লাখ ভোটার নিয়ে গঠিত ঢাকা-১৩ আসনের সংসদ সদস্য হিসেবে নৌকার মাঝি হতে চান বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ, সমাজসেবক এই নেতা।
ছাত্র জীবন থেকেই রাজনীতির সাথে জড়িত তিনি। ঢাকা কলেজের ছাত্রলীগের সদস্য হয়ে রাজনীতির সুতোয় গেঁথে যায় তার পথচলা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএ (সম্মান) ও ইতিহাসে মাস্টার্স করেন। ১৯৯৬, ২০০১ ও ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১৩ আসনে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ১৯৭৭ সালে নির্দলীয়ভাবে ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের ৫নং ওয়ার্ড কমিশনার নির্বাচিত হন। ১৯৯৭ সালে ২ বার ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দায়িত্ব পালন এবং সর্বশ্রেষ্ঠ কাউন্সিলরে সম্মাননা লাভ করেন তিনি। ১৯৯২ সালে তিনি ৪৭নং ওয়ার্ড ও ১৯৯৬-২০১৫ সাল পর্যন্ত বৃহত্তর মোহাম্মদপুর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। তৎকালীন ৪৭নং ওয়ার্ড ও বর্তমান ৩৪নং ওয়ার্ড থেকেও ৪ বার কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। চারদলীয় জোট সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে গিয়ে তিনি একাধিকবার রাজনৈতিক মামলার আসামি হন। একাধিক মামলা-হামলার শিকার হয়েও নেত্রী মুক্তি আন্দোলনে (চার লাখ পঞ্চাশ হাজার)গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করে তিনি ইতিহাস সৃষ্টি করেন।
মোহাম্মদপুর-আদাবর ও শেরেবাংলা নগর থানার স্থানীয় ও সাধারন ভোটাররা মনে প্রানে তাকে চান এবং দলমত নির্বিশেষে সকল শ্রেনীর মানুষের মনে একজন জনপ্রিয় রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্ব হিসেবে তিনি স্থান করে নিয়েছে নানা উন্নয়নমূখী কাজের মধ্যদিয়ে। স্থানীয় ভোটারদের মতে, সাদেক খানকে জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নৌকার মাঝি বা কান্ডারী হিসেবে নির্বাচন করলে দলমত নির্বিশেষ সকলে তার জন্য কাজ করবে এবং নৌকা প্রতীকে তিনি যোগ্য ব্যাক্তি যাকে সাধারণ মানুষ বিপুল ভোটে বিজয়ী করবে বলে তাদের বিশ্বাস।
ঢাকা মহানগর উত্তর মোহাম্মদপুর থানা আওয়ামীলীগ সাধারন সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মতিউর রহমান মিয়া চাঁন “ঢাকার নিউজকে” বলেন,”তার পৈত্রিক জমিতে বুদ্ধিজীবী কবরস্থান স্থাপিত হয়েছে এবং বছিলার মানুষ আজ নৌকা ছেড়ে গাড়িতে যাতায়াত করছে। আ.লীগ সরকারের উন্নয়নের অংশীদার সাদেক খান। সাধারণ মানুষ নেতা চায় না, সেবক চায়। সাদেক খানের পদচারণা মোহাম্মদপুরের মাটি ও মানুষের সাথে। তাই আমরা মনোনয়ন আশা করতেই পারি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে আমরা মনে করি।”
মনোনয়ন সম্পর্কিত এক প্রশ্নের জবাবে সাদেক খান “ঢাকার নিউজকে” বলেন, ”আমি ঢাকা-১৩ আসনের গণমানুষের প্রত্যাশায় মনোনয়ন আশা করছি। আমাকে যদি এ আসনের জনগণের উন্নয়নের জন্য জননেত্রী শেখ হাসিনা দায়িত্ব দেন তাহলে মোহাম্মদপুর, আদাবর ও শেরেবাংলা নগর এলাকাকে একটি আধুনিক নগরে পরিণত করার চেষ্টা করব।”
লক্ষনীয় মাত্রায় উন্নয়ন ছিলো তার জনপ্রিয়তা অন্যতম কারন। বেড়ীবাঁধ সংলগ্ন রায়ের বাজার এর উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছেন তিনি। তার পৈত্রিক সম্পত্তিতে রায়ের বাজার বুদ্ধিজীবী কবরস্থানসহ ৯টি সংযোগ সড়ক ও পানির পাম্প স্থাপন এবং খেলার মাঠ, মসজিদ, স্কুল-কলেজ স্থাপন করা হয়। ওয়ার্ড থেকে থানা, থানা থেকে মহানগর এবং বর্তমানে ঢাকা মহানগর উত্তর আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক। তৃনমূলের রাজনীতি থেকে উঠে আসা এই মানুষটি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর আস্থাভাজন এবং শেখ জামালের স্কুল জীবনের সাথী। এছাড়া বঙ্গবন্ধুও খান পরিবারের বাড়িতে পাকিস্তানবিরোধী আন্দোলনের সময়ে আসা-যাওয়া করেছেন।

(ঢাকারনিউজ২৪.কম/ইবি/৩:১০এএম/০১/১১/২০১৮ইং)