• ঢাকা
  • শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ০৫:২৭ অপরাহ্ন

আসছে পুরুষের জন্য জন্মবিরতিকরণ ‘জেল’


প্রকাশের সময় : ডিসেম্বর ২, ২০১৮, ১০:৫৪ PM / ৪৮
আসছে পুরুষের জন্য জন্মবিরতিকরণ ‘জেল’

 

ঢাকারনিউজ২৪.কম, ডেস্ক : পুরুষের জন্য উদ্ভাবন হয়েছে সহজে ব্যবহার্য একটি জন্মবিরতিকরণ জেল। কিছুদিনের মাঝেই তার ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু হবে। গবেষকরা আশা করছেন, ৪০০ দম্পতির ওপর তা ব্যবহার করে দেখা যাবে তা গর্ভধারণ রোধ করতে কতটা কার্যকরী।

এই জেল মাখতে হবে পুরুষের পিঠে ও কাঁধে। এতে মূলত দুইটি সক্রিয় উপাদান আছে, টেস্টোস্টেরন ও সেজেস্টেরন অ্যাসিটেট নামের একটি প্রজেস্টিন। প্রজেস্টিন পুরুষের শুক্রাশয়ে টেস্টোস্টেরনের উৎপাদন বন্ধ করে দেয়, এতে শুক্রাণু উৎপাদন কমে যায় ও প্রায় বন্ধ হয়ে যায়।

জেলটিতে টেস্টোস্টেরন থাকার কারণ হলো, এর ফলে ওই পুরুষের রক্তে হরমোনটির মাত্রা স্বাভাবিক থাকবে। কারণ হরমোনটি ছাড়া তার শরীরের বিভিন্ন প্রক্রিয়া ঠিকভাবে চলে না। এই জেলটির নাম দেওয়া হয়েছে এনইএস/টি।

আশা করা হচ্ছে, ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে ৪২০টি দম্পতি থাকবে ও এই ট্রায়াল চলবে ২৩ মাস ধরে। পুরুষদেরকে এই জেল দৈনিক ব্যবহার করতে হবে ৪-১২ সপ্তাহ পর্যন্ত। জেলটি ব্যবহার করা যায় কিনা ও তার কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে কিনা তা দেখা হবে। শরীরে শুক্রাণুর মাত্রা না কমলে ১৬ সপ্তাহ পর্যন্ত তা ব্যবহার করা হতে পারে। শুক্রাণুর মাত্রা বা স্পার্ম কাউন্ট কমে এলে ওই দম্পতি অন্য সব জন্মবিরতিকরণ পদ্ধতি বাদ দিয়ে শুধু এই জেলটি ব্যবহার করবেন। এই পর্যায়ে বোঝা যাবে জেলটি আসলে জন্মনিরোধক হিসেবে কতটা কার্যকরী। এরপর ১ বছর ধরে ওই দম্পতিকে পর্যবেক্ষণ করা হবে।

এই জেল ব্যবহার বন্ধ করে দেওয়ার পর ২৪ সপ্তাহ পুরুষটিকে পর্যবেক্ষণ করা হবে এটা দেখার জন্য যে, জেল ব্যবহার বন্ধ করে দিলে আবার তার স্পার্ম কাউন্ট স্বাভাবিক হয়ে আসে কিনা এবং তিনি আবার সন্তান উৎপাদনে সক্ষম হবেন কিনা।

গবেষণার সাথে জড়িত ড. ডায়ানা ব্লাইদি জানান, অনেক নারীই হরমোনভিত্তিক জন্মবিরতিকরণ পদ্ধতি ব্যবহার করতে পারেন না। আর বর্তমানে পুরুষের জন্মবিরতিকরণ পদ্ধতি হিসেবে শুধু ভ্যাসেকটমি (স্থায়ী) আর কনডম (অস্থায়ী) প্রচলিত। এক্ষেত্রে আরও একটি নিরাপদ ও কার্যকরী পদ্ধতি হয়ে উঠতে পারে এই জেল।

পুরুষের জন্য আরও কিছু জন্মবিরতিকরণ পদ্ধতি নিয়ে গবেষণা চলছে। এর মাঝে রয়েছে আরও একটি জেল, কয়েক ধরণের পিল, একটি ইনজেকশন ও একটি ইমপ্ল্যান্ট। তবে এগুলো এখনো ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল পর্যায়ে যায়নি।

এই জেলটির ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল অনেকের জন্যই খুবই ভালো সংবাদ। কারণ অনেক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকা সত্ত্বেও নারীরা জন্মবিরতিকরণ পিল ব্যবহার করেন। যেহেতু সন্তান ধারণে নারী ও পুরুষ উভয়েরই অংশগ্রহণ থাকে, তাই পুরুষের জন্যও জন্মবিরতিকরণ পদ্ধতির প্রচলন হওয়া দরকার বলে মনে করেন গবেষকরা।সূত্র: আইএফএলসায়েন্স

(ঢাকারনিউজ২৪.কম/আরএম/১০:৫৫পিএম/২/১২/২০১৮ইং)