• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ০৩:৫৩ পূর্বাহ্ন

আলুর পরিচর্যায় ব্যস্ত মুন্সীগঞ্জের চাষিরা


প্রকাশের সময় : জানুয়ারী ২৯, ২০১৯, ১১:০৩ AM / ৩৩
আলুর পরিচর্যায় ব্যস্ত মুন্সীগঞ্জের চাষিরা

মুন্সীগঞ্জ থেকে মো. লিটন মাহমুদ : আলুর পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন মুন্সীগঞ্জের সিরাজদীখানের প্রায় ১৫ হাজার আলুচাষি। আবহাওয়া ভালো থাকায় এবার আলুর ফলন ভালো হবে। এর পরও হাসি নেই কৃষকের মুখে। কারণ তাদের শঙ্কা দাম নিয়ে। গত ৪ বছর ধরে আলুর বাম্পার ফলন হলেও খরচের তুলনায় আলুর দাম কম হওয়ায় লোকসান গুনতে হয়েছে সব আলুচাষীকে। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশে বছরে আলুর চাহিদা ৭৯ লাখ টন। আর বিদেশে রফতানি হয় ৫ লাখ টন। অথচ বাংলাদেশে আলু উৎপাদন হয় ১ কোটি ৫ লাখ টন। আলুচাষিরা মনে করেন, চাহিদার তুলনায় উৎপাদন বেশি হওয়ায় প্রতি বছর লোকসান গুনতে হচ্ছে আলুচাষিদের।

সিরাজদীখান উপজেলায় অগ্রহায়ণ ও পৌষ থেকে আলুবীজ রোপণ করেন কৃষকরা। এ আলু তোলা হবে ফাল্কগ্দুন ও চৈত্র মাসের শেষ দিকে। এ বছর সিরাজদীখান উপজেলায় ৯ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে আলু আবাদ করা হয়েছে। গত বছর আবাদ করা হয়েছিল ৯ হাজার ৪৫০ হেক্টরে। প্রতি বছর আলুচাষিরা লোকসানের কবলে পড়ার কারণে আলু চাষের প্রতি তাদের অনীহা দেখা দিয়েছে। সরেজমিন দেখা গেছে, ক্ষেতে কাজ করছেন চাষিরা। কেউ সেচ দিচ্ছেন, কেউ টপ ড্রেসিং করছেন। আবার কেউ বা ছত্রাক, রোগবালাই ও ঘন কুয়াশার হাত থেকে ফসল বাঁচাতে কীটনাশক স্প্রে করছেন।

ইছাপুরা ইউনিয়নের কুসুমপুর গ্রামের আলুচাষি নুরু মোল্লা এ বছর সাড়ে ৮ হেক্টর জমিতে আলুচাষ করেছেন। সরকার বা কোনো কোম্পানি যদি এ অঞ্চল থেকে আলু ক্রয় করে, তবে আমাদের লোকসান গুনতে হবে না।

উপজেলার চন্দধুল গ্রামের কৃষক সাইদ হাওলাদার বলেন, ‘এ বছর সাড়ে ৩ হেক্টর জমিতে আলু চাষ করেছি। আলুর পরিচর্যা করছি। আশা আছে আলু ভালো হবে। কিন্তু ভালো দাম না পেলে এবারও আমি অনেক বিপদে পড়ে যাব।’

সিরাজদীখান উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুবোধ চন্দ রায় জানান, মাটি ও জলবায়ু অনুকূলে থাকায় এ বছর সিরাজদীখানে আলুর ফলন অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে যাবে বলে ধারণা করছি। কৃষি বিভাগ আশা করছে, এবার আলুচাষিরা ভালো দামও পাবেন।
(ঢাকারনিউজ২৪.কম/এসডিপি/১১:০২এএম/২৯/১/২০১৯ইং)