ঢাকারনিউজ২৪.কম, ঢাকা : দুই দফায় চালের আমদানি শুল্ক কমানোর পরও খুচরা বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে চালের দাম। বরং মিনিকেট ও নাজিরশাইল চালের দাম বেড়েছে সামান্য। খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, পত্রিকা ও টেলিভিশনে চালের আমদানি শুল্ক কমার সংবাদ প্রকাশিত হলেও পাইকারি বাজারে চালের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। যার প্রভাব পড়ছে খুচরা বাজারে।
জানা গেছে, আগে বিদেশ থেকে চাল আনতে ২৫ শতাংশ আমদানি শুল্কের সঙ্গে ৩ শতাংশ রেগুলেটরি ডিউটি দিতে হত। জুন মাসে আমদানি শুল্ক কমিয়ে ১০ শতাংশ করার পাশপাশি রেগুলেটরি ডিউটি পুরোপুরি তুলে নেওয়া হয়।
এদিকে বড় বন্যার পূর্বাভাস সামনে রেখে খাদ্য মজুদ বাড়াতে আগস্ট মাসে চাল আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২ শতাংশ করা হয়। এতে বেসরকারি পর্যায়ে চালের আমদানি বাড়লেও খুচরা বাজারগুলোতে অপরিবর্তিত রয়েছে চালের দাম।
শুক্রবার রাজধানীর মেরাদিয়া ও রামপুরা বাজার ঘুরে দেখা যায়, দেশি ও আমদানি করা মোটা চাল (স্বর্ণা) ৪৩ থেকে ৪৭ টাকা, পাইজাম ৪৬ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। মিনিকেট রসিদ ও বাসরি ৫৯ থেকে ৬০ টাকা বিক্রি হচ্ছে, যা ঈদের আগে ৫৪ থেকে ৫৬ টাকা ছিল।
এদিকে মিনিকেট (সাধারণ) ৫৫ টাকা, নাজিরশাইল ৬৫ থেকে ৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। যদিও ঈদের আগেও উন্নত মানের নাজিরশাইল ৫৭ থেকে ৬০ টাকা। এছাড়া বাসমতি ৭০ টাকা, কাটারিভোগ ৭৪ থেকে ৭৬ টাকা এবং পোলাও চাল ৮৫ থেকে ১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
রামপুরা বাজারের নোয়াখালী স্টোরের স্বত্বাধিকারী মো. জহির বলেন, ‘পাইকারি বাজারে মোটা চালের দাম অপরিবর্তিত থাকলেও চিকন চাল প্রতি বস্তায় সর্বোচ্চ ১০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। তাই আমাদেরও বাড়তি দামে চাল বিক্রি করতে হচ্ছে।’
ঈদের পর রাজধানীর সবজি বাজার সরগরম না হলেও বন্যার কারণে বাজারে সবজি সরবরাহ রয়েছে কম। যার প্রভাব পড়েছে প্রত্যেকটি কাঁচা পণ্যে। বাজারে প্রতি কেজি টমাটো বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা দরে, শিম ১০০ থেকে ১২০ টাকা, কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকায়।
মেরাদিয়া ও রামপুরা বাজার ঘুরে দেখা যায়, কাকরোল ৫০ টাকা, ঝিঙা ৬০, পটল ও চিচিঙ্গা ৫০ থেকে ৫৫ টাকায়, বেগুন ৫০ থেকে ৬০ টাকায়, কাঁচকলা হালি ২০ থেকে ৩০ টাকায়, কচুর মুখি ৩০ থেকে ৩৫ টাকায়, পেঁপে ৩৫ থেকে ৪০ টাকায়, ফুলকপি ৩০ থেকে ৩৫ টাকায়, বরবটি ৫৫ থেকে ৬০ টাকায় এবং কচুর লতি ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে গরুর মাংস ৫০০ টাকা, খাসি ৭২০ থেকে ৭৮০টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ব্রয়লার সাদা মোরগ প্রতি কেজি ১৫০ থেকে ১৬০টাকা, লাল ১৮০ টাকা, কক হালি ৭০০ থেকে ১২০০ টাকা এবং দেশীয় জাতের মোরগ বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৩৭০ টাকায়।
(ঢাকারনিউজ২৪.কম/এসডিপি/১:১৩পিএম/৮/৯/২০১৭ইং)
আপনার মতামত লিখুন :