• ঢাকা
  • সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ০৬:৪১ অপরাহ্ন

আব্দুর রাজ্জাক হচ্ছেন কৃষিমন্ত্রী


প্রকাশের সময় : জানুয়ারী ৭, ২০১৯, ১২:২৮ AM / ৩৫
আব্দুর রাজ্জাক হচ্ছেন কৃষিমন্ত্রী

ঢাকারনিউজ২৪.কম, টাঙ্গাইল : জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম ও টাঙ্গাইল-১ আসনের টানা ৪ বারের সংসদ সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক সদস্য এবার কৃষিমন্ত্রী হচ্ছেন।

রোববার(৬ জানুয়ারি) দুপুরে তিনি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে কৃষিমন্ত্রীর জন্য ফোন পেয়েছেন। এ খবরে টাঙ্গাইলের সর্বস্তরে আনন্দ-উল্লাস ছড়িয়ে পড়েছে। এর আগে তিনি খাদ্য ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনামন্ত্রী ছিলেন।

ধনবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও পৌরসভার মেয়র খন্দকার মঞ্জুরুল ইসলাম তপন ও দপ্তর সম্পাদক ইকবাল হোসেন তালুকদার বলেন, মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনের জন্য সততা, নিষ্ঠা, যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা সব কিছুই ড. আব্দুর রাজ্জাকের রয়েছে। সরকার তাকে কৃষিমন্ত্রী করায় এলাকাবাসী অনেক কৃতজ্ঞ।

এ ব্যাপারে ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, মন্ত্রিপরিষদে কৃষিমন্ত্রীর দায়িত্ব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনা অবশ্যই সততা, নিষ্ঠা ও কাজের মূল্যায়ন করেছেন। আমি আমার ওপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনের চেষ্টা করবো।

‘ভোলা কমান্ডার’ হিসেবে সুপরিচিত মুক্তিযোদ্ধা ড. আব্দুর রাজ্জাক টাঙ্গাইল-১ আসন থেকে ২০০১ সালে অষ্টম সংসদ নির্বাচনে প্রথম বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। সরকারি চাকরি (ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা) ছেড়ে দিয়ে তিনি নির্বাচনে অংশ নেন। এ নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থী ছিলেন ফকির মাহবুব আনাম স্বপন। তিনি তৃতীয় হয়েছিলেন। দ্বিতীয় হয়েছিলেন বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী খন্দকার আব্দুল গফুর মন্টু। অবশ্য স্বপন এবং মন্টু মিলে যে ভোট (৫৩৫০৯+৪০৯৭২=৯৪৪৮১) তার চেয়ে বেশি ভোট (৯৮৪১৩) পেয়েছিলেন ড. আব্দুর রাজ্জাক। নির্বাচনে জয়লাভের পর ড. রাজ্জাক দলের কৃষি ও সমবায়বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পান।

৯ম সংসদ (২০০৮) নির্বাচনে দ্বিতীয় বারের মতো নির্বাচিত হন ড. আব্দুর রাজ্জাক। বিএনপির প্রার্থী ছিলেন ফকির মাহবুব আনাম স্বপন। ভোটের ব্যবধান ছিল ৮২৫৬১। আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে তাকে খাদ্য এবং ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী করা হয়। সফল মন্ত্রী হিসেবে তার সুনাম রয়েছে। ২০১৪ সালের ৫ জানুযারি ১০ম সংসদ নির্বাচনে তৃতীয় বারের মতো বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

এবার একাদশ সংসদ নির্বাচনে বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়ে চতুর্থবারের মতো এ আসন থেকে বিজয়ী হলেন। এখন তিনি দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য।

ড. আব্দুর রাজ্জাকের বাড়ি টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলার মুশুদ্দি গ্রামে। তিনি ভদ্র ও সজ্জন মানুষ হিসেবে সুপরিচিত। নির্বাচনী এলাকায় উন্নয়নও করেছেন চোখে পড়ার মতো। দলের নেতা-কর্মীরা জানান, বাড়ি ধনবাড়ীতে হলেও দুই উপজেলাতেই তিনি সমান জনপ্রিয়। বিশেষ করে মধুপুরের আদিবাসীরা তার খুবই ভক্ত।

বঙ্গবন্ধুর অবিনাশী আদর্শের সৎ, কর্মঠ ও জনপ্রিয় এ নেতার দূরদর্শিতায় টাঙ্গাইলের সকল জনপ্রতিনিধি এখন আওয়ামী লীগে। তৃণমূল নেতাকর্মীদের সুখ-দুঃখের ভাগিদার ড. আব্দুর রাজ্জাক কালক্রমে সব পর্যায়ের নেতাকর্মীদের অস্থা ও ভরসার প্রতীক এবং শেষ ঠিকানায় পরিণত হয়েছেন।

শুধু স্থানীয় রাজনীতিতে নয় জাতীয় রাজনীতিতেও তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে শেখ হাসিনার বিশ্বস্থতা অর্জন করেছেন। আর এ কারণেই তাকে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবারের আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইস্তেহার প্রণয়ন কমিটির আহ্বায়কের দায়িত্ব অর্পণ করেছিলেন।

(ঢাকারনিউজ২৪.কম/কেএস/১২:২৬এএম/৭/১/২০১৯ইং)