• ঢাকা
  • রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ১০:০৬ অপরাহ্ন

বশেমুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ. প্রক্টরের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ নেপালী ছাত্রীর


প্রকাশের সময় : নভেম্বর ১৪, ২০১৯, ৪:৩৮ PM / ৩০
বশেমুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ. প্রক্টরের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ নেপালী ছাত্রীর

এম শিমুল খান, গোপালগঞ্জ : অভিযোগের একদিন পর সংবাদ সম্মেলন করে নেপালী ছাত্রীকে যৌন নিপড়ীনের কথা অস্বীকার করলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ও সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক হুমায়ূন কবীর।
বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১২টায় সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের একটি ক্লাস রুমে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগের কথা অস্বীকার করে তিনি বলেন, এটি একটি মিথ্যা, উদ্দেশ্য প্রণোদিত ও সাজানো ঘটনা। সাবেক ভিসি নাসিরউদ্দিনের অনৈতিক কর্মকান্ডের প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবীর প্রতি সমর্থন জানিয়ে আমি সে সময় সহকারী প্রক্টর পদ থেকে পদত্যাগ করি। সাবেক ভিসি পন্থী কিছু শিক্ষক ষড়যন্ত্র করে সুমি শিং নামে কৃষি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের একজন নেপালী শিক্ষার্থীর মাধ্যমে আমার বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ এনে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়। এ ঘটনা আমার সম্মান ক্ষুন্ন করেছে। আমার বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্রের কারনে আমি বর্তমানে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমার চরিত্র হননের জন্য ওই ছাত্রীর বিরুদ্ধে একটি তদন্ত কমিটি করে ন্যায় বিচারের দাবী জানাচ্ছি।
এরআগে, তিনি গোপালগঞ্জ থানায় এ বিষয়ে একটি সাধারন ডায়েরী করে ছিলেন। যার নং-১০৮২, তারিখ ২৩.০৯.২০১৯ ইং।
এদিকে, বুধবার দুপুরে সুমি শিং বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের কাছে সহকারী প্রক্টর হুমায়ূন কবীরের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের লিখিত অভিযোগ করেন।
লিখিত অভিযোগে সুমি শিং উল্লেখ করেন, সমাজ কল্যান বিভাগের প্রভাষক হুমায়ূন কবীর কৃষি বিজ্ঞানের ক্লাস নিতেন। ক্লাস শেষে তিনি (শিক্ষক) আমাকে ব্যক্তিগত ভাবে তার সাথে দেখা করতে বলতেন। আমি দেখা করতাম। এক পর্যায় তিনি আমাকে ফেসবুকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠান এবং তা এক্সেপ্ট করার জন্য অনুরোধ করেন। আমি তার ফেসবুকের আবেদন গ্রহন করি। তারপর থেকে ওই শিক্ষক আমার ম্যাসেঞ্জারে যৌন উদ্দীপনামূলক ম্যাসেজ পাঠাতে থাকেন। এতে আমি খুব বিব্রতবোধ করি। গত ফেব্রæয়ারি মাসে ওই শিক্ষক আমাকে বিয়ে করার প্রস্তাব দেন এবং আপত্তিকর ম্যাসেজ পাঠান। আমাকে নিয়ে ঘুরতে যাওয়ার প্রস্তাব দেন। আমি তার এধরনের আচরনের প্রতিবাদ ও বিষয়টি অন্যান্য শিক্ষকদের বলে দেব বলে জানালে তিনি আমাকে দেখে নেয়ার হুমকি দেন। এতে আমার পড়ালেখার মারাত্বক বিঘœ ঘটছে। আমার কোন দুর্ঘটনা ঘটলে ওই শিক্ষক দায়ী থাকবেন। আমি পড়ালেখা শেষে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কি ভাবে সার্টিফিকেট পাই তাও তিনি দেখে নিতে চান। আমি নৈতিকস্খলন যুক্ত সহকারী প্রক্টও হুমায়ুন কবীরের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করছি। কিছু দিন আগে সুমি শিং বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনকে লিখিত ভাবে জানিয়েছেন বলেও জানান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. মো: শাহজাহান বলেন, অভিযোগটি যৌন নির্যাতন নিপীড়ক কমিটির কাছে পাঠানো হয়েছে। আগামী পাঁচ কর্ম দিবসের মধ্যে কমিটি বিষয়টি তদন্ত করে রিপোর্ট দেবে। তদন্তে ওই শিক্ষক দোষী হলে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সহকারী প্রক্টর ও সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক হুমায়ূন কবীর বিতর্কিত সদ্য পদত্যাগকারি বিতর্কিত ভিসি নাসিরউদ্দীনের সময়ে সহকারী প্রক্টর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ভিসির বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চরমে পৌছালে ওই পদ থেকে তিনি পদত্যাগ করেন। ভিসি নাসিরের পদত্যাগের পর তিনি আবারও পূর্বের পদে পুনঃনিয়োগ পান।