নিজস্ব সংবাদদাতা : নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার দক্ষিণ রসুলপুরের নূরবাগ এলাকার ক্রয়কৃত সম্পত্তির অংশীদারত্ব বুঝে নিতে চাওয়ায় মারধরের শিকার হয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন মোস্তফা নামের একজন প্রবাসী। মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) সকালে এ ঘটনা ঘটে। এইদিন সকালেই ফতুল্লা মডেল থানায় মোঃ মোস্তফা নামে দুবাই প্রবাসী ভুক্তভোগী বাদী হয়ে চারজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত পরিচয় আরও ৫ থেকে ৬ জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযুক্ত বিবাদীরা হলেন- ফতুল্লার দক্ষিণ রসুলপুর এলাকার রমজান আলীর ছেলে বাবুল চৌধুরী, তার স্ত্রী কহিনুর বেগম ও ছেলে শফিক এবং মুরাতি।
অভিযোগের বরাত দিয়ে ভুক্তভোগী মোঃ মোস্তফা জানান, আমি একজন প্রবাসী। বিবাদীগন আমার আত্মীয় স্বজন হয়। বাবুল চৌধুরী পেশায় জায়গা-সম্পত্তির দালালি করে, সে আমাকে বিগত ০৩ বছর আগে ফতুল্লা থানাধীন পাগলা নূরবাগ সাকিনস্থ ০৩ শতাংশ সম্পত্তি খরিদ করে দেয় কিন্তু বিবাদীগণ আমাকে বিগত ০৩ বছর যাবৎ সম্পত্তির দখল বুঝাইয়া না দিয়ে তালবাহানা করিয়া আসছিলো। বাবুল চৌধুরী আমাকে সম্পত্তি ক্রয় করে দিয়ে দালালি বাবদ ৪ লক্ষ টাকা নেয়। একপর্যায়ে আমি এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তিগণের সহযোগিতায় উক্ত সম্পত্তি মাপঝোপ করে দখল বুঝে নেই। অতঃপর বাবুল চৌধুরী আমাকে পাশ^বর্তী সম্পত্তির মালিকদের কাছে থেকে ৬ ফুট রাস্তা আমাকে বুঝিয়ে দেওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু যা বাবুল চৌধুরী আমাকে দলিলের মাধ্যমে বুঝিয়ে দিতেছে না বিধায় আমি বিগত এক মাস যাবৎ প্রবাস হতে এসে তাকে একাধিকবার অনুরোধ করে আসছি।
মোঃ মোস্তফা জানান, আমার পাওনা ৬ ফুট রাস্তা বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য বাবুল চৌধুরী, তার স্ত্রীসহ দুইছেলে বিভিন্ন সময় আমার কাছে ইনিয়ে-বিনিয়ে টাকা পয়সা চাইতেন। একপর্যায়ে তারা বলেন যে, ‘৬ ফুট রাস্তা বুঝিয়া নিতে হলে আমাদের আরো ২ লক্ষ টাকা দিতে হবে, তা নাহলে ৬ ফুট রাস্তা বুঝাইয়া দিবো না।’ উক্ত ৩ শতাংশ সম্পত্তি ক্রয় করে নেওয়ার সময় তারা আমার কাছে থেকে একপ্রকার জোরপূর্বক দালালি বাবদ ৪ লক্ষ টাকা নেয়। যে কারণে আমি তাদেরকে আর কোন টাকা দিবো না বলে জানিয়ে দেই।
মোঃ মোস্তফা আরো জানান, যে কারণে বাবুল চৌধুরী আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে ৩০ জুলাই সকাল ১০টার সময় তার স্ত্রী, দুই ছেলে সহ অজ্ঞাত নামা ৫/৬ জনকে নিয়া এসে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে, আমি তাদেরকে গালিগালাজ করতে বারণ করলে তারা আমাকে এলোপাতারি মারধর করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলাফুলা জখম করে। আমার ডাক চিৎকার শুনিয়া আশেপাশের স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে তাদের হাত থেকে রক্ষা করে। এসময় বাবুল চৌধুরী যেতে যেতে বলে যে, ‘আমি তোকে দেখে নিবো। তুই কিভাবে বিদেশ যাস আমি দেখবো। এমন মামলা দিবো তুই যেন আর কোনদিন বিদেশ যাইতে না পারোস।’ এসময় বাবুল চৌধুরী আমাকে জানে মেরে ফেলবে বলে মর্মে হুমকি প্রদান করে। যেকোন সময় আমার আরও বড় ধরনের ক্ষতিসাধন করতে পারে বলে আমার আশঙ্কা হচ্ছে। এ বিষয়ে আমি পুলিশের উধ্বর্তন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক শাহজাদী বলেন, এ ঘটনায় ভুক্তভোগী প্রবাসী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আপনার মতামত লিখুন :