• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:৩০ অপরাহ্ন

মোরেলগঞ্জে মেলার মাঠে গরমে অতিষ্ঠ লাখো ভক্ত, পাখা বিক্রি করে চলে যাদের জীবন


প্রকাশের সময় : এপ্রিল ১২, ২০২৫, ৭:২৬ PM / ৪৯
মোরেলগঞ্জে মেলার মাঠে গরমে অতিষ্ঠ লাখো ভক্ত, পাখা বিক্রি করে চলে যাদের জীবন

এস.এম. সাইফুল ইসলাম কবির, বাগেরহাট: চৈত্রের শুরুতে তীব্র দাবদাহে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে ঐতিহ্যবাহী গোপাল চাঁদ সাধু ঠাকুরের ধামে বারুণী স্নানোৎসব মেলার মাঠে লাখো ভক্ত গরমে অতিষ্ঠ ৩০বছর ধরে শরীর শীতল করছে তালের হাতপাখা,পাখা বিক্রি করে চলে যাদের জীবন। প্রানের সখা, তালের পাখা’ শীত কালেতে দেওনা দেখা, গরম কালেতে প্রাণের সখা। গরম এলেই প্রচন্ড তাপদাহ থেকে একটু স্বত্তি পেতে সকলের হাতেই চোখে পড়ে যায় তালপাতার হাত পাখা। ৩০বছর ধরে মেলার মাঠে পাখা বিক্রয় করে চলে যাদের জীবন। তবুও জীবন সংগ্রামে থেমে নেই এ কারিগরেরা। এরকম বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে জিউধরা ইউনিয়নের লক্ষীখালী গ্রামের ঐতিহ্যবাহী গোপাল চাঁদ সাধু ঠাকুরের ধামে বারুণী স্নানোৎসবে মেলায় পাখা বিক্রয়ের জন্য দোকান নিয়ে আসা ৮-১০টি দোকানিরা। বিভিন্ন রঙ বেরঙের তালের পাখার পসরা সাজিয়ে নিয়ে বসে আছেন ক্রেতাদের অপেক্ষায়। কাটি দেয়া প্রতিটি তালের পাখা ৫০টাকা। কাটি ছাড়া সাধারণ পাখা ৩০টাকা। দর্শনার্থীদের অপেক্ষায় কাটতি হবে বেশী এ ভরষায় দোকানীরা।

সরেজমিনে কথা হয় মেলার মাঠে বিক্রয়ের জন্য তালের পাখা নিয়ে আসা মংলা উপজেলার খাসেরডাঙ্গা গ্রামের সুশান্ত মিস্ত্রী ও তার স্ত্রী দাসী রানী মিস্ত্রী। ৩০বছর ধরে এ গোপাল চাঁদ মেলায় আসেন ৭শ থেকে ৮শ পাখা নিয়ে। এবছরও ৮শ পাখা নিয়ে এসেছেন। বিক্রি করে বাড়ীতে ফিরবেন । একই এলাকার বিলাশ চন্দ্র চক্রবর্তী তিনিও এ মেলায় ২৫বছর ধরে পাখা নিয়ে আসেন। মধুসুধন মিস্ত্রী তিনিও ৩ বছর ধরে মেলার মাঠে আসেন। এরকম লক্ষীখালী গ্রামের সুরেন মন্ডল, সুজিত মজুমদার পাখার পসরা সাজিয়ে বসে রয়েছেন। প্রতিটি দোকানদারদেরই একই কথা প্রতিবছরই ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী শেষ পর্যন্ত ক্রেতাদের দিতে পারেনা। এবারে চাহিদা কম মেলার প্রথম দিনে সামান্যতম বিক্রি হয়েছে। দামের ক্ষেত্রেও গতবছরের দামেই এবারো বিক্রি করা হচ্ছে। শুধু গোপাল চাঁদ মেলার মাঠেই নয় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে মেলার মাঠে পাখা বিক্রি করে চলে তাদের জীবন জিবিকা। এ কুঠির শিল্পকে ধরে রাখতে সরকারী পৃষ্ঠপোষকতায় বিভিন্ন সহযোগীতার দাবী জানান পাখা তৈরির কারিগররা।