নিজস্ব প্রতিবেদক : গণঅধিকার পরিষদ নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর এর আয়োজনে বিশাল এক গণ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (১ নভেম্বর) বিকেলে শহরের ডিআইটি রোডে অনুষ্ঠিত এ সমাবেশে গণঅধিকার পরিষদ নারায়ণগঞ্জ জেলা’র সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার নাহিদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও সাবেক ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুর।
প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণঅধিকার পরিষদ’র সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খাঁন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণঅধিকার পরিষদ’র সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুন। এসময় গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য আবু হানিফসহ নারায়ণগঞ্জের গণ অধিকার পরিষদ ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভিপি নুর বলেন, বিগত ১৫ বছর ধরে যখনই আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ছিল, ওসমান পরিবারের দাপটে এই নারায়ণগঞ্জে ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি হয়েছিল। বিগত ১৫ বছরে নারায়ণগঞ্জে যা হয়েছে তা সারা বাংলাদেশের একটি ঘৃণিত অধ্যায়। মেধাবী ছাত্র ত্বকীকে কি নির্মমভাবে হত্যা করেছিল এই ওসমান পরিবারের লোকেরা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ব্যবহার করে সেভেন মার্ডারের মত ঘৃণিত কাজ করেছিল এই ওসমান পরিবারের লোকেরা। তারা খেলা হবে হুংকার দিয়েছিল, কিন্তু খেলা শুরুর আগেই খেলোয়াররা মাঠ ছেড়ে পালিয়েছে। তানভীর ত্বকীর বাবা রফিউর রাব্বি অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে গেছেন।
তিনি বলেন, আমরা চাইনা আওয়ামী লীগের মতো কেউ বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদ কায়েম করুক। কিছু রাজনৈতিক দলের বাড়াবাড়ি কর্মকান্ডে আওয়ামী লীগের ফ্যাসিবাদের প্রতিধ্বনি শুনতে পাচ্ছি। পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে যে নতুন বাংলাদেশ অর্জিত হয়েছে তাতে সবাই দেখতে চায় নতুন নেতৃত্ব, নতুন রাজনৈতিক চুক্তি। পরিবেশ পরিস্থিতির কারণে অনেকে রাজনীতি থেকে বিমুখ হয়েছেন। তাদের বলবো, এখন সময় হয়েছে দেশ গড়ার। দেশের প্রয়োজনে জাতির প্রয়োজনে ভবিষ্যতের প্রজন্মকে রক্ষায়, নতুন ধারার রাজনীতিতে যুক্ত হয়ে কাজ করতে হবে। ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে আমরা যে পরিবর্তন পেয়েছি, সে নতুন বাংলাদেশকে সুন্দর করে গড়ে তুলতে তারুণ্যের দল গণঅধিকার পরিষদ কাজ করছে।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি একটি বৃহৎ রাজনৈতিক দল। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, গণধিকার পরিষদ সহ অন্যান্য বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন আছে দেশে। গত ১৫ বছরে কোন রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে রাজপথে আন্দোলন গড়ে তুলতে পারে নাই। ফ্যাসিবাদের পতনের জন্য যে লড়াইয়ের দরকার ছিল তা তারা গড়ে তুলতে পারেননি। আমরা দেখেছি, রাজনৈতিক দলগুলোকে টোপ দিয়ে বিভক্ত করে রাখা হয়েছিল। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে বিএনপি সহ ৪২ টি রাজনৈতিক দল শেখ হাসিনার ফ্যাসিস্ট সরকার অবসানের জন্য এক দফা দাবিতে আন্দোলন করেছিলাম। তখন অনেক দলকে আহ্বান করা হয়েছিল। এক দফার দাবিতে তারা রাজপথে নামেন নাই। শেখ হাসিনার সাথে সমঝোতা করে ফ্যাসিবাদী সরকার টিকিয়ে রাখার জন্য তারা কাজ করেছে।
উল্লেখ্য, এর আগে তরুণ উদ্যোক্তা, ভূঁইয়া ইন্ড্রাস্টিজ লি. এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক গণনেতা ফেরদৌস আলম ভূঁইয়া মিঠু ও মো: হাবিবুর রহমান লিপু’র নেতৃত্বে শতাধিক প্রাইভেট কার ও ট্রাকযোগে প্রায় ১ হাজার কর্মী সমর্থকদের বহর নিয়ে ঢাকার যাত্রাবাড়ি থানার সামনে থেকে ভিপি নুরকে ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে নারায়ণগঞ্জ নিয়ে আসা হয়।
আপনার মতামত লিখুন :