মোঃ আমিনুল হক, আঞ্চলিক প্রতিনিধি (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) : চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ (শিবগঞ্জ) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা একেএম গালিভ খাঁন। রোববার সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে মনোনয়নপত্র বাছাইয়ে ভোটার তালিকায় মৃত ব্যক্তির স্বাক্ষর থাকায় তার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। জানা গেছে- মনোনয়নপত্রের সাথে যুক্ত ভোটার তালিকায় একজন মৃত ভোটারের স্বাক্ষর থাকায় তার মনোনয়নপত্রটি বাতিল করা হয়। যদিও নির্বাচন কমিশনে আপিল করবেন বলে জানিয়েছেন সৈয়দ নজরুল ইসলাম। আইন অনুসারে, কোনো স্বতন্ত্র প্রার্থী মনোনয়ন দাখিল করার সময় তাকে সংশ্লিষ্ট আসনের এক শতাংশ ভোটারের নাম ও পরিচয়সহ স্বাক্ষর নিয়ে আবেদনের সঙ্গে জমা দিতে হয়। সেখান থেকে একজন তদন্ত কর্মকর্তা দৈবচয়নের ভিত্তিতে দশজন ভোটারের অবস্থান যাচাই করেন। সংশ্লিষ্ট আসনে ওই ভোটারদের উপস্থিতি নিশ্চিত হলে মনোনয়ন গ্রহণ করা হয়। অন্যথায় বাতিল বলে গণ্য হয়। রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক একেএম গালিভ খাঁন জানান, মনোনয়নপত্রের সাথে দেয়া প্রার্থীর সমর্থক হিসেবে মোট ভোটারের এক শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর যুক্ত করা হয়। তদন্ত কর্মকর্তা ও শিবগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম দৈবচয়নের ভিক্তিতে সরেজমিনে তদন্ত করে একজন ভোটারকে মৃত পায়। অথচ মনোনয়নপত্রে মৃত ব্যক্তির স্বাক্ষর রয়েছে। বিষয়টি আইন পরিপন্থী, তাই তার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। এ বিষয়ে সৈয়দ নজরুল ইসলাম বলেন, আমার মনোনয়নপত্র বাতিল করতে ষড়যন্ত্র করে এমন কাজ করা হয়েছে। এ নিয়ে পরবর্তীতে নির্বাচন কমিশনে আপিল করব। চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ (শিবগঞ্জ) আসনে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন নয়জন প্রার্থী। সৈয়দ নজরুল ইসলাম ছাড়াও আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী শফিকুল ইসলাম মোট ভোটারের এক শতাংশ ভোটারের তালিকা ও স্বাক্ষর প্রদান না করায় তার মনোনয়নপত্র বাতিল করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। এ আসনে মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়, নৌকা মার্কার প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য ডা. সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল, স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম রাব্বানী (আ.লীগ), জাতীয় পার্টির অধ্যাপক আফজাল হোসেন, বিএনএফের নুরুল ইসলাম জেন্টু, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের শামসুল হোদা, এনপিপি’র প্রার্থী আব্দুল হালিম ও জাকের পার্টির আব্দুর রহিমের।
আপনার মতামত লিখুন :