নিজস্ব প্রতিনিধি : নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের থানাধীন চিটাগাং রোডস্থ হাজী ইব্রাহিম খলিল শপিং কমপ্লেক্স এন্ড প্রিয়ম নিবাসে অবস্থিত মা হাসপাতালে ডাক্তারের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, মা হাসপাতালে ডাক্তার ফারহানা তাবাসসুম রোগী দেখেন সপ্তাহে ৩ দিন, বিকেল ৫টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত। অভিযোগ উঠেছে তাঁর সহকর্মী সহ তিনি রোগীদের সাথে ভালো ব্যবহার করেন না, এমনকি সম্মানীত ব্যাক্তিদের সাথে বাজে ব্যবহার করে থাকেন।
এক অভিযোগে জানা গেছে, সম্প্রতি জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সাংবাদিক মাহমুদুল হাসান সম্রাটের সহধর্মিনী শারিরিক অসুস্থতার কারণে ডা. ফারহানা তাবাসসুম এর কাছে চিকিৎসা নিতে গেলে সেখানে বিশৃংখলা দেখে পরিচয় দিলেও তারা সম্মানহানীকর কথা বলে। পরবর্তিতে ডাক্তারের চিকিৎসা শেষে রোগী সহকর্মিদের কাছে ডাক্তারের মুঠো ফোনের নাম্বার চাইলে সেখানেও তাদের শত নিয়ম শুনতে হয়েছে এবং রোগীকে প্রেসক্রিপশনে দেওয়া কর্তিপক্ষের নাম্বারে পরামর্শ করার জন্য বলা হয়, ঐ নাম্বারটি কোন ডাক্তারের না। পরে বিষয়টি বিল্ডিং এর মালিক আলহাজ্ব হাবিবুল্লা (কাঁচপুরী) সাহেবকে অবগত করেন সাংবাদিক সম্রাট, আলহাজ্ব হাবিবুল্লা (কাঁচপুরী) বিষয়টি অবগত হওয়ার পরে হাসপাতাল কর্তপক্ষের সাথে তিনি কথা বললেও বিষয়টি গুরুত্ব দেননি হাসপাতাল কর্তপক্ষ।
এদিকে সাংবাদিকের সহধর্মিনিকে চিকিৎসা শেষে বেশ কিছু ইনভেসটিকেশন দেন ডাক্তার ফারহানা তাবাসসুম পরে একটি ল্যাব হতে পরীক্ষা শেষে ডাক্তারকে রিপোর্ট দেখাতে গেলে সেখানেও ডাক্তারকে চারশত টাকা দিতে হয়।
জেলা সিভিল সার্জন সূত্রে জানা যায়, রোগী দেখে একজন ডাক্তার ভিজিট নিতে পারবেন, কিন্তু পরীক্ষার রিপোর্ট দেখে বারতি টাকা নেওয়ার কোন নিয়ম নেই। প্রশ্ন উঠেছে সাংবাদিকরা জাতির বিবেক সেখানে ভালো চিকিৎসার জন্য রোগী তার পরিবারের ব্যাক্তিগত পরিচয় দিতেই পারে কিন্তু জাতির বিবেকদের পরিচয় পাওয়ার পরও অসৎআচারণ করা ভ্রষ্টারের সামিল। ভুক্তভোগীরা মনে করেন ডাক্তাররা রোগীদের সেবা দেওয়ার শপথ নিলেও সেই শপথ কিছু অসাধু ডাক্তারগণ ভঙ্গ করে চিকিৎসা পেশায় নিয়োজিত তাই তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাড়াতে হবে। ভুক্তিভোগীরা আরো মনে করেন এদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা না নিলে সাধারণ রোগীরা সেবা থেকে একদিকে বঞ্চিত হবে অন্যদিকে হয়রানীর শিকার হবে। তাই সুশিল সমাজ মনে করেন অতি দ্রুত ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
প্রধান সম্পাদক : সোনিয়া দেওয়ান প্রীতি