• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:৪৩ অপরাহ্ন

ঢাকায় আসছে জাতিসংঘের ‘ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি’


প্রকাশের সময় : অগাস্ট ৩০, ২০২৪, ৭:২১ PM / ২১
ঢাকায় আসছে জাতিসংঘের ‘ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি’

ঢাকারনিউজ : ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় বিক্ষোভকারীদের হত্যার তদন্ত করতে আগামী সপ্তাহে ঢাকায় আসছে জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি। তদন্ত প্রক্রিয়ায় সহায়তার জন্য জাতিসংঘের কারিগরি বিশেষজ্ঞ দল ইতোমধ্যে ঢাকা সফর শেষ করেছে।

আজ শুক্রবার জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের দপ্তর এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন দপ্তর জানায়, গত ২২ থেকে ২৯ আগস্ট পর্যন্ত জাতিসংঘের একটি কারিগরি দল বাংলাদেশ সফর করে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, প্রধান বিচারপতি, পুলিশ ও সশস্ত্র বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ছাড়াও আইনজীবী, সাংবাদিক ও মানবাধিকার রক্ষায় নিয়োজিত ব্যক্তিবর্গসহ রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি ও সংখ্যালঘু, আদিবাসী সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বৈঠক করেন তারা। ছাত্রনেতাদের সাথে বৈঠক হয়েছে, যাদের অনেকেই আটক বা আহত হয়েছেন।

বৈঠকগুলোতে জাতিসংঘের দলটি অন্তর্বর্তী সরকারের অনুরোধ অনুযায়ী সাম্প্রতিক সহিংসতা, অস্থিরতার প্রেক্ষাপটে মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং অপব্যবহারের তদন্তের পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করেছে।

প্রতিনিধিদলের আলোচনার মধ্যে ন্যায়বিচার, ক্ষতিপূরণ, সংস্কার ইত্যাদি প্রক্রিয়ার অন্য পদ্ধতিগুলোও রয়েছে, যেখানে মানবাধিকার কমিশন দপ্তর টেকসই সহায়তা দিতে পারে।

অন্যদিকে, দেশে ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে মানবাধিকার লঙ্ঘনের তদন্তে জাতিসংঘকে আনুষ্ঠানিকভাবে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস। প্রধান উপদেষ্টার কাছ থেকে একটি আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণপত্র পেয়েছেন জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার টুর্ক।

সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় স্থানীয় সময় শুক্রবার এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের মুখপাত্র রাভিনা সামদাসানি।

জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের মুখপাত্র জানান, নিরপেক্ষ ও স্বাধীন অনুসন্ধান পরিচালনার জন্য প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছ থেকে একটি আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ পেয়েছেন ভলকার টুর্ক। গত ১ জুলাই থেকে ১৫ আগস্টের ঘটনাগুলোর তদন্তে জাতিসংঘকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। জাতিসংঘের দলকে পূর্ণ সহযোগিতার জন্য অন্তর্বর্তী সরকার এবং নিরাপত্তা বাহিনীর কাছ থেকে প্রতিশ্রুতি পেয়েছেন তারা।