• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ Jul ২০২৪, ০৭:৫০ অপরাহ্ন

ঠাকুরগাঁওয়ে আলোচিত শাকিল হত্যা : বিচার চেয়ে ভুক্তভোগি পরিবারের সংবাদ সম্মেলন


প্রকাশের সময় : জুন ৮, ২০২৪, ১১:২৫ PM / ৪৩
ঠাকুরগাঁওয়ে আলোচিত শাকিল হত্যা : বিচার চেয়ে ভুক্তভোগি পরিবারের সংবাদ সম্মেলন

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি : ঠাকুরগাঁওয়ে আলোচিত মৎস্যজীবিলীগ নেতা শাকিল হত্যা মামলায় স্ত্রী কাকলী বাদী হতে চাওয়ায় তার উপরে বর্বর হামলা, মারপিট ও হত্যা চেষ্টার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার দুুপুরে শহরের একটি রেষ্টুরেন্টে ভূক্তভূগি পরিবারের পক্ষে কাকলীর পিতা আবুল কাশেম বিচার চেয়ে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন।

সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী কাকলীর পিতা জানান, জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় হলদিবাড়ি হাটে শাকিল হত্যার আলোচিত ঘটনায় তৎকালীন সময়ে হত্যা মামলা করা হয়। সেই সময় শাকিল এর বিধবা স্ত্রী কাকলী আক্তারকে হত্যা মামলার বাদী হতে না দিয়ে সুকৌশলে ও তড়িঘড়ি করে শাকিলের মৃত্যুর পূর্বেই একটি মারামারির মামলা করা হয়। মামলার বাদী হন শাকিলের ভাই সাঈদ আলম। শাকিলের মৃত্যুর পরে যেটি হত্যা মামলায় পরিণত হয়।

শাকিল এর বিধবা স্ত্রী কাকলী উক্ত মামলার কিছু ভুল ও অসংগতি দেখতে পেয়ে বারবার সাঈদকে জানালেও সে কোন কিছু আমলে না নিয়ে এ মামলার মনগড়া ও ভূল তথ্য সম্বলিত চার্জশিট করায়। পরবর্তীতে কাকলী নিজেই ওই চার্জশিটের বিরুদ্ধে নারাজি প্রদান করেন এবং প্রকৃত খুনিদের বিচার চাইতে আদালতে পৃথক মামলা করায় গত ২০/০৫/২০২৪ইং তারিখে তার উপর বর্বর হামলা চালায় সাঈদ আলম ও তার সহযোগিরা। ঘটনার সময় নিজেকে বাঁচাতে কাকলী পুলিশের সহায়তার জন্য ৯৯৯ এ কল করলে তাকে দ্বিতীয় দফায় আবারো নিষ্ঠুরভাবে মারপিট করে হামলাকারীরা। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় তাকে প্রথমে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতাল ও পরে দিনাজপুর এম আবদুর রহিম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা প্রদান করা হয়। এ ঘটনায় গত ০৩/০৬/২০২৪ ইং তারিখে বালিয়াডাঙ্গী আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন ভূক্তভুগি কাকলীর বাবা আবুল কাশেম।

সংবাদ সম্মেলনে ভূক্তভুগি কাকলী বলেন, আমি আমার সন্তান নিয়ে আজ ১৭ দিন ধরে বাসায় ঢুকতে পারছিনা। বাসায় ঢুকতে বাধা প্রদান সহ অব্যাহতভাবে হত্যার ও গুমের হুমকি প্রদান করে যাচ্ছে সাঈদ ও তার লোকজন। আমার স্বামী শাকিলকে হত্যা করেও হত্যাকারী ও তাদের সহযোগিরা ক্ষান্ত হয়নি। তারা আমাকে ও আমার সন্তানকেও মেরে ফেলতে চায়, যেনো শাকিল হত্যার প্রকৃত খুনিদের কেউ বিচার চাইতে না পারে। তাছাড়া আমার কন্যা শিশু সন্তানটি এ ঘটনার পর থেকে স্কুলেও যেতে পারছেনা। তার পড়াশুনা বন্ধ হয়ে গেছে। এ ঘটনায় আমি ও আমার সম্পূর্ণ পরিবার আতঙ্কে দিনাতিপাত করছি এবং নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছি।

আমি আমার স্বামীর বাসায় ফিরতে এবং শাকিল হত্যার প্রকৃত আসামীদের বিচারের জন্য সাংবাদিক, পুলিশ ও প্রশাসনসহ সকলের সহযোগিতা চাই।