• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:১৩ অপরাহ্ন

ঠাকুরগাঁওয়ে কালবৈশাখীর তাণ্ডব : কৃষকের ৬৫ হেক্টর জমির ফসল ধ্বংস


প্রকাশের সময় : এপ্রিল ১৩, ২০২৫, ১০:১৫ PM / ৪০
ঠাকুরগাঁওয়ে কালবৈশাখীর তাণ্ডব : কৃষকের ৬৫ হেক্টর জমির ফসল ধ্বংস

নিলিমা রানী, ঠাকুরগাঁও: ঠাকুরগাঁওয়ে (১৩ এপ্রিল) শনিবার দিবাগত রাতেভয়াবহ কালবৈশাখী ঝড় আঘাত হানে। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী চলা ঝড়ে জেলার বিভিন্ন স্থানে গাছপালা উপড়ে গেছে এবং কৃষকদের মূল্যবান ফসল, বিশেষ করে পেঁয়াজের বীজ, ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জেলার সদর উপজেলা ছাড়াও পীরগঞ্জ, রাণীশংকৈল, বালিয়াডাঙ্গী ও হরিপুর উপজেলায় তাণ্ডব চালিয়েছে ঝড়।

এলাকাবাসী জানায়, রাত আনুমানিক ১টার দিকে আকস্মিকভাবে প্রবল বেগে বাতাস বইতে শুরু করে।
সেই সঙ্গে বজ্রপাত ও মাঝারি ধরনের বৃষ্টি এবং কোথাও কোথাও শিলাবৃষ্টিও হয়। কিছুক্ষণের মধ্যেই বিভিন্ন এলাকার গাছপালা ভেঙে পড়তে শুরু করে, বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এবং জনজীবনে নেমে আসে দুর্ভোগ।

ঝড়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির শিকার হয়েছেন জেলার হাজার হাজার কৃষক। বর্তমানে ঠাকুরগাঁওয়ে পেঁয়াজের বীজ বপনের মৌসুম চলছে।
অনেক কৃষক ইতিমধ্যেই তাদের জমিতে বীজ বপন করেছেন। ঝড়ের পর মাঠ পরিদর্শনে গিয়ে দেখা গেছে, অধিকাংশ জমির মাটি সরে গিয়ে বীজ নষ্ট হয়ে গেছে। এতে কৃষকরা অপূরণীয় ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন।

সদর উপজেলার আকচা ইউনিয়নের ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক রহমত আলী হতাশ কণ্ঠে বলেন, ‘আমি তিন বিঘা জমিতে পেঁয়াজের বীজ বপন করেছিলাম।
ঝড়ের পরে সকালে মাঠে গিয়ে দেখি, কিছুই আর অবশিষ্ট নেই। সব নষ্ট হয়ে গেছে।’

বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার চাড়োল ইউনিয়ন গ্রামের আরেক কৃষক রফিকুল ইসলাম জানান, তার ক্ষেতের শুধু পেঁয়াজবীজই নয়, সঙ্গে থাকা কিছু টমেটো ও মরিচগাছও ঝড়ে উপড়ে পড়েছে। তিনি বলেন, ‘এক রাতের ঝড় আমার অনেক দিনের কষ্টের ফসল কেড়ে নিল।’

এদিকে ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর প্রাথমিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করেছে।
অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক আলমগীর হোসেন জানান, ‘ঝড়ে ভুট্টা ১০.৭৫ হেক্টর, মরিচ ১ হেক্টর, শাকসবজি ১.৫ হেক্টর, পেঁয়াজবীজ ৫০ হেক্টর এবং লালশাক ২ হেক্টরসহ মোট ৬৫.৪৮২ হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কৃষি বিভাগ ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা তৈরি করছে এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে সহযোগিতার জন্য আবেদন জানানো হবে।